Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- তেল আবিভের বাট ইয়াম এলাকায় বৃহস্পতিবার পরপর তিনটি বাসে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ। সৌভাগ্যবশত কেউ হতাহত হয়নি। তবে পুরোটাই ‘রিভেঞ্জ থ্রেট’ ছিল। এখনও কেউ এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে ইজরায়েলের পেজার হামলার পাল্টা বদলা নিতেই যে এটা করা হল, তা স্পষ্ট।
বাস ও ট্রেনে পরিষেবা বন্ধ
পুলিশ জানিয়েছে, আরও দু’টি বাসে বিস্ফোরক রাখা হয়েছিল, যা সফলভাবে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। ঘটনার পর ইজরায়েলের পরিবহনমন্ত্রী মিরি রেগেভ দেশের সমস্ত বাস, ট্রেন ও লাইট রেল পরিষেবা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। আরও কোথায় কোথায় বিস্ফোরক রাখা, তার খোঁজ শুরু হয়েছে।
উত্তেজনা বৃদ্ধি পেল পশ্চিম তীরে
ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াভ গ্যালান্ট আইডিএফ (ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী)-কে নির্দেশ দিয়েছেন, পশ্চিমের শরণার্থী শিবিরগুলিতে নজরদারি বাড়াতে। বর্তমানে আইডিএফ ও শিন বেট যৌথভাবে এই বিস্ফোরণের তদন্ত করছে।
প্রতিশোধ-হামলা?
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, পার্কিং লটে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে আগুন। পাশের একটি গাড়িও দাউ দাউ করে জ্বলছে। তেল আবিব জেলার পুলিশ প্রধান হেম সারগারোভ জানিয়েছেন, বিস্ফোরক ডিভাইসগুলিতে টাইমার দেওয়া ছিল। তাতে কিছু লেখাও ছিল। কিছু রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, ডিভাইসে ‘Revenge Threat’ লেখা ছিল। তবে হামলাকারীদের সংখ্যা এখনও স্পষ্ট নয়।
তুলকারেম ব্রিগেডের হুঁশিয়ারি
একটি টেলিগ্রাম চ্যানেল থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমাদের শহিদদের আত্মত্যাগ ভুলে যাওয়া যাবে না। এটিই আমাদের প্রতিশোধ।’ টেলিগ্রাম চ্যানেলটি হামাসের তুলকারেম ব্রিগেডের বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও তারা সরাসরি এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।
নেতানিয়াহুর যা বলছেন
ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দফতর জানিয়েছে, গোটা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:- মহিলাদের জন্য সেরা 5 অনলাইন কোর্স। বাড়ি বসে শিখে প্রতিমাসে হাজার হাজার টাকা রোজগার করুন
লেবাননে পেজার হামলার কথা মনে আছে?
গত বছর লেবানন ও সিরিয়ার কিছু অঞ্চলে ‘পেজার ব্লাস্ট’ হয়। বিস্ফোরণের কয়েক সেকেন্ড আগে এগুলি থেকে বিপের শব্দ আসছিল। কেউ কেউ পেজার পকেট বা ব্যাগ থেকে বের করার আগেই সেটি বিস্ফোরিত হয়।
এই বিস্ফোরণে ১১ জন নিহত হয়। এর মধ্যে একটি শিশুও ছিল। প্রায় ৪,০০০ জন আহত হন। ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ তাঁদের দৃষ্টিশক্তি হারান। ইরানের লেবানন দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মোজতাবা আমানি এক চোখ হারান এবং অন্য চোখ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। লেবাননের কয়েকজন সংসদ সদস্যের সন্তানও নিহত হন।
ইজরায়েল হামলার দায় স্বীকার করেছিল
এই হামলার দায় স্বীকার করে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু জানিয়েছিলেন, তিনিই লেবাননে হিজবুল্লাহর ঘাঁটিগুলিতে ‘পেজার ব্লাস্ট অপারেশন’ চালানোর অনুমোদন দিয়েছিলেন। এতে প্রায় ৪০ জন জঙ্গি নিহত হয় এবং ৩,০০০ জন আহত হয়েছিল।
জানা যায়, পুরো কাজটাই করেছিল ইজরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ। হিজবুল্লাহ Gold Apollo নামের একটি সংস্থার থেকে পেজার নেবে বলে তারা জানত। আর সেটা জানতে পেরেই তারা আগেভাগে ৩০০০ পেজারে বিস্ফোরক ফিট করেছিল। পেজারগুলো এপ্রিল থেকে মে মাসের মধ্যে তাইওয়ান থেকে লেবাননে পাঠানো হয়েছিল। এরপর হিজবুল্লাহর হাতে পেজার পৌঁছাতেই দূরে বসেই তাতে বিস্ফোরণ ঘটায় মোসাদ।
আরও পড়ুন:- আঙুর শুধু জলে ধুলেই হয় না, ৩ উপায়ে পরিষ্কার না করলে মারণ রোগের বাসা বাঁধবে
আরও পড়ুন:- রেখা গুপ্তা কে? কেন তাঁকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী করল BJP?