উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ শুক্রবার ফিলিপিন্সের মিন্ডানাও দ্বীপের উপকূলে ৭.৬ মাত্রার একটি বিশাল ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। দেশটির সিসমোলজি সংস্থা ‘ফিলিপিন ইনস্টিটিউট অফ ভলক্যানোলজি অ্যান্ড সিসমোলজি’ (Phivolcs) জানিয়েছে, এই শক্তিশালী ভূমিকম্পের জেরে সমগ্র উপকূলীয় অঞ্চলে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে এবং দ্রুত লোকজনকে উঁচু স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
Phivolcs-এর তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পটি ডাভাও ওরিয়েন্টালের মানয় শহরের জলের নিচে মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে আঘাত হানে। উপকেন্দ্র থেকে কম গভীরতার কারণে এর প্রভাব মারাত্মক হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সংস্থাটি নাগরিকদের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এবং একাধিক আফটারশকের বিষয়েও সতর্ক করেছে।
ভূমিকম্পের পরপরই মধ্য ও দক্ষিণ ফিলিপিন্সের উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের অবিলম্বে উঁচু জমিতে বা আরও অভ্যন্তরের দিকে চলে যেতে আহ্বান জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। হাওয়াইয়ের প্যাসিফিক সুনামি সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, ভূমিকম্পের উপকেন্দ্রের ১৮৬ মাইলের মধ্যে বিপজ্জনক ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে।
Phivolcs সতর্ক করেছে যে, ফিলিপিন্সের উপকূলের কিছু অংশে ৩ মিটার পর্যন্ত উঁচু ঢেউ আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া প্রতিবেশী দেশ ইন্দোনেশিয়া এবং পালাউতেও অপেক্ষাকৃত ছোট ঢেউ পদেখা যেতে পারে। এর মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় সুলাওয়েসি এবং পাপুয়া অঞ্চলে ৫০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত ঢেউ আঘাত হানতে পারে বলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
এই ঘটনায় প্রাথমিকভাবে হতাহতের কোনও তাৎক্ষণিক খবর পাওয়া যায়নি। তবে দক্ষিণ ফিলিপিন্সের ডাভাও ওরিয়েন্টাল প্রদেশের গভর্নর এডউইন জুবাহিবকে জানিয়েছেন, ভূমিকম্প আঘাত হানার সময় মানুষজন চরমভাবে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। তিনি বলেন, “খবর পাওয়া গেছে কিছু ভবনের ক্ষতি হয়েছে। কম্পন ছিল খুবই শক্তিশালী।”
প্রসঙ্গত, মাত্র দুই সপ্তাহ আগেই গত এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক ভূমিকম্পের সাক্ষী ছিল এই দেশটি। ৬.৯ মাত্রার সেই অফশোর ভূমিকম্পে সেবুতে অন্তত ৭২ জন নিহত হয়েছিলেন। সেই আবহেই আবারও ঘটে এই শক্তিশালী ভূমিকম্প।