Bangla News Dunia, দীনেশ :- ক্ষমতায় আসার পরই রাশিয়া-ইউক্রেন (Russia-Ukraine) যুদ্ধ থামাতে উদ্যোগী হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চলমান এই যুদ্ধ থামাতে মঙ্গলবার সৌদি আরবে (Saudi Arabia) বৈঠকে বসেছে আমেরিকা এবং রাশিয়া (Russia-US talks)। তবে আশ্চর্যজনকভাবে এই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি ইউক্রেনকে। কিন্তু এর মাঝেই ক্রেমলিনের (Kremlin) ঘোষণা, প্রয়োজনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই ঘোষণার পরই সৌদিতে পুতিন ও জেলেনস্কির সাক্ষাতের জল্পনা আরও বেড়েছে।
আরো পড়ুন :- 22 মার্চ থেকে শুরু IPL, প্রিয় দল KKR-এর ম্যাচ কবে কবে ? দেখে নিন তালিকা
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘পুতিন নিজেই বলেছেন যে প্রয়োজনে তিনি জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। তবে জেলেনস্কির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে, একথা বিবেচনা করে চুক্তির আইনি ভিত্তি নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে।’ মঙ্গলবার সৌদি আরবে আমেরিকা ও রাশিয়ার এই উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে মার্কিন বিদেশ সচিব মার্কো রুবিও ও রাশিয়ার আধিকারিকরা উপস্থিত রয়েছেন। তবে সৌদি আরবের এই বৈঠকে ইউক্রেনের কোনও প্রতিনিধি না থাকায় ক্ষুব্ধ জেলেনস্কি। এই নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনকে ছাড়াই ইউক্রেন নিয়ে কোনও আলোচনা বা চুক্তিকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না।’ সূত্রের খবর, বুধবারই সৌদি আরব সফরে যাচ্ছেন জেলেনস্কি। কিন্তু সেখানে আমেরিকা বা রাশিয়ার কোনও প্রতিনিধির সঙ্গে তাঁর বৈঠকে সম্ভাবনা নেই বলেই জানা গিয়েছে।
আরো পড়ুন :- গুগল অ্যাডসেন্স দিয়ে বাড়িতে বসেই অনলাইনে কিভাবে ইনকাম কলরবেন ? দেখে নিন
এদিকে ইউরোপীয় দেশগুলি এবং ন্যাটো রাশিয়ার প্রতি আমেরিকার নীতিতে হঠাৎ পরিবর্তনের বিষয়টি নিয়েও বেশ উদ্বিগ্ন। মনে করা হচ্ছে, সৌদিতে এই বৈঠকে মাধ্যমেই আমেরিকা ও রাশিয়ার দূরত্ব কমবে। সেই সঙ্গে ট্রাম্প ও পুতিন একজোট হয়ে কোনও শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজনও করতে পারেন। তবে জেলেনস্কির সঙ্গে পুতিন আলোচনায় বসতে রাজি হওয়া একটি ইতিবাচক লক্ষণ বলেই মনে করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে ইউক্রেন যুদ্ধের কোনও সমাধান বেরিয়ে আসতে পারে।
আরো পড়ুন :- রয়েছে বিশেষ ঔষধি গুণ, একবার এই ফসল চাষ করলেই লাখপতি হওয়া কনফার্ম