Bangla News Dunia, Pallab : ‘আপনারা পরিজনদের ফিরিয়ে আনুন। ওঁরা ওখানে যে কাজ করে, বাংলায় সেকাজ করবে। ফিরে আসতে চাইলে গাড়ি ভাড়া আমরা দেব। এখানে কাজের অভাব নাই।’ মঙ্গলবার বীরভূমের (Birbhum) ইলামবাজারে প্রশাসনিক সভায় পরিযায়ী শ্রমিকদের ফিরে আসার আহ্বান জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। পাশাপাশি বাংলাভাষীদের হেনস্তার অভিযোগ তুলেও সরব হন মুখ্যমন্ত্রী।
আরো পড়ুন : কিভাবে করবেন অফলাইন ভোটার ফর্ম পূরণ ? দেখুন সহজ গাইড লাইন
তিনি বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র, অসমের মতো জায়গা, যেখানে ডাবল ইঞ্জিন সরকার রয়েছে, সেখানে বাঙালি শ্রমিকদের উপর অত্যাচার হচ্ছে। ওই সমস্ত শ্রমিকরা আমাদের সময় বাইরে কাজ করতে যাননি। গিয়েছে আমরা ক্ষমতায় আসার আগে। তাঁদের সমস্ত নথি রয়েছে। অথচ ধরে নিয়ে ডিটেনশন ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। নয়তো থানায় ঘোরানো হচ্ছে। তাই আমরা চাইছি আপনারা ফিরে আসুন।’
মমতার কথায়, ‘কিছু নাম বাদ দেওয়ার জন্য ফের ভোটার তালিকা তৈরি হচ্ছে। কেউ যেন ভোটার তালিকায় নাম তুলতে ভুল করবেন না। কেউ বাদ দিলে প্রতিবাদ করবেন। সংখ্যালঘু ভাই-বোনেরা শুধু ফিরে এলে হবে না। ভোটার লিস্টে নাম তোলার চেষ্টা করুন। এখানেই থাকার চেষ্টা করুন। যদি অন্য মানুষ দুটো খেতে পায় তাহলে আপনারাও পাবেন।’
এদিন মমতার কথায় উঠে আসে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার ১০০ দিনের কাজ, সড়ক যোজনার রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। আমাদের টাকা অন্য রাজ্যকে দিচ্ছে। বাংলাকে বঞ্চনা আমরা মানব না।’ এদিন প্রশাসনিক সভায় একগুচ্ছ প্রকল্পের শিল্যানাস এবং উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘কেন্দ্র ১০০ দিনের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। সেই কারণে আমরা কর্মশ্রী প্রকল্প চালু করে ৫৮ দিন কাজ দিয়েছি। ব্যয় হয়েছে ২১৫ কোটি ২৯ লক্ষ টাকা।’
মমতা বলেন, ‘বাংলা বাঁচে কারও দয়ায় নয়, বাংলা স্বাধীনতা আন্দোলনের জন্ম দিয়েছে। এই বাংলা কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের, সুভাষচন্দ্র বসু, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, স্বামী বিবেকানন্দ, রামমোহন রায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের। ক্ষুদিরামের কথা মনে আছে? তখন তোমরা কোথায় ছিলে? ইংরেজদের দালালি করছিলে? তখন তো তোমাদের দল জন্মগ্রহণও করেনি। যারা দেশের জন্য দিয়েছে প্রাণ, আর অত্যাচার করে ভাষা সন্ত্রাস করে দিচ্ছ তার প্রতিদান! ভাষা অত্যাচার আমরা মানব না। রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, বিদ্যাসাগরের ভাষার উপর সন্ত্রাস হলে শুনব না। বাংলা ভাষাকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করলে আমরা জীবন দিতে প্রস্তুত আছি। কিন্তু ভাষা সন্ত্রাস মানব না। বিজেপি বাংলার মানুষ তোমাকে সইবে না। আমি লড়াই করে বাঁচতে জানি। যখন বিরোধী আসনে ছিলাম তখন সিপিএমের অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে। এখন ক্ষমতায় এসে বিজেপির অত্যাচার সহ্য করতে হচ্ছে।’
আরও পড়ুন : ‘ভোটার তালিকা থেকে যেন কারও নাম বাদ না যায়’, বিএলও’দের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর