প্রস্টেট ক্যান্সার বাড়ছে, এই মারণ রোগের উপসর্গ কী? এক ক্লিকে জেনে নিন

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আক্রান্ত হয়েছেন প্রস্টেট ক্যান্সারে। ডাক্তাররা জানিয়েছেন, চিকিৎসা সম্ভব হলেও এর নিরাময় সম্ভব নয় তাঁর ক্ষেত্রে। পুরুষদের মধ্যে আখছাড় এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। কী এই রোগের লক্ষণ? প্রতিকারই বা কী?

প্রস্টেট ক্যান্সারে মৃত্য হার কম। তবে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা নেহাত কম নয়। মূলত প্রৌঢ় এবং বৃদ্ধ পুরুষদের শরীরে এই ক্যান্সার থাবা বসায়।

প্রস্টেট কী?
প্রস্টেট মূত্রথলির নীচে ও মলদ্বারের উপরে থাকা একটি ছোট্ট গোলাকার অঙ্গ। যখন ওই অঙ্গটির ভিতর কোশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দ্রুত হারে  বাড়তে থাকে, তখনই তা ক্যান্সারে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়।

প্রস্টেট ক্যান্সারের লক্ষণ কী কী?
অনেক সময়েই বাইরে থেকে বোঝা না গেলেও প্রস্টেটের নানা সমস্যাকে অন্য রোগের উপসর্গ ভেবে বসে ফেলেন আক্রান্তরা। তবে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কিছু নির্দিষ্ট উপসর্গ দেখা গেলে তৎক্ষণাৎ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। যেমন-

> ঘন ঘন প্রস্রাব
> প্রস্রাবের সঙ্গে রক্তপাত
> প্রস্রাবের সঙ্গে বীর্যপাত
> ইরেকটাইল ডিসফাংশন
> শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ব্যথা
> পায়ের দুর্বলতা
> প্রস্রাবের বেগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা
> ওজন কমতে থাকা
> প্রচন্ড ক্লান্তি এবং দুর্বলতা

কী কী কারণে প্রস্টেট ক্যান্সার হতে পারে?
বেশ কয়েকটি কারণে প্রস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। এর মধ্যে একদিকে যেমন রয়েছে বয়স, অন্যদিকে রয়েছে পারিবারিক ইতিহাসের মতো দিকগুলিও। জিনের সমস্যাও একটি বড় কারণ হতে পারে। একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর এই ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। সাধারণভাবে সেই বয়সটি ৪০-৫০ বছর। ৫০ বছরের পর এই ঝুঁকির হার আরও বেড়ে যায়। দেখা গিয়েছে, প্রস্টেট আক্রান্ত ১০ জনের মধ্যে ৬ জনেরই বয়স ৬৫ বছরের বেশি।

পাশাপাশি, বর্তমানে অতিরিক্ত ফ্যাটজাতীয় খাবার, কার্বোহাইড্রেট খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে গিয়েছে। যা থেকে নানা রকম রোগ হওয়ার আশঙ্কাও বেশি থাকে। এই একই তালিকায় রয়েছে প্রস্টেট ক্যান্সারও।

প্রতিরোধের উপায় কী?
প্রস্টেট ক্যান্সার ঠেকাতে নিয়মিত মূত্র পরীক্ষা করানো জরুরি। অন্তত ৪০-৫০ বছর বয়স হলে এই পরীক্ষা নিয়ম করে করাতে হবে। খাওয়াদাওয়ার মধ্যে বদল আনা প্রথমেই জরুরি। সারাদিন বসে কাজের ফলে ওজন বৃদ্ধি এবং তার উপর অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া বাড়িয়ে দিচ্ছে রোগের ঝুঁকি। ফ্যাটের পরিমাণ কমিয়ে ফাইবারের পরিমাণ বাড়াতে হবে প্রতিদিনের ডায়েটে।

আরও পড়ুন:- সিকিম যাচ্ছেন? কোথায় কোন রাস্তা খোলা ? রাস্তার হাল জেনে পা ফেলুন

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন