Bangla News Dunia, Pallab : দীর্ঘ কয়েকবছর ধরে কেসে ঝুলে রয়েছে ওবিসি মামলা। এর জেরে নানা দিক থেকে বহু রেজাল্ট, নিয়োগ, ভর্তি ও অন্যান্য বিষয়ে কাজ বন্ধ করেছে নানা দপ্তর। যদিও কিছুদিন আগে রাজ্য সরকারের নতুন তালিকা ঘিরে হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ জারি করে কিন্তু অন্যদিকে সরকার সুপ্রিম কোর্টে দারস্থ হলে সেই স্থগিতাদেশের উপর ফের সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশ জারি করে। সুপ্রিম কোর্ট জানায় রাজ্য সরকারের এমন ক্ষমতা থাকে যে সে নতুন তালিকা বা জাতি যুক্ত করতে পারে যদি বৈধ হয়। এদিকে এমন অবস্থায় ফের নয়া চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যাচ্ছে
আরও পড়ুন : সাবধান! স্মার্টফোন চার্জে দেওয়ার সময় এই ভুল করবেন না, ফোন Dead হয়ে যায়
পশ্চিমবঙ্গে ওবিসি (Other Backward Classes) সংরক্ষণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিতর্ক চললেও এখনো সমাধান হয়নি। এই বিষয়ে বহু মামলা কলকাতা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছিল। অবশেষে কলকাতা হাইকোর্ট এক ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে যা রাজ্যের সংরক্ষণ নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে চলেছে বলে জানা যায়।
হাইকোর্টের মূল সিদ্ধান্ত
এদিন কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, বর্তমানে কেবল ২০০৯ সালের ওবিসি তালিকা রাজ্যে কার্যকর হবে। পরবর্তীতে (২০১০–২০১২ সালে) যে অতিরিক্ত সম্প্রদায় যুক্ত করা হয়েছিল, সেগুলো আপাতত সংরক্ষণের আওতায় আসবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়। এর ফলে প্রায় ১৪৪টি সম্প্রদায় এই মুহূর্তে সংরক্ষণের সুবিধা থেকে বাদ যাবে বলে জানা যায়।
২০০৯ সালের ওবিসি তালিকার পটভূমি
- প্রথমবার পশ্চিমবঙ্গে ওবিসি সংরক্ষণ চালু হয় ১৯৯৩ সাল থেকে ।
- ২০০৯ সালে সরকার একটি সংশোধিত তালিকা প্রকাশ করে যেখানে ৬৬টি সম্প্রদায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকে।
- সেই সময় সংরক্ষণের হার নির্ধারিত হয় ৭ শতাংশ
- এই তালিকাই এখন আবার কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য আদালত।
২০১০–২০১২ সালের পরিবর্তন ও বিতর্ক
২০১০–২০১২ সালের মধ্যে রাজ্য সরকার এই তালিকায় অনেক সম্প্রদায় যুক্ত করে।
- এখানে ওবিসি ক্যাটাগরিকে ভাগ করা হয় OBC-A এবং OBC-B-তে।
- মোট সম্প্রদায় সংখ্যা দাঁড়ায় ১৪৪-টি সংরক্ষণ বেড়ে হয় ১৭% পর্যন্ত।
- এদিকে এই নিয়ে বিরোধী দল এবং কিছু সামাজিক সংগঠন অভিযোগ তোলে যে, এই সম্প্রসারণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হয়েছে এবং যথাযথ সমীক্ষা ছাড়াই তালিকা তৈরি হয়েছে।