Bangla News Dunia, দীনেশ : ‘ভ্যালেন্টাইন ডে’-তে এক কিশোরীকে ফুঁসলিয়ে ঘুরতে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে চার যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছিল বাঁকুড়ার বিহারীনাথ পর্যটন কেন্দ্রে। সেই ঘটনায় তোলপাড় হয়ে দুর্গাপুর-আসানসোল। ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ ছিল অভিযুক্তরা। বুধবার চার অভিযুক্তই আত্মসমর্পণ করল আসানসোল আদালতে। অভিযুক্তরা প্রত্যেকেই আসানসোলের হিরাপুর থানার ইসমাইলের অদূরে প্রেমনগরের বাসিন্দা। এদিন আদালতে অভিযুক্তদের জামিন নাকচ করে দিয়ে ১৪ দিনের জন্য জেল হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
আরো পড়ুন : ভারতে প্রথম, এবার রাস্তায় চলবে ট্রেন ! উদ্বোধন করলেন নীতিন গড়করি
জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা দুর্গাপুরের বাসিন্দা। সে ‘ভ্যালেন্টাইন ডে’র দিন অর্থাৎ ১৪ ফেব্রুয়ারি ঘুরতে গিয়েছিলেন আসানসোলের হিরাপুর থানার ইসমাইলের অদূরে প্রেমনগরে মামাবাড়িতে। মামাবাড়ি এলাকার চার যুবক আকাশ বিন্দ, অভিষেক বার্নওয়াল, চন্দন কুমার ও রোহিত রায় মেয়েটির পরিচিত। সেই পরিচয়ের সুবাদে তাঁদের সঙ্গে বাঁকুড়ার বিহারীনাথ পর্যটন কেন্দ্রে ঘুরতে যায় মেয়েটি। সেখানেই চার যুবক মেয়েটিকে মাদক খাইয়ে নির্জন এলাকায় নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। সেখান থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে নিয়ে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় আসানসোল জেলা হাসপাতালে। পরে তাকে দুর্গাপুরে ইএসআই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন:- সূর্য রহস্যের অজানা জট খুললেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা
এই ঘটনার পর নির্যাতিতার মা আসানসোল মহিলা থানায় গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ নির্দিষ্ট ধারায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিল চার অভিযুক্তই। বুধবার চার অভিযুক্তই আত্মসমর্পণ করল আসানসোল আদালতের বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে। বিচারক তাদের জামিন নাকচ করে ১৪ দিনের জন্য বিচার বিভাগীয় বা জেল হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন:- মানুষ থেকে কুকুর হয়েছিলেন, এখন সেটাই ব্যবসা তাঁর, ব্যাপারটা কি জানতে বিস্তারিত পড়ুন
এই প্রসঙ্গে চার যুবকের আইনজীবী অভিজিৎ রায় ওরফে বাপি বলেন, পুলিশ তাদের ১০ দিনের জন্য রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেছিল। কিন্তু সেই আবেদনে ত্রুটি থাকায় আদালতের বিচারক তা মঞ্জুর করেননি। তাদের জেল হেপাজতে পাঠিয়েছেন। এদিন চারজনের জামিনের জন্য কোনও আবেদন করা হয়নি। পরবর্তী সময়ে পুলিশ হেপাজতের আবেদনের ভিত্তিতে তা করা হবে। আইনজীবী আরও বলেন, এদিন ঐ কিশোরী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দি দিয়েছেন।
এদিকে, পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এদিন হেপাজতে নেওয়ার আবেদন মঞ্জুর না হওয়ায়, চার যুবকের জেলে থাকা অবস্থায় টিআই প্যারেড করানো যায় কি না, তা ভেবে দেখা হচ্ছে। তেমন হলে, আগে টিআই প্যারেডের মধ্যে দিয়ে সনাক্ত করিয়ে নেওয়ার পরে চারজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন : ‘ধৈর্য ধরুন, দেশে ফিরেই বিচার করব’, বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন নিয়ে মুখ খুললেন হাসিনা