পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সমস্ত সরকারি প্রকল্পের তালিকা। জানুন আবেদন করলে কে কী সুবিধা পাবেন?

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

 

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- আজকে সমাজের সকল বর্গের মানুষদের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে অনেক সরকারি প্রকল্প নিয়ে আসা হয়েছে। রাজ্যের জনসাধারণের জন্য একাধিক অভিনব সরকারি স্কিমের সূচনা করেছে। এই প্রকল্প গুলোর মাধ্যমে রাজ্যের শিশু থেকে শুরু করে মহিলা, যুবক যুবতী, বৃদ্ধ বৃদ্ধা, অন্যান্য সকল পেশার মানুষজন আর্থিকভাবে উপকৃত হয়েছেন। অনেকেই রয়েছেন, যাঁরা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পরিচালিত প্রত্যেকটি প্রকল্প সম্পর্কে অবগত নন।

পশ্চিমবঙ্গ সরকার সরকারি প্রকল্প ২০২৫

সরকারি প্রকল্প নিয়ে আসার মূল কারণ হল সমাজের সকল পিছিয়ে থাকা মানুষদের জন্য নিয়ে আসা হয় যাতে তারা সমাজের মূল স্রোতে ফিরে এসে নিজেদের পায়ে দাঁড়িয়ে স্বাবলম্বী হতে পারে। শুধু রাজ্য সরকার নয় ভারত সরকারের তরফেও অনেক ধরণের সরকারি প্রকল্প নিয়ে আসা হয়েছে যেখানেও অনেক ধরনের সুবিধা দেওয়া হয় সকল নাগরিকদের আজকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে কিছু প্রকল্প সম্পর্কে জেনে নিতে চলেছি।

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নতুন ও চলমান সরকারি প্রকল্প সমূহের তালিকা

কন্যাশ্রী প্রকল্প (Kanyashree Prakalpa) :- এই প্রকল্প মূলত সূচনা করা হয়েছে রাজ্যের মেয়েদের জন্য। অনেক সময় দেখা যায় মেয়েদেরকে পড়াশোনা বন্ধ করে দিয়ে খুব কম বয়সে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। এই প্রয়াস বন্ধ করে দেওয়ার জন্যই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে রাজ্যের মেয়েদের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি করতে এবং বাল্য বিবাহ বন্ধ করার জন্যই এই প্রকল্প চালু করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:- নাগপুরের হিংসায় বাংলাদেশ যোগ, গোয়েন্দাদের হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য

Government Scheme 2025

২০১৩ সালের ৮ মার্চ এই প্রকল্প চালু করা হয়েছিল। এই প্রকল্পে 13 থেকে 18 বছর বয়সী মেয়েরা মাসিক ১০০০ টাকা করে বৃত্তি পেয়ে থাকে। ১৮ বছর বয়সের পর এককালীন ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়। মূলত এই ২৫ হাজার টাকা একটি মেয়ের বিবাহের জন্য খরচ করার জন্যই বরাদ্দ করা হয়। বর্তমানে এই প্রকল্প UNESCO অর্থাৎ বিশ্ব দরবারেও স্বীকৃতি পেয়েছে, তাই প্রতি বছর ১৪ ই আগস্ট রাজ্য জুড়ে কন্যাশ্রী দিবস পালিত হয়।

শিক্ষাশ্রী প্রকল্প (Sikkhashree Scheme) :- ২০১৪ সালে রাজ্য সরকার এই প্রকল্প চালু করেন। এই প্রকল্প চালু করার মূল লক্ষ্য হল পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত যে সমস্ত তপশিলি জাতি বা উপজাতি সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা।

Govt Scheme for Women

মাতৃযান প্রকল্প (Matrijan Scheme) :- ২০১১ সালে এই প্রকল্প মূলত শুরু করা হয় গর্ভবতী মহিলাদের জন্য। গর্ভবতী মহিলাদের যাতে প্রসবকালীন ব্যথা উঠলে খুব দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছে যেতে পারে তার জন্যই অ্যাম্বুলেন্সের পরিষেবা সঠিক সময়ে পাওয়ার জন্য এই প্রকল্পে সূচনা করা হয়। অনেক গ্রামীণ এলাকায় যেখান থেকে হাসপাতাল অনেকটা দূরবর্তী স্থানে এমন জায়গায় অ্যাম্বুলেন্সের সঠিক পরিষেবা পাওয়াটা অনেকটাই সমস্যার।

Government of West Bengal

যুবশ্রী প্রকল্প (Yuvashree Scheme) : এই প্রকল্প সূচনা করার 2013 সালে, এটি মূলত করা হয় যুব সম্প্রদায়কে উৎসাহিত করার জন্য। যে সমস্ত বেকার যুব সম্প্রদায় রয়েছে তারা যাতে তাদের মনোবল হারিয়ে না ফেলেন, তার জন্য প্রত্যেক মাসে ১৫০০ টাকা করে ভাতা প্রদান করা হয় এই সরকারি প্রকল্পর মাধ্যমে।

শিশু সাথী প্রকল্প (Sishu Sathi Scheme) : এই প্রকল্পের সূত্রপাত হয় ২০১৩ সালে মূলত সমাজের দরিদ্র পরিবারের শিশুদের জন্য। ১২ বছরের কম বয়সী কোনো শিশুর যদি হাটের রোগ থাকে এবং সেই রোগের জন্য যদি সেই শিশুকে অস্ত্র পাচার করার দরকার পড়ে তাহলে এই প্রকল্পে আবেদন করলে সম্পূর্ণ বিনা পয়সায় হার্ট অপারেশনের জন্য ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।

ঐক্যশ্রী প্রকল্প বা স্কলারশিপ (Aikyashree Scheme or Scholarship 2025) : রাজ্য সরকার এই প্রকল্পটি চালু করেন সমাজের সংখ্যা লঘু (মুসলিম, শিখ, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, পারসি, জৈন) শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সংখ্যা লঘু শিক্ষার্থীদের পড়াশোনাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য স্কলারশিপ দেওয়া হয়।

গতিধারা প্রকল্প (Gatidhara Scheme 2025) : সমাজের কর্মহীন যুবক যুবতীদের জন্য রাজ্য সরকার ২০১৪ সালে গতিধারা প্রকল্পের সূচনা করেন। এই প্রকল্পের আওতায় কর্মহীন যুবক যুবতীরা অর্থ উপার্জনের জন্য বাণিজ্যিক গাড়ি কিনে জীবিকা নির্বাহ করার সুযোগ পেয়ে থাকেন। বাণিজ্যিক গাড়ি কিনার জন্য একজন কর্মহীন যুবক বা যুবতীকে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত সহায়তা করা হয়।

আরও পড়ুন:- ভারতের বাজারেও চলে এল ডায়াবেটিস ও রোগা হওয়ার ওষুধ, বিস্তারিত জেনে নিন

সবুজ সাথী প্রকল্প : ২০১৫ সালে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্কুল পড়ুয়াদের জন্য মূলত এই প্রকল্পের ঘোষণা করেছেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে স্কুলের নব এবং দশম শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীদের জন্য সাইকেল দেওয়া হয়। স্কুলে আসতে যেতে যাতে কোন রকম অসুবিধা না হয় তার জন্যই এই প্রকল্পের মাধ্যমে সাইকেল দেওয়া হয়।

কর্ম তীর্থ প্রকল্প (Karma Tirtha Scheme) : ২০১৪ সালে সমাজের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের জন্য এটি প্রকল্প চালু করা হয়। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হল সমস্ত স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা তাদের উৎপাদন করা দ্রব্য সামগ্রী, যাতে গ্রামের মানুষদের কাছে সহজে বিক্রি করতে পারে তার ব্যবস্থা করা।

সুফল বাংলা প্রকল্প (Sufal Bangla Scheme) : যেহেতু ভারত বর্ষ কৃষি প্রধান দেশ তাই এই দেশের জনসংখ্যার একটি বিরাট অংশের প্রধান জীবিকা কৃষিকাজ। চাষীদের কাছ থেকে লাভজনক দামে কিছু পর্ণ সংগ্রহ করে যাতে গ্রাম ও শহরের মানুষের কাছে সঠিক মূল্যে পৌঁছে দেওয়া যায়, তারই ব্যবস্থা করা হয় এই সুফল বাংলা প্রকল্পের মাধ্যমে।

সামাজিক সুরক্ষা যোজনা (Samajik Suraksha Yojana) : ২০১৪ সালে এই প্রকল্পের সূচনা করা হয় মূলত সমাজের দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্যই। যে সমস্ত ব্যক্তি দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন তাদের এই প্রকল্পের মাধ্যমে এক লক্ষ টাকা এবং যে সমস্ত ব্যক্তি দুর্ঘটনা নিহত হয়েছেন তাদেরকে এই প্রকল্পের মাধ্যমে ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়।

খাদ্য সাথী প্রকল্প (Khadya Sathi Scheme) : ২০১৬ সালের এই সরকারি প্রকল্প সূচনা করা হয়। রাজ্যের দারিদ্র সীমার নিচে থাকা পরিবারদের জন্য এই প্রকল্পের মাধ্যমে মাথা পিছু দু টাকা কেজি দরে চাল ও গম প্রদান করে রাজ্য সরকার। আর ২০২৮ পর্যন্ত এই স্কিমের মাধ্যমে ফ্রি রেশন সামগ্রী দেওয়ার ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

সমব্যথী প্রকল্প (Samabyathi Scheme) : ২০১৬ সালে প্রকল্পটি চালু করা হয় এটি মূলত দরিদ্র পরিবারের মানুষজনদের মৃত্যুর পর অন্তোষ্টি ক্রিয়ার জন্য। পরিবার পরিজনদের অন্তোষ্টিক্রিয়া করার জন্য এই প্রকল্পের মাধ্যমে ২০০০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা করা হয়। এই সরকারি প্রকল্প এর টাকা পাওয়ার জন্য বারনিং সার্টিফিকেট থাকা বাধ্যতামূলক।

মুক্তির আলো প্রকল্প (Muktir Alo Scheme) : সমাজে যে সমস্ত যৌন কর্মী বা নির্যাতিত নারী, বালিকারা রয়েছে, সেই সমস্ত নির্যাতিত নিপীড়িত নারীদের বিশেষ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সমাজে তাদের স্বনির্ভর করে তোলা হয়। যাতে তারা অন্য কোন সন্মান জনক কার করতে পারেন।

রূপশ্রী প্রকল্প (Rupashree Prakalpa) : এই প্রকল্পের মাধ্যমে একজন কন্যাকে বিয়ের জন্য ২৫ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়। এই প্রকল্পে আবেদনের জন্য সেই কন্যার বয়স ১৮ বছর হতে হবে এবং পারিবারিক বার্ষিক আয় দেড় লক্ষ টাকার কম হতে হবে। আর বিয়ের প্রমাণ হিসাবে রেজিস্ট্রি সার্টিফিকেট জমা করতে হবে।

স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প (Swasthya Sathi Scheme) :- এটি একটি জনপ্রিয় প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে দরিদ্র ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের ব্যক্তিরা জনপ্রতি ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্য বীমা কভারেজ পেয়ে থাকেন এবং এই সরকারি প্রকল্প মাধ্যমে অনেক মানুষদের সুবিধা হয়েছে যারা টাকার জন্য চিকিৎসা করাতে পারছেন না।

উৎকর্ষ বাংলা প্রকল্প (Utkarsha Bangla Prakalpa) : এই প্রকল্পের মাধ্যমে বেকার যুবক যুবতীরা রাজ্যের প্রথাগত কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষার সুযোগ শুধু পাননি তাদের বিকল্প প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে।

মানবিক পেনশন প্রকল্প (Manobik Pension Government Scheme) : এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য রাজ্য সরকারের তরফ থেকে তাদের মাসিক হাজার টাকা করে একটি ভাতা দেওয়া হয়। এই সরকারি প্রকল্প এর মাধ্যমে অনেকেই মনে করছেন যে বয়স্ক মানুষদের অনেকটাই সুবিধা হবে।

জাগো বাংলা প্রকল্প (Jagoo Bangla Scheme) : সমাজে যে সমস্ত স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে তাদের জন্য ২০১৯ সালে চালু করা হয় এই জাগো প্রকল্পটি। সমাজের এই স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে বার্ষিক ৫০০০ টাকা করে সাহায্য করা হয়। আর এই জন্য এই সকল গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত হাজার হাজার মানুষেরা অনেক সুবিধা লাভ করেছেন।

সেভ ড্রাইভ সেভ লাইফ (Safe Drive Safe Life) : প্রতিনিয়ত রাস্তাঘাটে যে পরিমাণ দুর্ঘটনা ঘটছে যার ফলে মানুষের প্রাণ অকালে ঝরে যাচ্ছে। রাস্তাঘাটে যান বাহন চলাচলকারী ব্যক্তিদের সজাগ ও সচেতন করার জন্যই এই সরকারি প্রকল্পর সূচনা করা হয়েছে।

পথশ্রী প্রকল্প (Pathashree Scheme) : শহর বা গ্রামের যেই সমস্ত রাস্তা ঘাট এখনো অনুন্নত রয়েছে, সে সমস্ত রাস্তাঘাট মেরামত করে নতুন রূপ দান করায় এই সরকারি প্রকল্প মূল লক্ষ্য। আর ১০০ দিনের কাজের (100 Days Work) শ্রমিকদের এই কাজের দায়িত্ব দেওয়ার ফলে রাজ্যে শ্রম দিবস তৈরি হচ্ছে।

দুয়ারে সরকার প্রকল্প (Duare Sarkar Scheme) :- এই প্রকল্পের মাধ্যমে জেলার মধ্যে দুয়ারে সরকার শিবির অনুষ্ঠিত করা হয়, যার মাধ্যমে প্রত্যেকটি ব্যক্তি একই জায়গায় বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য আবেদন করার সুযোগ পান। আবার নববর্ষের আগে ফের একবারের জন্য এই ক্যাম্প হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

কৃষক বন্ধু প্রকল্প (Krishak Bandhu Scheme) : কৃষকদের কৃষিকাজে সহায়তা করার জন্যই এবং আর্থিক অনুদান করার জন্য সরকারি প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের ২ লক্ষ টাকার জীবন বীমা দেওয়া হয়। কৃষকদের জমির পরিমাণ অনুযায়ী ন্যূনতম ৪০০০ টাকা ও সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়।

লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প (Lakshmir Bhandar Scheme) : এই প্রকল্প সারা রাজ্যে খুবই জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের মহিলাদের আত্মনির্ভরশীল করে তোলা হয়। মহিলাদের জন্য সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে জেনারেল ক্যাটাগরির মহিলাদের মাসিক ১০০০ হাজার টাকা এবং তপশিলি মহিলাদের জন্য মাসিক ১৫০০ টাকা ভাতা প্রদান করা হয়।

তফসিলি বন্ধু প্রকল্প (Tafsili Bandhu Scheme) : এই প্রকল্প মূলত ৬০ বছর বয়সী ব্যক্তিদের জন্য করা হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে মাসিক ১০০০ টাকা প্রদান করা হয়। কিন্তু এই টাকা শুধুমাত্র রাজ্যের আদিবাসী (Tribal Community in West Bengal) সম্প্রদায়ের মানুষদের দেওয়া হবে।

হাসির আলো প্রকল্প (Hasir Alo Scheme) : ২০২০ সালে সমাজের গরিব মানুষদের কথা ভেবে সরকারি প্রকল্পটি চালু করা হয়। রাজ্য সরকার এই প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামীণ ও শহরাঞ্চলে যারা দারিদ্র সীমার নিচে রয়েছেন সেই সমস্ত মানুষদের ত্রৈমাসিক ৭৫ ইউনিট অব্দি বিদ্যুৎ বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়।

স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড (Student Credit Card) : ছাত্র ছাত্রীদের কথা মাথায় রেখে ২০২১ সালে রাজ্য সরকার এ প্রকল্পটি চালু করেন। এই সরকারি প্রকল্পর মাধ্যমে ছাত্র ছাত্রীরা তাদের পড়াশোনার জন্য ১০ লক্ষ টাকা ঋণ (Educational Loan) পেতে পারে।

নিজ গৃহ নিজ ভূমি প্রকল্প (Nij Griho Nij Bhumi) : ২০১১ সালে রাজ্য সরকার রাজ্যের ভূমিহীন মানুষদের জন্য এই প্রকল্প সূচনা করেছিলেন। ভূমিহীন মানুষরা যাতে স্থায়ী আশ্রয় পান সেটাই এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য। কিন্তু এখন এই স্কিমটি ওতটা হলেও বিস্তার লাভ করেনি।

মা ক্যান্টিন প্রকল্প (Maa Canteen Scheme) : এই সরকারি প্রকল্প মাধ্যমে ৫ টাকায় ডিম ভাত প্রদান করা হয়। দরিদ্র মানুষকে যাতে পুষ্টিকর আহার পেতে পারে সেই দিকে লক্ষ্য রাখার জন্য এই প্রকল্পের সূচনা করা হয়। রাজ্যের মূল মূল স্থানে এই ক্যান্টিনের মাধ্যমে এই খাবার সরবরাহ করা হয়।

সবলা প্রকল্প (Sabala Scheme) : সমাজে কিশোরীদের স্বাস্থ্য ও কর্ম সংস্থানের উন্নতির জন্য ২০২১ সালে এই প্রকল্প চালু করা হয়। যাতে তাদের ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি হয় সেই দিকেই বিশেষ নজর রাখা হয়েছে। এখানে মেয়েদের প্রশিক্ষণ দিয়ে কাজের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।

পথসাথী প্রকল্প (Patha Sathi Scheme) : পথচারীদের সুবিধার্থে সরকারের তরফ থেকে একই ছাদের তলায় আহার রাতে থাকার ব্যবস্থা এমনকি শৌচালয় ব্যবস্থা করা হয়েছে। মুলত নুংরা রোধ করার জন্য এবং মহিলাদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

গীতাঞ্জলি প্রকল্প (Gitanjali Scheme) : অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণি বা বিপিএল কার্ড ধারী যে সমস্ত পরিবার গুলি রয়েছে যাদের পরিবারের সদস্যদের কোন একটি পাকা বাড়ি নেই তাদের যাতে নিজস্ব আশ্রয় হয়। কিন্তু এই প্রকল্প এখনও পর্যন্ত বেশি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেনি।

জল ধরো জল ভরো প্রকল্প (Jal Dharo Jal Bharo) : এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো বৃষ্টির জলকে সংরক্ষণ করা এবং তা বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার করা ২০১১ সালে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) হাত ধরে প্রকল্পের সূচনা হয়।

লোকপ্রসার প্রকল্প (Lok Prasar Scheme) : ২০১৪ সালে এই লোকপ্রসার প্রকল্প সূচনা হয় এটি মূলত বাংলার লোক শিল্পীদের উদ্দেশ্যেই চালু করা হয়েছে গ্রাম বাংলার বিভিন্ন আঞ্চলিক শিল্প রক্ষা করা ও লোক শিল্পীদের বাঁচিয়ে রাখার উদ্দেশ্যে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে মাসিক একটি ভাতা প্রদান করা হয়।

স্নেহের পরশ প্রকল্প (Sneher Parash Scheme) : সমাজের পরিযায়ী শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে এই প্রকল্পের সূচনা ২০২০ সালের প্রকল্পটি শুরু হয়। পরিচয় শ্রমিকরা এই প্রকল্পের মাধ্যমে মাসিক ১০০০ টাকা করে অনুদান পান সরকারের তরফ থেকে। আর সকলের যোগ্যতা অনুসারে বা দরকার অনুসারে আবেদন করার উচিত যাতে কোন না কোন স্কিমে তাদের সুবিধা হয়।

আরও পড়ুন:- সুখী দেশের নিরিখে পাকিস্তান-প্যালেস্টাইনের থেকেও পিছিয়ে ভারত, আর কি বলছে রিপোর্ট জেনে নিন

 

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন