Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল স্পষ্ট করে বলেছেন যে কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং এটিকে পাকিস্তানের যে কোনও অবৈধ দখল থেকে মুক্ত করতে হবে। আসিম মুনির কাশ্মীরকে ঘাড়ের শিরা হিসেবে বর্ণনা করেন। ঘাড়ের শিরা হল শরীরের শিরাগুলির একটি নেটওয়ার্ক, যা মস্তিষ্ক থেকে হৃদপিণ্ডে রক্ত বহন করে। মুনির পাকিস্তান এবং কাশ্মীরের তুলনা করার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু ভারত সরাসরি জবাবে জানিয়ে দিয়েছে যে কোনও বিদেশি জিনিস কীভাবে ঘাড়ের শিরা হতে পারে?
MEA মুখপাত্র জবাবে বলেন, ‘কোনও বিদেশি জিনিস কীভাবে ঘাড়ের শিরায় থাকতে পারে? এটি ভারতের একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং পাকিস্তানের সঙ্গে এর একমাত্র সম্পর্ক হল অবৈধভাবে দখলকৃত অঞ্চলগুলি খালি করা।’ MEA পাকিস্তানকে তার সমস্ত অবৈধভাবে দখলকৃত অঞ্চল (POK) খালি করার দাবি জানিয়েছে। ভারত ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানের দাবি খারিজ করেছে।
আরও পড়ুন:- কাজ করতে পারবেন চাকরিহারা শিক্ষকরা, বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
বিদেশে বসবাসকারী পাকিস্তানিদের সম্মেলন বক্তব্য রাখতে গিয়ে আসিম মুনির জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে ফাটা ক্যাসেট বাজান। একই সঙ্গে ১৯৪৭ সালে পাকিস্তানের জন্ম প্রসঙ্গে দ্বি-জাতি তত্ত্বকে সমর্থন করেছিলেন। মুনির বলেন, ‘আমাদের অবস্থান একেবারে স্পষ্ট, এটি আমাদের ঘাড়ের শিরা ছিল, এটি আমাদের ঘাড়ের শিরা থাকবে। আমরা এটি ভুলব না। আমরা আমাদের কাশ্মীরি ভাইদের বীরত্বপূর্ণ সংগ্রামে ত্যাগ করব না’ মুনির এরপর আরও এক ধাপ এগিয়ে গিয়ে বলেন, ‘হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে তীব্র পার্থক্যই ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের জন্মের কারণ। আমাদের পূর্বপুরুষরা বিশ্বাস করতেন যে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা হিন্দুদের থেকে আলাদা। আমাদের ধর্ম আলাদা। আমাদের রীতিনীতি আলাদা। আমাদের ঐতিহ্য আলাদা। আমাদের চিন্তাভাবনা আলাদা। আমাদের উচ্চাকাঙ্ক্ষা আলাদা। এটাই ছিল দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তি। এটি এই বিশ্বাসের উপর স্থাপিত হয়েছিল যে আমরা দুটি জাতি, একটি নয়।’
আরও পড়ুন:- ৫০ ডিগ্রি গরমেও ট্যাঙ্কের জল ঠান্ডা থাকবে, নতুন টেকনিকটা জানুন