প্যালেস্টাইনের পূর্ণ সদস্যপদের পক্ষে ভোট দিল ভারত। শুক্রবার সকালে ১৯৩ সদস্যের সাধারণ সভা (জেনারেল অ্যাসেম্বলি)-য় ১৪২টি দেশ ওই প্রস্তাবের সমর্থনে ভোট দিয়েছে। আরব দুনিয়ার পর ভারতই প্রথম দেশ, যারা প্যালেস্তিনীয়দের প্রতিনিধি হিসেবে Palestine Liberation Organisation-কে স্বীকৃতি দেয়। কিন্তু আগের সেই অবস্থান থেকে ভারত সরে আসছে কি না, প্রশ্ন উঠছিল গত কয়েক বছর ধরে। সেই আবহেই ভারত ফের প্যালেস্টাইনের সমর্থনে এগিয়ে এল। রাষ্ট্রপুঞ্জের ভোটাভুটিতে দ্বিরাষ্ট্র নীতির পক্ষে ভোট দিল ভারত। অর্থাৎ ইজরায়েল (Israel) এবং প্যালেস্টাইন (Palestine), দুই পৃথক রাষ্ট্রের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পক্ষে ভোট দেওয়া হল।
শুক্রবার ইজরায়েল সহ ১০টি দেশ প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে। ১২টি দেশ ভোটদানে বিরত ছিল। ভারতের পাশাপাশি ১৪২টি দেশই পৃথক ইজরায়েল ও প্যালেস্টাইন রাষ্ট্রের পক্ষে ভোট দিয়েছে। এই শান্তি উদ্যোগের মূল অভিমুখ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ওয়েস্ট ব্যাঙ্কের স্বশাসিত প্যালেস্টাইন কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণকে স্বীকৃতি দেওয়া। ভারতের অবস্থান অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ বেশকিছু দিন ধরেই প্যালেস্টাইন নিয়ে নরেন্দ্র মোদি সরকারের অবস্থান ঘিরে প্রশ্ন উঠছিল। এমনকি গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে ভোটাভুটির সময় গত তিন বছরে চার বার ভোটদান থেকে বিরত ছিল ভারত। আমেরিকা এবং ইজরায়েলের সঙ্গে সখ্যের জেরেই মোদি সরকার অবস্থান পাল্টাচ্ছে বলে বিস্তর কাটাছেঁড়া হয়। তাই ভারতের সমর্থন নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলেও।
তথ্য পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৫ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভা ইজরায়েলের বিরুদ্ধে ১৫৪টি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। তাতে প্যালেস্টাইনের প্রতি ইজরায়েলের নীতির তেমন বদল হয়নি। ২০২২ সালের ৭ অক্টোবরের পর থেকে বিরামহীন আক্রমণ চালাচ্ছে ইহুদি দেশের সেনা। তাতে গাজায় প্রাণ হারিয়েছেন বহু মানুষ। এই আবহে রাষ্ট্রপুঞ্জে (UN) ভারতের অবস্থান যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।