প্রাথমিকে ৩২ হাজার চাকরি বাতিলে বিরাট আপডেট ! ‘সিঁদুরে মেঘ’ দেখছেন মমতা

By Bangla News Dunia Desk - Pallab

Published on:

Bangla News Dunia, Pallab : রাজ্যে মমতা সরকার ক্ষমতায় আসার পর যে সমস্ত নিয়োগ হয়েছে তার বেশিরভাগ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির কবলে। রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ থেকে শুরু করে পৌরসভা কর্মী নিয়োগ এমনকি পশ্চিমবঙ্গ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া ও নানা দুর্নীতির অভিযোগ দেখা দিয়েছে। দুর্নীতির কারণে বহু নেতা মন্ত্রী জেলে রয়েছেন। রাজ্য রাজনীতিতে এই নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। কেননা রাজ্য এবার সর্বকালের সেরা দুর্নীতির কবলে রয়েছে।

আরও পড়ুন : বিদ্যুৎ বিল কমাতে সরকারের নতুন উদ্যোগ! কি সুবিধা হবে ? বিস্তারিত জেনে নিন

শিক্ষক ও শিক্ষা ব্যবস্থার অবস্থা

আমরা সকলে জানি সমাজ গড়ার কারিগর হল শিক্ষক এবং শিক্ষা ব্যবস্থা। কিন্তু এই শিক্ষক এবং শিক্ষা ব্যবস্থায় যদি নিয়োগ দুর্নীতি দেখা যায় তাহলে ভবিষ্যৎ সমাজ কোন দিকে এগোবে। গত দু বছর আগে রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বেশ কয়েকটি নির্দেশ জারি করা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট থেকে । রাজ্যে উচ্চ মাধ্যমিক মাধ্যমিক এবং প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের অতি ক্ষেত্রেই নিয়োগ দুর্নীতির ছাপ রয়ে গেছে। যার যারাই কত ২০২৩ সালের ১৬ই মে তৎকালীন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বেশ কিছু নিয়োগ বাতিলও করেছিলেন।

স্কুল সার্ভিস কমিশনে ২৬ হাজার চাকরি বাতিল

বর্তমানে রাজ্যের সবথেকে বড় দুর্নীতি হলো স্কুল সার্ভিস কমিশনের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি। যদিও কত দু’বছর আগে কলকাতা হাইকোর্ট কর্তৃক এই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির জন্য শিক্ষক নিয়োগের পুরো প্যানেল বাতিল করা হয়েছিল কিন্তু তারপর সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকার কর্তৃক যাওয়া হলেও সেই একই রাই বহাল দিয়ে গত কিছুদিন আগে স্কুল সার্ভিস কমিশনের সমস্ত শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীর প্রায় ২৬০০০ চাকরি বাতিল করে। এবার অনেকের মনে প্রশ্ন শুধু কি এই নিয়োগেই দুর্নীতি রয়েছে নাকি আরো ঘেঁটে দেখা দরকার।

২০১৪ সালে প্রাথমিক টেটের দুর্নীতি

এদিকে রাজ্যে শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীর চাকরি বাতিলের পাশাপাশি আরও শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতি দেখা দিয়েছে প্রাথমিক নিয়োগের ক্ষেত্রেও। জানা গিয়েছে ২০১৪ সালে প্রাথমিকে প্রায় ৬০,০০০ শিক্ষক ও শিক্ষিকা নিয়োগ করা হয়ে থাকে। দু’বছর আগে রাজ্যের সেই সমস্ত শিক্ষকের মধ্যে ৩২ হাজার দুর্নীতিগ্রস্ত শিক্ষকের তালিকা দেখি কলকাতা হাইকোর্ট কর্তৃক চাকরি বাতিলের ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই রায়কেও চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাই পর্ষদ।

৩২ হাজার চাকরি বাতিল নিয়ে পূর্ণ শুনানি

এদিকে স্কুল সার্ভিস কমিশনের চাকরি চাকরি বাতিল নিয়ে কোন কিছুই করতে পারেনি রাজ্য সরকার তাই একইভাবে রাজ্যে প্রাইমারি নিয়োগের যে রায় কলকাতা হাইকোর্ট কর্তৃক দেওয়া হয়েছিল সেটিও বহাল থাকার আশঙ্কা রয়ে গেছে। কলকাতা হাইকোর্ট কর্তৃক ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক চাকরি বাতিল নিয়ে আগামী ২৮শে এপ্রিল ঘোষণার তারিখ জানানো হয়েছে। জানা যায় ৩২০০০ শিক্ষকের চাকরি বাতিল নিয়ে ঐদিন পূর্ণ শুনানি আসতে পারে। এমন অবস্থায় মাথায় হাত বহুত শিক্ষক শিক্ষিকাদের।

Bangla News Dunia Desk - Pallab

মন্তব্য করুন