প্রেগন্যান্সির সময় খাবেন না এই মাছ, হতে পারে সন্তানের ক্ষতি

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- গর্ভাবস্থায় খুব সাবধানে চলাফেরা করতে হয় হবু মায়েদের। বিশেষ করে খাওয়া-দাওয়া খুব সাবধানে করতে হয় এই সময়ে। এই সময় অনেক হবু মায়েদেরই মাছ খাওয়ার ইচ্ছে বেড়ে যায়। তবে ভুল মাছ খেলে গর্ভপাত পর্যন্ত হতে পারে। তাই আগেই সাবধান হন। ভুল মাছ নির্বাচন করে বিপদ ডেকে আনবেন না নিজের ও আগত সন্তানের। গর্ভাবস্থায় কোন মাছ খাবেন আর খাবেন না জেনে নিন।

মাছ খাবেন কি খাবেন না
প্রেগনেন্সিতে অনেকেই বিভ্রান্তিতে থাকেন কোন মাছ খাবেন আর কোনটি খাবেন না, তাই নিয়ে। যদি আপনিও গর্ভাবস্থায় মাছ খাওয়া নিয়ে সংশয়ে থাকেন তবে ডাক্তারের কাছ থেকে জেনে নিন এই সময়ে কোন মাছ খাওয়া উচিত আর কোনটি খাওয়া উচিত নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, আপনি গর্ভাবস্থায় মাছ খেতে পারেন কোনও দ্বিধা ছাড়াই। কিন্তু সব ধরনের নয়। আপনাকে নির্দিষ্ট ধরণের কিছু মাছ থেকে দূরে থাকতে হবে।

মাছের পুষ্টি
গর্ভে থাকা শিশুর পরিপূর্ণ বিকাশের জন্য পুষ্টি উপাদান খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রায় সব পুষ্টিই মাছে থাকে। এতে স্যাচুরেটেড ফ্যাট কম আর অন্যান্য প্রোটিন এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ। শুধু তাই নয়, মাছে রয়েছে প্রচুর ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিড এবং শিশুবান্ধব DHA। যা অন্য কোনো খাবার খেয়ে খুব কমই পাওয়া যায়। তবে এটি পারদ সমৃদ্ধ। অতএব, সবসময় একটি সংশয় থেকেই যে আদৌ মাছ খাওয়া গর্ভবতী মহিলাদের জন্য নিরাপদ কি না? এ কারণে অনেক নারী এই সময় মাছ খাওয়া এড়িয়ে যান। আপনার এমন কিছু মাছ খাওয়া এড়ানো উচিত যাতে পারদের মাত্রা বেশি থাকে বা সামুদ্রিক জাতীয় মাছ খাওয়া উচিত নয়।

কী কী মাছ খাবেন না
ইমপোর্ট করা মাগুর মাছ, পাঁকাল মাছ, টুনা, ম্যাকারেল, রাজা ম্যাকেরেল এই ধরনের মাছ খাওয়া একেবারে উচিত নয় গর্ভাবস্থায়।

কতটা মাছ খেতে পারেন
এফডিএ এবং ইপিএ অনুসারে, প্রতি সপ্তাহে ২২৬ থেকে ৩৪০ গ্রাম মাছ দুই থেকে তিনবার খাওয়া যেতে পারে। স্তন্যদানকারী মাকেও একই পরিমাণ মাছ খেতে হবে। খুব বেশি মাছ খাওয়া ভ্রূণের বিকাশে মারাত্মক বাধা সৃষ্টি করতে পারে।

 

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন