প্রাচীনকালেও ভারতে ছিল ফুচকার প্রচলন ! জানুন মুখরোচক ফুচকার ইতিহাস

By Bangla News Dunia Desk - Pallab

Published on:

Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : সারা দেশে এমন কোনও লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না যিনি ফুচকা খেতে ভালোবাসেন না! উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম— ফুচকার প্রশ্নে সকলেই একমত ! অবশ্য বাংলায় আমরা ফুচকাকে ফুচকা বললেও দেশের অন্যান্য প্রান্তে ফুচকার বিবিধ নাম যেমন— গোলগাপ্পা , পানিপুরি , ফুচকা, গুপচুপ, পানি কে পাতাশে এবং পাকোড়ি ! সকলেই এই সুস্বাদু স্ট্রিট ফুড খেতে খুব পছন্দ করেন। ফুচকাপ্রেমীরা কি জানেন, ফুচকার জন্ম ঠিক কত বছর আগে ? কীভাবে ফুচকা পরিবেশন করা হতো আগে? কারা খাওয়াতো ফুচকা ? জানুন সেই ইতিহাসে—

ভারতে ফুচকা তৈরি করা হয় একাধিক উপাদানের সমাহারে। আটা, ময়দা, সুজি, নুন, বেকিং সোডা ও জল দিয়ে প্রথমে মণ্ড তৈরি করা হয়। এরপর মণ্ড থেকে ছোট্ট ছোট্ট লেচি কেটে তৈরি করা হয় পুঁচকে আকারের পুরি! এরপর আলুসেদ্ধর সঙ্গে একাধিক ঝাল ও নোনতা মশলা, লেবুর রস মাখিয়ে প্রস্তুত হয় পুর। ঠান্ডা মশলাদার জলে ডুব দেওয়া করিয়ে বাটিতে পরিবেশন করা হয়। ভাবতেই জিভে জল এসে গেল !

avilo construction

পুরাণেও কিন্তু ফুচকার উল্লেখ রয়েছে। অনায়াসে যে খাদ্য আপনি রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে মুদিত নয়েনে অনায়াসে টপাটপ মুখে পুরছেন, সেই ফুচকার সংযোগ রয়েছে পুরাণের সঙ্গে। পুরাণের গাঁথা বিশ্বাস করতে হলে বলতে হয়, দ্রৌপদীই প্রথম পঞ্চপাণ্ডবকে ফুচকা সেবন করিয়েছিলেন।

মনে করা হয়, পাণ্ডবরা যখন নির্বাসনে ছিলেন, কুটিরে খুব সামান্যই খাদ্য বেঁচে ছিল। বউমাটি ঘর চালাতে পারদর্শী কি না তা যাচাই করার জন্য, কুন্তী সামান্য আটা এবং কিছু সব্জি তুলে দেন দ্রৌপদীর হাতে। পাণ্ডবদের ক্ষুধা নিবৃত্তি করা কি সোজা কথা। সামান্য রসদে কীভাবেই বা তাঁদের খিদে মিটবে।

তা সত্ত্বেও দ্রৌপদী হার মানলেন না। সামান্য আটা দিয়েই দিয়ে তৈরি করে ফেললেন ফুচকা! তাতে দিলেন সেদ্ধ সব্জির পুর। দেশের নানা প্রান্তে মহাভারততে বিশ্লেষণ করা হয়েছে নতুনভাবে। বহু লেখক মূল মহাভারতের কাহিনির সঙ্গে জুড়েছেন আরও নানা তথ্য। ফলে লেখকের বাসস্থান, সংস্কৃতি ও বিশ্বাসও কখনও কখনও জুড়ে গিয়েছে মূল কাহিনির সঙ্গে। ঘটনা পুরোপুরি সত্য কি না তা যাচাই করা সম্ভব নয়।

৪০০ বছরের পুরনো ইতিহাস

আরও একটি ইতিহাস প্রচলিত রয়েছে ফুচকাকে ঘিরে। মগধের সময়কালেই নাকি ফুচকার উত্থান ঘটেছিল। তবে সেই সময় মশলার ব্যবহার বা পুরের ব্যবহার। মোট কথা শুরু যেভাবেই হোক না কেন, ফুচকা এখনও খাদ্যরসিকদের জিভে ও প্রাণে তৃপ্তি জুগিয়ে যেতে পারছে।

আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল

Bangla News Dunia Desk - Pallab

মন্তব্য করুন