Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ফের উত্তরপ্রদেশের ধর্ষণের ঘটনা। এবার দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ২৩ জন মিলে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল। ২৯ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিলের মধ্যে সেই ছাত্রীকে লাগাতার গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনা সামনে আসার পর পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। উত্তরপ্রদেশে নারীদের নিরাপত্তা নিয়েও সবর হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো।
তদন্তকারীদের তরফে জানানো হয়েছে, উত্তরপ্রদেশ পুলিশের তরফে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তাতে ২৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। তাদের মধ্যে ১১ জন অজ্ঞাতপরিচয়। ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ওই যুবতীকে গত ২৯ তারিখ তাঁরই এক বন্ধু বারাণসির এক হুক্কা বারে নিয়ে যান। সেদিন থেকেই নিখোঁজ হন তিনি। তবে ৪ তারিখ তাঁকে উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের একটি কলেজে স্পোর্টস কোটায় ভর্তির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ওই যুবতী। সেদিনও তিনি রান প্র্যাকটিস করতে যাচ্ছিলেন। তখনই বন্ধুর সঙ্গে যান। এক তদন্তকারী বলেন, ‘ওই যুবতী জানিয়েছেন, ২৯ মার্চ বন্ধুর সঙ্গে নিজের ইচ্ছেতেই গিয়েছিলেন হুক্কাবারে। তবে সেই বারে আরও কয়েকজন যোগ দেয়। তাঁরা ঠান্ডা পানীয়তে মাদক মিশিয়ে খাইয়ে দেন যুবতীকে। তারপর সিগরা এলাকার নানা হোটেলে নিয়ে যান। সেই সব হোটেলেই তাঁকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।’
পুলিশ আরও জানিয়েছে, অভিযুক্তদের মধ্যে অনেকে ওই যুবতীর প্রাক্তন সহপাঠী। কেউ কেউ আবার ইনস্টাগ্রামের বন্ধু। এদিকে অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তকারীরা সেই হুক্কাবারেও তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সেই সব ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজও।
ডিসিপি চন্দ্রকান্ত মিনা এই ঘটনা নিয়ে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ওই যুবতী স্বেচ্ছাতেই গিয়েছিলেন তাঁর এক বন্ধুর সঙ্গে। ৪ এপ্রিল পরিবারের তরফে মিসিং ডায়েরি করা হয়। সেদিনই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। তবে তখন পরিবারের তরফে যৌন হেনস্থা বা ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়নি।’
এক পুলিশ আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, যুবতী নাবালিকা নন। তাঁর বয়স ১৮-এর বেশি। তাঁর মেডিক্যাল টেস্ট করানো হয়েছে।