পোস্টার বিতর্কে সৃজিত-পরমব্রতর সিনেমা ‘কিলবিল সোসাইটি’, জানতে বিস্তারিত পড়ুন

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- সালটা 2018 ৷ আচমকাই বেজে ওঠে মুঠো ফোন ৷ অচেনা নম্বর থেকে ফোন ধরতেই বিপরীত প্রান্তে ছোট্ট বাচ্চা করুণ গলায় সাহায্য চাইছে ৷ তারপরেই কেটে যায় ফোন ৷ সঙ্গে সঙ্গে সেই নম্বরে কলব্যাক করলেই চমকে উঠেছিলেন অনেকেই ৷ সেই নম্বর থেকে একটি মেসেজ আসে যেখানে দেওয়া হয় বিনোদ কাপরি পরিচালিত ‘পিহু’ ছবির ট্রেলার লিঙ্ক ৷ সেই সময় ছবির প্রোমোশনাল অ্যাক্টিভিটি নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয়েছিল ৷ সেই সমালোচনার সম্মুখীন এবার পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ও ৷ আসন্ন ছবি ‘কিলবিল সোসাইটি’র প্রোমোশনাল পন্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে নেটপাড়া ৷

আসলে কলকাতার বেশ কিছু জায়গায় একটা পোস্টার ভীষণভাবে নজর কেড়েছে ৷ আপনি রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন ৷ হয়তো গভীর কোনও মনস্তাত্ত্বিক সমস্যায় আক্রান্ত, অথবা জটিল কোনও মনের সঙ্কটে জেরবার। প্রতিনিয়ত মৃত্যুপ্রবণতা উঁকি মারছে মনের গহনে ৷ ঠিক তখনই নজরে এল বিশাল বড় পোস্টার ৷ যেখানে লেখা, “অসহায় লাগছে ? হোয়াটসঅ্যাপ করুন: মৃত্যুঞ্জয় কর 6292338269”

Killbill Society promotion Controversy

প্রোমোশনাল পন্থা নিয়ে প্রশ্ন নেটপাড়ায় (স্ক্রিনশট)

আপনি হয়তো কারোর সঙ্গে দুটো কথা বলে হালকা হতে চাইছেন বা জটিল মনের অন্ধকার থেকে বেরোতে চাইছেন ৷ অবসাদগ্রস্ত হয়ে, হতাশ হয়ে যেই আপনি সেই নম্বরে মেসেজ করলেন সঙ্গে সঙ্গে এসে যাবে একটা বার্তা ৷ যাতে লেখা, “আমি Killbill Society-এর মৃত্যুঞ্জয় কর ৷ here to help কীভাবে? জানতে চলে আসুন আপনার কাছের cinema hall-এ, 11th April!” অবসাদের মতো বিষয়কে এইভাবে সিনেমার প্রচারে নিয়ে আসায় ক্ষুদ্ধ নেটপাড়া ৷ এই ধরনের প্রচার কেন ?

আরও পড়ুন:- সন্তানের ব্রেন হবে আইনস্টাইনের মতো, সকালে এই ৬ কাজ করান

 

পরমব্রতর বক্তব্য

অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় যাঁকে কিলবিল সোসাইটি ছবিতে দেখা যাবে মৃত্যুঞ্জয় কর চরিত্রে তিনি বলেন, “আমি এটার ভাবনা ভাবিনি ৷ ছবিটির পরিচালক-প্রযোজক কোনওটাই আমি নই ৷ এটা নিয়ে আমার কথা বলার মানে হয় না ৷ আমার মনে হয় ওনারা ভালো বলতে পারবেন ৷”

নেটপাড়ায় পরিচালক সৃজিতের পোস্ট

অন্যদিকে সৃজিত মুখোপাধ্যায় সোশাল মিডিয়ায় বিতর্কের অবসানের জন্য একটি পোস্ট করেন ৷ যেখানে তিনি মার্কেটিং স্ট্রাটেজিতে তাঁর যে কোনও ভূমিকা নেই সেই বিষয় স্পষ্ট করেন ৷ পরিচালক লেখেন, “কিলবিল সোসাইটির মার্কেটিং স্ট্রাটেজিতে আমার কোনও ভূমিকা নেই ৷ আউট অফ দ্য বক্স চিন্তাভাবনা ও সমাজের ওপর এর ক্ষতিকারক প্রভাব ইত্যাদি বিষয় নিয়ে মার্কেটিং টিম এসভিএফ কথা বলতে পারবে ৷ তাই আপনাদের যাবতীয় প্রশ্ন সঠিক জায়গায় করুন ৷” তিনি আরও লেখেন, “একজন পরিচালক ও লেখক হিসাবে এইটুকু বলতে পারি হেমলক সোসাইটি, কিলবিল সোসাইটি প্রো-লাইফ ফিল্ম ৷ কিলবিল সোসাইটি অ্যাঞ্জেলিনা জোলির জীবনের এক বাস্তব ঘটনা দ্বারা অনুপ্রাণিত অত্যন্ত জীবন-পন্থী সিনেমা ৷”

 

মূলত, প্রথমদিকে ‘6292338269’- নম্বরে মেসেজ করলে সিনেমার বার্তার সঙ্গে যুক্ত ছিল ‘কিলবিল সোসাইটি’ ট্রেলারের ইউটিউব লিঙ্ক ৷ পরবর্তী সময়ে তা বদলে যায় ৷ হয়তো সমালোচনার কারণে প্রোমোশনে একটু বদল আনা হয় ৷ বর্তমানে সেই নম্বরে মেসেজ করলে ‘লাইফলাইন ফাউন্ডেশন’-এর একটি লিঙ্ক চলে আসছে হোয়াটসঅ্যাপে ৷ সিনেমার প্রচারের সঙ্গে নীচে লিখে দেওয়া, “অবসাদের কারণে যদি আপনি কারোর সঙ্গে কথা বলতে চান, তাহলে লিঙ্কে দেওয়া সাইটে বিশদে জানতে পারবেন ৷”

প্রযোজনা সংস্থা এসভিএফের বক্তব্য

ছবির মার্কেটিং স্ট্রাটেজি নিয়ে এসভিএফের মুখপাত্র অহনা কাঞ্জিলাল বলেন, “আগে আমরা হেমলক সোসাইটি তৈরি করেছি এখন কিলবিল সোসাইটি ৷ এটি এমন এক সিনেমা যা জীবনে আশার কথা বলে, সাহস জোগায় ৷ মানসিক অবসাদ বা নিজের ক্ষতি করার প্রবণতাকে নিরুৎসাহিত করে ৷ সেই কারণে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে লাইফলাইন নম্বর দেওয়া হয়েছে ৷ আমাদের লক্ষ্য তাঁদের পাশে দাঁড়ানো যাঁদের সাহায্যের দরকার ৷”

উল্লেখ্য, এর আগে সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত টেক্কা ছবির প্রোমোশন ঘিরেও বিতর্ক তৈরি হয়েছিল ৷ আরজি কর আবহে সেই ছবির পোস্টারে ‘আমার মেয়েকে কে ফেরাবে ?’ লাইন ব্যবহার নিয়ে বিতর্ক শুরু হয় ৷ দেব-রুক্মিণী, স্বস্তিকা অভিনীত সেই ছবির পোস্টারে রাতারাতি বদল আনা হয় ৷ সেই পোস্টার বদলে ফেলে করা হয় ‘আমার অবন্তিকাকে কে ফেরাবে? সময়!’ অর্থাৎ পোস্টার থেকে ‘মেয়ে’ শব্দটি বদলে চরিত্রের নাম বসানো হয়।

আরও পড়ুন:- পিঠ- কোমরের ব্যথায় ভুগছেন? প্রতিকারের ৫ ঘরোয়া উপায় জেনে রাখুন

আরও পড়ুন:- ক্যানসার, ডায়াবেটিস সহ জীবনদায়ী ওষুধের দাম বাড়তে চলেছে, বিস্তারিত জানুন

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন