Bangla News Dunia, Pallab : বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের ৭৮-তম স্বাধীনতা দিবস। সেই উপলক্ষেই পাক সেনাবাহিনীতে সংযোজন হল এক নতুন বাহিনীর। বুধবার মধ্যরাতে ‘আর্মি রকেট ফোর্স’ নামে এই নতুন বাহিনী গঠন করার কথা ঘোষণা করেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তবে ঠিক কী কাজ হবে এই বাহিনীর, সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানান হয়নি। এই বিষয়ে শাহবাজ বলেন, ‘‘দেশের সামরিক শক্তির অগ্রগতির ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।’’
আরও পড়ুন : সব জল্পনার অবসান ! বাংলায় হচ্ছে SIR
এর পাশাপাশি শাহবাজ এদিন এও দাবি করেন যে, গত মে মাসে ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের যে সংঘর্ষ হয়েছিল, তাতে নাকি সফল হয়েছে পাকিস্তান। সেই সফলতার স্মারক হিসাবেই নাকি এই নতুন বাহিনী তৈরি করেছে তারা। এদিনের এই অনুষ্ঠানে পাক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারিও উপস্থিত ছিলেন।
তবে অনেকেই অনুমান করছেন যে, চিনের অনুকরণেই পাকিস্তানের এই নতুন বাহিনী গঠিত হয়েছে। প্রসঙ্গত, চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (PLA)-র চতুর্থ শাখাটির নাম ‘রকেট ফোর্স’। এই বাহিনীর মূল কাজ চিনা ফৌজের ব্যালিস্টিক, হাইপারসোনিক এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের সমগ্র অস্ত্রভান্ডার নিয়ন্ত্রণ করা। এর পাশপাশি পারমানবিক অস্ত্রভাণ্ডারও থাকে এই বাহিনীর নজরদারীতেই। তবে কি পাকিস্তানের এই নতুন বাহিনীর ওপরেও একই রকমের দায়িত্ব বর্তাবে, এই নিয়েই শুরু হয়েছে নতুন জল্পনা।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানকে বিভিন্ন সময়ে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করেছে চিন। এদিন স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে সেই চিনকে ‘বন্ধু রাষ্ট্র’ হিসাবে সম্বোধন করে বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়েছেন শাহবাজ। এর পাশাপাশি তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন, সৌদি আরব, তুরস্ক, আজারবাইজান, ইরান এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহিকেও।
প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গী হামলার প্রত্যাঘাতে ভারতের জবাব ছিল ‘অপারেশন সিঁদুর’। এই সেনা অভিযানের দরুন পাকিস্তানের ভেতরে ঢুকে বিভিন্ন জঙ্গী ঘাঁটি গুড়িয়ে দেয় ভারত। এরপর ৪ দিন ধরে এই সংঘর্ষ চলার পর অবশেষে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ভারত ও পাকিস্তান। তবে তার পরেও দুদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে কোনও উন্নতি দেখা যায়নি। এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি পাকিস্তানের একাধিক শীর্ষ নেতার মুখে যেমন যুদ্ধের হুমকি শোনা গিয়েছে, তেমনই সিন্ধুর জল চেয়ে কাতর আর্জি করতেও দেখা গিয়েছে তাদের। সেই আবহেই এবার পাক সেনায় এই নতুন বাহিনীর সংযোজন হল।
আরও পড়ুন : আধার কার্ড নাগরিকত্ব প্রমানের ডকুমেন্টস নয় – জানিয়ে দিলো সুপ্রিম কোর্ট