পুজোর আগেই বিরাট খবর! প্রতিমাসে ৫০০০ টাকা করে ভাতা দেওয়ার ঘোষণা শুভেন্দু অধিকারীর, কারা পাবেন ? জানুন

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- পুজো মিটলেই পশ্চিমবঙ্গে ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বেজে যাবে। আর তাঁর মধ্যেই প্রতিমাসে ৫০০০ টাকা করে সংগ্রামী ভাতা (Sangrami Bhata) দেওয়ার ঘোষণা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari). লোকসভা ভোটের আগে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ভাতা বাড়িয়ে ৩০০০ টাকা করার কথা জানিয়েছিলেন, আর এবার আরও একধাপ এগিয়ে ৫০০০ টাকা ভাতা দেওয়ার বড় প্রতিশ্রুতি দিলেন। আর জনসভায় দাঁড়িয়ে এই ঘোষণা রাজ্য রাজনীতিতে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। এই ভাতা কাদের জন্য এবং কিভাবে দেওয়া হবে, বিস্তারিত জেনে নিন।

পশ্চিমবঙ্গে ৫০০০ টাকা করে সংগ্রামী ভাতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি

বাংলার রাজনৈতিক অঙ্গনে এখন সবচেয়ে বড় আলোচনার বিষয় হলো ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন। বিভিন্ন দলের নেতারা জনগণকে আকৃষ্ট করতে নানা ধরনের লোভনীয় প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। এর মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পটি ইতিমধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা প্রদান করা হচ্ছে। তবে এদিন এক জনসভায় শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন যে এবার থেকে বিজেপি ক্ষমতায় এলে প্রতিমাসে ৫০০০ টাকা করে সংগ্রামী ভাতা দেওয়া হবে। আর ৫০০০ টাকা ভাতা মানে, ছোট খাটো একটি চাকরির সমান। তাই এই খবরে রাজনৈতিক মহলে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।

লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প: মহিলাদের সশক্তিকরণের নতুন ধাপ 📣

লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প রাজ্যের মহিলাদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এই প্রকল্পের অধীনে যোগ্য মহিলারা নিয়মিত আর্থিক সাহায্য পান, যা তাদের দৈনন্দিন জীবনে হাতখরচ ও বিভিন্ন প্রয়োজন মেটাতে সহায়ক হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এই মহৎ উদ্যোগ কে আরও সফল করতে বিধান সভা ভোটের আগে হয়তো এই ভাতার পরিমাণ আবারও বাড়াতে পারেন। তবে তাঁর আগেই পুরুষ মহিলা নির্বিশেষে ৫০০০ টাকা ভাতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন শুভেন্দু বাবু। এ যেন ভোটে জেতার জন্য ভাতা দেওয়ার ঠাণ্ডা প্রতিযোগিতা।

সংগ্রামী ভাতা – যোগ্যতা এবং কারা পাবেন?

পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন ২০২৬ এ লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের উন্নয়নটি মহিলাদের ভোটব্যাঙ্ককে আরও সুবিধা করে দেবে, একথা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প রাজ্যের সমস্ত মহিলাদের জন্য হলেও। শুভেন্দু বাবুর ঘোষণা অনুযায়ী এই নতুন ভাতা কিন্তু সকলে পাবেন না। যদি বিজেপি ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়, তাহলে রাজনৈতিক কারণে শহীদ হওয়া পরিবারগুলোকে সাহায্য করার জন্য, প্রতিমাসে ৫০০০ টাকা করে সংগ্রামী ভাতা দেওয়া হবে। এমনটাই জানা গেছে। এবার এই টাকা কোন প্রকল্পের মাধ্যমে দেবেন, সেটা এখনও স্পষ্ট নয়।

বিজেপির সংগ্রামী ভাতা: নতুন প্রতিশ্রুতির ঢেউ

২০২৫ সালের আগস্ট মাসে পুজোর ঢাকের কাঠি বাজার আগেই রাজ্য রাজনীতিতে নতুন মোড় এসেছে বিজেপির এই ঘোষণায়। শুভেন্দু অধিকারী কাঁচড়াপাড়ায় “কন্যা বাঁচাও” মিছিলে অংশ নিয়ে বড় প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। যদি বিজেপি ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়, তাহলে মাসে ৫০০০ টাকা করে ভাতা দেওয়া হবে। এছাড়া রাজনৈতিক কারণে শহীদ হওয়া পরিবারগুলোকে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। শুভেন্দু বলেছেন, “শহীদ পরিবারের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক কর্তব্য।” এই ঘোষণাটি বিজেপির কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ জাগিয়েছে এবং নির্বাচনী প্রচারকে বাড়তি উদ্যম এনেছে।

সংগ্রামী ভাতার পটভূমি এবং পূর্বের প্রতিশ্রুতি

সংগ্রামী ভাতা প্রতিশ্রুতি রাজ্য বিজেপির সামাজিক অর্থনৈতিক এজেন্ডার অংশ। ২০২৪ সালেও শুভেন্দু বাবু একই ধরনের ঘোষণা করেছিলেন। তখন বলা হয়েছিল যে মিথ্যা মামলায় জেল খাটা আন্দোলনকারীদের ৫০০০ টাকা ভাতা দেওয়া হবে। এই প্রতিশ্রুতিটি শুধু প্রচারের জন্য নয়, বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বলে দাবি করা হয়েছে। বিজেপি এর মাধ্যমে তাদের কর্মীদের প্রতি দায়বদ্ধতা দেখাতে চাইছে। এখন দেখার বিষয়, এই প্রতিশ্রুতি কতটা কার্যকরী হয়।

রাজ্যের বেকারত্ব সমস্যা এবং ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ 💼

রাজ্যের শিক্ষিত যুবক-যুবতীদের বেকারত্ব একটি গুরুতর সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকার বিভিন্ন প্রকল্প চালু করলেও চাকরির সুযোগ সীমিত। যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি না পাওয়ায় অসন্তোষ বাড়ছে। নির্বাচনের আগে দলগুলো এই সমস্যাকে কেন্দ্র করে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। কিন্তু বাস্তবায়নের প্রশ্ন উঠছে সবার মনে। ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের পরেই বোঝা যাবে কোন দলের প্রতিশ্রুতি সত্যি হয়।

প্রধান প্রতিশ্রুতিগুলোর তুলনা

২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন এ রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিশ্রুতি জনসাধারণকে প্রভাবিত করছে। তৃণমূলের লক্ষীর ভান্ডার যেমন একদিকে মহিলাদের জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। ঠিক তেমনি বিজেপির নতুন ভাতা দলীয় কর্মীদের বাড়তি মনোবল যোগাবে। এছাড়া শহীদ পরিবারের সুরক্ষার কথা ভেবে এই সিদ্ধান্ত বলেই জানা গেছে। তবে এইভাবে দলিয় কর্মীদের সরকারি প্রকল্পের মধ্যে ভাতা দেওয়া যায় কিনা, এই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যদিও মৌখিক ঘোষণায় তা স্পষ্ট নয়, নির্বাচনী ইস্তেহারে বিষয়টি উল্লেখ থাকলে সেটা জানা যাবে। অন্যদিকে বেকারত্ব সমাধানে উভয় দলই প্রতিশ্রুতি দিলেও বিস্তারিত পরিকল্পনা দরকার। যে দলই ক্ষমতায় আসুক, বেকার সমস্যা সমাধানে প্রধান গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ।

  • লক্ষ্মীর ভান্ডারের সুবিধা: মাসে ৫০০০ টাকা, মহিলাদের সশক্তিকরণ।
  • সংগ্রামী ভাতার লক্ষ্য: ৫০০০ টাকা আন্দোলনকারীদের, শহীদ পরিবারের সাহায্য।
  • বেকারত্ব সমাধান: চাকরির প্রতিশ্রুতি, কিন্তু বাস্তবায়ন অপেক্ষিত।

উপসংহার

ভোটের আগে রাজ্য রাজনীতিতে এই প্রতিশ্রুতিগুলো নতুন আশা জাগাচ্ছে। কিন্তু জনগণের মনে প্রশ্ন, কতটা বাস্তব হবে এসব। নির্বাচনী প্রচারণায় এগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। দলগুলোকে তাদের কথা রাখতে হবে। ভোটাররা এখন সচেতন, তাই শুধু প্রতিশ্রুতি নয়, ফলাফল দেখেই সিদ্ধান্ত নেবেন। আগামী দিনগুলোতে আরও ঘোষণা আসতে পারে। এবার এটাই দেখার ভোটের ময়দানে কোন দলের পাল্লা ভারি হয়।

আরও পড়ুন:- ‘নতুন ভারত’ গড়ার দিশা, ৭৯তম স্বাধীনতা দিবসে PM মোদীর ১০ বড় ঘোষণা দেখুন

আরও পড়ুন:- দেদার AC, ফ্রিজ, কুলার চালানোর পরও আসবে কম বিল, জেনে নিন উপায়

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন