Bangla News Dunia, Pallab : পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর হামলার (Pahalgam Terror Attack) দায় স্বীকার করেছে লস্কর-ই-তৈবার ঘনিষ্ঠ সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (TRF)। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে, হামলার ‘মাস্টারমাইন্ড’ হল সইফুল্লা খালিদ ওরফে সইফুল্লা কাসুরি। এদিকে সইফুল্লার দাবি, এই হামলার পেছনে সে বা পাকিস্তানের কোনও হাত নেই। হামলার সব দায় ভারতেরই।
আরও পড়ুন : পহেলগাঁও হামলায় কোন 5 কড়া পদক্ষেপ নিলো ভারত ? জানতে বিস্তারিত পড়ুন
রিপোর্টে প্রকাশ, সইফুল্লা পাক সেনা এবং লস্করের মাথা হাফিজ সঈদের ঘনিষ্ঠ। গোয়েন্দাদের দাবি, পহেলগাঁওয়ে টিআরএফের সদস্যরা হামলা চালালেও মূল ষড়যন্ত্রকারী আদতে সইফুল্লা। বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি, পাক সেনার সঙ্গে যৌথভাবে পহেলগাঁও হামলার (Terror Attack) ছক কষেছিল সইফুল্লা। এবার সেই দাবি উড়িয়ে পালটা জঙ্গিনেতার দাবি, হামলার দায় ভারতের। এনিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে (ভিডিও’র সত্যতা যাচাই করেনি উত্তরবঙ্গ সংবাদ)। ভিডিওতে সইফুল্লা দাবি করেছে, সে কিছু করেনি। ভারতীয় মিডিয়া ‘ভুলভাবে’ তাকে এই হামলার জন্য দায়ী করছে। সে বা পাকিস্তান হামলার নেপথ্যে নেই।
তার দাবি, ভারত নিজেই পহেলগাঁওয়ে আক্রমণ চালিয়েছে। এটা ওদের নাটক। বিশ্বকে ‘অন্ধভাবে’ ভারতকে সমর্থন না করার কথা বলেছে সে। সত্যের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে সইফুল্লা। ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর জনমানসে ক্ষোভ বেড়েছে।
লস্কর-ই-তৈবা এবং টিআরএফের যাবতীয় জঙ্গি কার্যকলাপের তদারকি করে সইফুল্লা (Saifullah Khalid)। লস্করের ডেপুটি চিফ বলা হয় সইফুল্লাকে। পাকিস্তান সেনার অনেক আধিকারিকের সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ বলে জানা যায়। পহেলগাঁও হামলার মাস দুই আগেও পাকিস্তানের পঞ্জাবের কাঙ্গলপুরে তাকে দেখা গিয়েছিল। পাক সেনাবাহিনীর কর্নেল জাহিদ জারিন খট্টক তাকে সেখানে বক্তব্য পেশ করতে অনুরোধ জানান। ভারতীয় সেনা ও ভারতীয়দের বিরুদ্ধে অত্যন্ত উগ্র ভাষণ দিয়েছিল সইফুল্লা। পাকিস্তানে সইফুল্লা এককথায় ভিভিআইপি। তাকে সবসময় স্বাগত জানানো হয় ফুলের পাপড়ি ছুড়ে নয়তো ফুলের দামি বুকে দিয়ে।
গতকাল পহেলগাঁও হামলার কড়া জবাবে ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু জলচুক্তি বাতিল করে দেয়। বন্ধ করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয় আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত (Attari-Wagah border)। পাকিস্তানিদের জন্য সমস্ত ‘সার্ক’ ভিসা (SAARC Visa) বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। ওই ভিসার মাধ্যমে যে পাকিস্তানিরা বর্তমানে ভারতে রয়েছেন, তাঁদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরপরই ভারতের উপরই পালটা দায় চাপিয়ে সইফুল্লার এমন ভিডিও সামনে আসে।