Bangla News Dunia, Pallab : বছর কয়েক আগে সারদা, রোজভ্যালি সহ একের পর এক চিটফান্ড কেলেঙ্কারির (Chit Fund ) জেরে কেঁপে উঠেছিল পশ্চিমবঙ্গ। চিটফান্ড কাণ্ডের একাধিক মামলায় তদন্ত চালাচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। ইতিমধ্যে রোজভ্যালি চিটফান্ডে লগ্নিকারীদের ৫১৫ কোটি টাকার বেশি উদ্ধার করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। শনিবার সেই অর্থ ক্ষতিগ্রস্ত লগ্নিকারীদের টাকা ফেরানোর দায়িত্বে থাকা সম্পদ নিষ্পত্তি কমিটিকে (এডিসি) হস্তান্তর করা হয়েছে। কমিটির চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ডিকে শেঠের হাতে ৫১৫.৩১ কোটি টাকার ডিমান্ড ড্রাফ্ট তুলে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী। রোভভ্যালি গ্রুপের মাধ্যমে প্রতারিত সাড়ে ৭ লক্ষ লগ্নিকারীকে ক্ষতিপূরণ দিতে এই অর্থ ব্যবহার হবে।
আরও পড়ুন : স্কুলের মিড-ডে মিলের বরাদ্দ বৃদ্ধি কেন্দ্রের, মাথাপিছু কত বাড়ছে ? দেখে নিন
গোয়েন্দা সংস্থার একটি সূত্র জানিয়েছে, ২০১৫-’১৭-র মধ্যে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা টাকা লেনদেন করা হয়েছিল, এমন ২,৯৮৭টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেইসব অ্যাকাউন্ট থেকে আটক করা টাকাই অর্থমন্ত্রকের মাধ্যমে এডিসিকে দেওয়া হয়েছে। অর্থমন্ত্রক এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা ফেরানোর কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এটি তাঁর গরিব মানুষের কাছ থেকে লুট হওয়া টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সংগতিপূর্ণ।’ ইডির রিপোর্ট অনুযায়ী, চড়া সুদের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজার থেকে ১৭,৫২০ কোটি টাকা তুলেছিল রোজভ্যালি। এখনও পর্যন্ত বিনিয়োগকারীদের ৬,৬৬৬ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। ৩২,৩১৯ জন ক্ষতিগ্রস্তকে ইতিমধ্যে ২২ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। এডিসির কাছে চিটফান্ড কান্ডে টাকা ফেরতের দাবিতে প্রায় ৩১ লক্ষ আবেদন জমা পড়েছে। সেগুলি খতিয়ে দেখার পর ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
রোজভ্যালির ১,১৭২ কোটি টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। যার বর্তমান বাজারদর ২ হাজার কোটি টাকার বেশি। আর্থিক জালিয়াতি প্রতিরোধ আইনের (পিএমএলএ) আওতায় পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি ওডিশা, অসম ও ত্রিপুরায় মোট ৫টি মামলার তদন্ত চলছে।
আরও পড়ুন : এই ৫ সস্তার খাবার ভিটামিন সি-এর ভাণ্ডার, শরীরকে রোগমুক্ত রাখে