প্রাথমিকে আরও অনেক প্রার্থী চাকরি পেতে চলেছেন, দেখুন অর্ডার কপিতে কী বলা হল

By Bangla News Dunia Desk - Pallab

Published on:

কলকাতা হাইকোর্টের একটি সাম্প্রতিক আদেশে ২০০৯ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার আরও বেশ কিছু প্রার্থীর জন্য চাকরির দরজা খুলে গেল। এই রায়টি সেই সমস্ত প্রার্থীদের জন্য একটি বড় স্বস্তি হিসাবে এসেছে যারা দীর্ঘ সময় ধরে আইনি লড়াই চালাচ্ছিলেন। এই আদেশের ফলে হাওড়া জেলার বেশ কিছু চাকরিপ্রার্থীর নিয়োগের পথ পরিষ্কার হয়ে গেল, যা নিঃসন্দেহে রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

আরও পড়ুন : প্রথম চাকরিতে ঢুকলেই মিলবে ১৫ হাজার টাকা, বড় ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর

মামলার প্রেক্ষাপট

এই মামলার আবেদনকারীরা ২০০৯ সালে হাওড়া জেলায় প্রাথমিক শিক্ষক পদের জন্য আবেদন করেছিলেন। তাঁরা লিখিত পরীক্ষা এবং অ্যাপটিটিউড টেস্টেও অংশগ্রহণ করেন। কিন্তু, হাওড়া ডিস্ট্রিক্ট প্রাইমারি স্কুল কাউন্সিল (DPSC) প্রাথমিকভাবে তাঁদের জানায় যে তাঁরা কাট অফ মার্কসের নিচে থাকায় অযোগ্য। এর বিরুদ্ধেই প্রার্থীরা আদালতে যান এবং দাবি করেন যে তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর আসলে কাট অফের উপরে ছিল।

আদালতের নির্দেশ

বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে এই মামলার শুনানি হয়। আদালত তার পর্যবেক্ষণে জানায় যে, যে সমস্ত প্রার্থী ৩১শে মার্চ, ২০২৪-এর কাট অফ তারিখের আগেই রিট পিটিশন দাখিল করেছিলেন, তাঁদের আবেদন বিবেচনা করতে হবে। বর্তমান মামলার আবেদনকারীরা যেহেতু নির্দিষ্ট সময়সীমার আগেই আদালতে আবেদন করেছিলেন (রিট পিটিশন নম্বর 2609/2023), তাই আদালত তাঁদের পক্ষে রায় দিয়েছে।

আদালতের এই আদেশের মূল বিষয়গুলি হল:

  • যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ: যে সমস্ত আবেদনকারী নির্দিষ্ট কাট অফ তারিখের আগে রিট পিটিশন দাখিল করেছিলেন, তাঁদের নিয়োগের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
  • পর্ষদের দায়িত্ব: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে এই প্রার্থীদের নিয়োগ নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে, কারণ তাঁরা আইনত চাকরির জন্য যোগ্য।
  • নিয়োগের নিশ্চয়তা: যেহেতু এই মামলার পিটিশনাররা নির্ধারিত কাট-অফ ডেটের আগেই তাঁদের রিট পিটিশন ফাইল করেছেন, তাই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ তাঁদের চাকরি দিতে বাধ্য।

আরও পড়ুন : সব জল্পনার অবসান ! বাংলায় হচ্ছে SIR

Bangla News Dunia Desk - Pallab

মন্তব্য করুন