গত বছর বাংলাদেশ। তারপর নেপাল। নেপালের পর এবার ফ্রান্সেও (France) দেখা দিয়েছে অশনিসংকেত। ঠিক কী ঘটেছে ফ্রান্সে ?
সেদেশের প্রেসিডেন্ট ইমান্যুয়েল ম্যাক্রোঁ (President Emmanuel Macron) নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সেবাস্তিয়েন লেকোরুঁর (Sebastien Lecorun) নাম ঠিক করতেই দেশ জুড়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভ শুরু করেন আম জনতা। রাজধানী প্যারিসে (Paris) জনতা-পুলিশ খন্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়।
বুধবার সেদেশের সাধারণ মানুষ গণঅবরোধের ডাক দিয়েছিলেন। সেখানে প্রায় কয়েক লক্ষ মানুষ জমায়েত হয়েছিলেন। অনেক জায়গায় উন্মত্ত জনতা আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছেন বিক্ষোভকারীরা। কোথাও বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে, কোথাও রেললাইনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হচ্ছে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে রাস্তায় নেমেছে ৮০ হাজার পুলিশকর্মী। এমন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে কয়েকশো প্রতিবাদকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার সকালে প্যারিসিয়ান সেকেন্ডারি স্কুল এবং রেনে ও মন্তপেলিয়ারের মতো অন্যান্য শহর অবরুদ্ধ করে দেন সেদেশের জনগন। এমন বিক্ষোভ, আন্দোলন শুধু রাস্তাতে নয়, একটি হাসপাতালের কর্মীরাও প্রতিবাদ স্বরূপ কর্মবিরতি করেন।
ফ্রান্সের ক্ষেত্রেও দেখা গিয়েছে প্রতিবাদকারীদের অধিকাংশই নবীন প্রজন্মের। এরা ফ্রান্সের বর্তমান সরকারের কাজে অসন্তুষ্ট। তাই তাঁরা সরকারি নীতির বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুসছেন।
এক প্রতিবাদীর কথায়, প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর প্রধানমন্ত্রী পরিবর্তন করাটা অভ্যাসে পরিণত হয়ে গিয়েছে। এটা মুখের উপর চড়া মারার মত ব্যপার। আমরা এই সরকারকে নিয়ে বীতশ্রদ্ধ। আমরা প্রধানমন্ত্রী নয়, সরকার বদল চাই।
ফ্রান্সের বিভিন্ন রাস্তায় আবর্জনার পাত্র রাস্তায় ঢেলে ফেলে দিয়ে তাতে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে প্রতিবাদীরা। পুলিশের দিকে আবর্জনা ও পাথর ছুড়ে মারছেন। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। প্রতিবাদীরা সব জায়গাতেই ম্যাক্রোঁ ইস্তফা দাও স্লোগান লিখে বিক্ষোভে শামিল হন।