Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : পৃথিবীর সামনে কি ঘোর সংকট ? পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বিশাল গ্রহাণু। জ্যোর্তিবিজ্ঞানীদের পূর্বাভাস অনুযায়ী পয়লা এপ্রিল একেবারে পৃথিবীর কাছে এসে পড়বে। আয়তনে দিল্লির কুতুব মিনারের থেকে ৩.৫ গুণ বড় এই গ্রহাণু। জ্যোর্তিবিজ্ঞানীদের আভাস, একেবারে পৃথিবীর গা ঘেঁষে বেরোবে।
NASA-র তরফে জানানো হয়েছে ওই গ্রহাণুর নাম Dubbed 2007 FF1। গ্রহাণুটি সাধারণ গ্রহাণু থেকে অনেকটাই আলাদা। কারণ এটির আয়তন বিরাট। আয়তনে দিল্লির কুতুব মিনারের তুলনায় সাড়ে তিনগুণ বড়। জানা গিয়েছে, ওই গ্রহাণুটি চওড়ায় ২৬০ মিটারেরও বেশি চওড়া। ১ তারিখ এটি পৃথিবীর একেবার কাছে এসে পড়বে।
বিজ্ঞানীদের আভাস অনুযায়ী, পৃথিবীর কাছে এলেও আমাদের গ্রহে আছড়ে পড়ার কোনও সম্ভাবনা নেই গ্রহাণুটির। সেদিন এর গতিপথের সঙ্গে পৃথিবীর দূরত্ব দাঁড়াবে মাত্র ৭৪,২৩,০৪৬। যেহেতু এটি পৃথিবীর একদম কাছাকাছি চলে আসবে তাই এটিকে NEO বলা হয়েছে। পৃথিবীর দিকে প্রায় ৪৬,১৮৮ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে ছুটে আসছে গ্রহাণুটি।
গত জানুয়ারি মাসে পৃথিবীর গা ঘেঁষে যায় বুর্জ খলিফার চেয়ে বড় এক গ্রহাণু। NASA-এর তরফে জানানো হয়েছে, নাম 7842 (1994 PCI)। গ্রহাণুটি সাধারণ গ্রহাণু থেকে অনেকটাই আলাদা। কারণ এটির আয়তন বিরাট। আমাদের পৃথিবীতে থাকা সবথেকে বড় বিল্ডিংয়ের তুলনায় ওই গ্রহাণুটি ছিল আকারে বড়।
ইন্টারন্যাশনাল আকাডেমি অফ অ্যাস্ট্রোনটিকস প্ল্যানেটরি ডিফেন্স কনফারেন্সে বক্তৃতা দেওয়ার সময়ে জিম ব্রাইডেনস্টাইন জানিয়েছিলেন, বিভিন্ন হলিউড ছবিতে বার বার দেখানো হয়েছে অ্যাস্টেরয়েড পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়লেও, অদ্ভূত ক্ষমতাবলে মানুষ তার প্রভাবকে হারিয়ে ফের ছন্দে ফিরে এসেছে মাত্র কয়েক ঘন্টায়। ফলে মানুষের মনে কোথাও না কোথাও এক মিথ্যে বিশ্বাস তৈরি হয়েছে। তাঁরা বুঝতে পারছেন না সত্যিই কোনওদিন এমন কিছু ঘটলে তা কতটা ভয়ংকর আকার ধারণ করতে পারে।
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল