Bangla News Dunia, Pallab : পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার (Pahalgam terror attack) ঘটনায় পাকিস্তানিদের ভিসা (Visa) বাতিল করেছে ভারত। এমনকি বর্তমানে ভারতে থাকা পাকিস্তানিদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিজেদের দেশে ফিরে যেতে বলা হয়েছে। আর এই সিদ্ধান্তের জেরে দুঃশ্চিন্তায় ভুগছেন প্রেমের টানে ভারতে চলে আসা পাকিস্তানি মহিলা সীমা হায়দর (Seema Haider)। এই আবহে এবার সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সীমা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের (UP CM Yogi Adityanath) কাছে তাঁকে ভারতে থাকতে দেওয়ার আবেদন জানালেন তিনি।
আরও পড়ুন : ভারত VS পাকিস্তান, স্থল-জল-আকাশে কার কত ক্ষমতা ? বিস্তারিত জেনে নিন
সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে (যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেন উত্তরবঙ্গ সংবাদ অনলাইন)। সেই ভিডিওতে সীমাকে বলতে দেখা গিয়েছে, ‘আমি পাকিস্তানের মেয়ে ছিলাম, কিন্তু এখন আমি ভারতের পুত্রবধূ। আমি পাকিস্তানে যেতে চাই না। আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে আবেদন জানাচ্ছি যাতে আমাকে ভারতে থাকতে দেওয়া হয়।’
প্রসঙ্গত, পাবজি খেলতে গিয়ে উত্তরপ্রদেশের শচীন মিনার প্রেমে পড়েন সীমা। এরপর ২০২৩ সালে পাকিস্তান থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে এসে শচীনের সঙ্গে বিয়ে করেন। চার সন্তানকে নিয়ে নেপাল ঘুরে বেআইনিভাবে ভারতে এসেছিলেন তিনি। অবৈধভাবে ভারতে আসার অভিযোগে সীমাকে গ্রেপ্তারও করা হয়। পরে জামিন পেয়ে শচীনকে বিয়ে করেন। সে ঘটনার তদন্ত এখনও চলছে। একাধিকবার ভারতের নাগরিকত্ব নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন সীমা। তবে যেহেতু তাঁর বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের তদন্ত চলছে, তাই এখনও নাগরিকত্ব মেলেনি তাঁর। এরই মাঝে কিছুদিন আগে এক কন্যার জন্ম দিয়েছেন সীমা।
সীমার আইনজীবী এপি সিংয়ের দাবি, সীমা আর পাকিস্তানি নাগরিক নন। তিনি শচীনকে বিয়ে করেছিলেন এবং সম্প্রতি তাঁদের মেয়ে ভারতী মিনার জন্ম দিয়েছেন। সীমার নাগরিকত্ব এখন তাঁর ভারতীয় স্বামীর সঙ্গে সম্পর্কিত। তাই কেন্দ্রের নির্দেশ সীমার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হওয়া উচিত নয়। শচীনের সঙ্গে বিয়ের পর হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেছেন বলেও দাবি করেছেন সীমা।