পশ্চিমবঙ্গে এখন আর ডোমি সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য অফিসে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে না হয়। উত্তরাঞ্চলই আপনি নিতে পারবেন এই সার্টিফিকেট। রাজ্য সরকার ই-ডিস্ট্রিক্ট 2.0 পোর্টাল , যেখানে অনলাইনের মাধ্যমে খুব সহজেই আবেদন করা যায়। এই সার্টিফিকেট নিয়োগ করে যে আবেদনকারী পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা। চাকরির স্কুল আবেদন, উচ্চশিক্ষা, লারশিপ, বা বিভিন্ন সুবিধা পেতে এই নথি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সমস্ত ধরনের সুযোগ-সুবিধা পেতে এই সার্টিফিকেট প্রয়োজন।
ডমিসাইল সার্টিফিকেট কেন প্রয়োজন
ডমিসাইল সার্টিফিকেট পশ্চিমবঙ্গ পাপ একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতিপত্র। এটি ব্যবহার করে আপনি পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা। এটি থাকার কারণে অনেক সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়। যেমন—উশিক্ষায় রিজার্ভেশন, স্কিলারশিপ, চাকরিতে স্থান, বাসভবন সুবিধা গ্রহণে গ্রহণ এবং এটি সক্রিয় ভূমিকা পালন। বিশেষ ছাত্র ও চাকরিপ্রার্থীদের জন্য এই সার্টিফিকেট একটি নির্বাচন নথি। বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে এটি প্রয়োজন।
অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়ার সুচনা
আবেদন করার জন্য আবেদনকারীকে যেতে হবে eDistrict 2.0 পোর্টালে (https://edistrict.wb.gov.in/portal/home)। এখানে নতুন ব্যবহারকারীদের জন্য রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা রয়েছে। রেজিস্ট্রেশনের সময় নাম, জন্মতারিখ, মোবাইল নম্বর ও ইমেল আইডি দিতে হবে। তথ্য পূরণের পর মোবাইলে একটি ওটিপি আসে, যা দিয়ে আপনার ভেরিফিকেশন শেষ হয়। ভেরিফিকেশন শেষ আবেদনকারী একটি ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড পান, যার সাহায্যে লগইন করা সম্ভব। আপনি এই আইডি ওওয়ার্ড দিয়ে সমস্ত কাজ করতে পারবেন।
আবেদন পূরণ করার নিয়ম
লগইন করার পর “পরিষেবা” ট্যাব থেকে সার্টিফিকেট সংক্রান্ত অপশনটি নিতে হবে। থেকে “স্থানীয় বাসিন্দা (আবাসিক) শংসাপত্র” নির্বাচন আবেদনের জন্য শংসাপত্র যায়। এখানে ধাপে ধাপে নিজের নাম, লিঙ্গ, জন্মতারিখ, আধার নম্বর (যদি থাকে), ইমেল আইডি এবং মোবাইল নম্বর লক্ষ্য করতে হয়। আবেদনকারীর নিয়োগ ও বর্তমান তথ্য পূরণ করতে হবে। যদি দুজনের ঠিকানা একই হয়, তবে সিলেক্ট করা যায়। আবেদনপত্র পূরণ করতে হয়।
আবেদনের মধ্যে বাবা-বা অভিভাবকের নাম, ক্লাব এবং পরিবারের বিবরণ দিতে হয়। একই সাথে আবেদনকারী কত বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গে বসবাস করছেন, জন্মস্থানে প্রশ্ন শিক্ষাগত যোগ্যতা কী, তা উল্লেখ করা সংকোচমূলক। সরকার যদি পশ্চিমবঙ্গে শর্ত-সম্পত্তি থাকে তবে তার বিবৃতিতে আবেদন করতে হয়।
রাজনৈতিক নথি
আবেদন করার সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ ডকুমে আপলোড করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে—
- আবেদনকারীর প্রস্তাব পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
- আধার কার্ড বা অন্য কোনো নীতিপত্র।
- জন্মের জন্য জন্ম সনদ বা মিডিয়াক অ্যাডমিট কার্ড।
- স্থায়ী বাসস্থানের বা গ্রাম হিসাবে পঞ্চায়েত পৌরসভার সার্টিফিকেট।
- জমির কাগজপত্র যেমন খতিয়ান, ডিড বা পরচা (য্যায় থাকে)।
এই সমস্ত নথি স্ক্যান কপি উত্তর আপলোড করতে হয়।
আবেদন জমা ও ডাটাস ট্র্যাকিং
সব তথ্য ও নথি আপলোড করার পর আবেদনটি সেভ করে সাবমিট করতে হয়। সাবি মিশন পূরণ হলে আবেদনকারী একটি অ্যাপ নম্বর পান। এই নম্বরটি ব্যবহার করে ই-ডিস্ট্রিক্ট পোর্টাল থেকে পছন্দের অগ্রগতি ট্র্যাক করা যায়। আবেদন করতে আবেদনকারী পোর্টাল থেকে ডমিসাইল সার্টিফিকেট ডাউনলোড করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে পাশে যেতে হবে না বাড়িতেই আপনি সমস্ত কাজ করতে পারবেন।
অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়ার সুবিধা
আগে ডমিসাইল সার্টিফিটের জন্য ব্লক অফিস, জেলা শাসকের কার্যালয় বা পৌরসভা বারবার যাতায়াত করতে সক্ষম হয়। এখন অনলাইনে আবেদন শুরু করার জন্য মানুষের সময় ও পরিশ্রমের চেষ্টাই বাঁচছে। আর আবেদনকারীরা বাড়িতে থাকতেই নিয়ম নাথি জমা দিতে পারবেন। প্রচার অভিযান ভিড়ও কমছে এবং স্বচ্ছতা গ্রহণ।