Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- নিরামিষ ছেড়ে আমিষে মজল বিজেপি। এবার বাংলায় মাছভাত খাওয়ানো শুরু করল বিজেপি। মাছে ভাতে বাঙালি বলে কথা। মাছ বিরোধী বিজেপি বলে তৃণমূল কংগ্রেস কটাক্ষ করতে ছাড়ছিল না। এতদিন বিজেপি জলপাইগুড়ি জেলা অফিসে কোনও বৈঠক হলে বৈঠক শেষে নিরামিষ খাওয়ানো হতো। কিন্তু এই প্রথম জলপাইগুড়ি বিজেপি পার্টি অফিসে আমিষ খাওয়ানো শুরু হল।
যোগি আদিত্যনাথের মাছ ভাত ইস্যুতে একহাত নিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপির মাছ ভাতের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে প্রচার শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিভিন্ন সভা সমিতিতে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচার শুরু করেছে বঙ্গের শাসক দল।
বিজেপির বৈঠকে মাছভাত
শনিবার বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলার সাংগঠনিক বৈঠকের পর নেতা কর্মীদের মাছ ভাত খাওয়ানো হল। এতদিন বিজেপির পার্টি অফিসে কোনও বৈঠক হলে তারপর নিরামিষ খাওয়ানোরই রেওয়াজ ছিল। কিন্তু প্রথা ভেঙে এবার মাছ ভাত খাওয়ানো হল।
কয়েকদিন আগেই জলপাইগুড়ি পিএফ দফতরে বিক্ষোভ সমাবেশে এসে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দোপাধ্যায় মাছ খাওয়া নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন। তার অভিযোগ ছিল, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন মনীষীদের লেখাপত্র বাদ দিয়ে দিয়েছেন। যোগী আদিত্যনাথ ভোটে জিতেছেন। তিনি তা করতেই পারেন তাতে কোন সমস্যা নেই। রবীন্দ্রনাথ পড়াবেন কী পড়াবেন না সেটা তার ব্যপার। সেখানে আমরা মাথা ঘামাবো না। কিন্তু বাঙালি কোনদিন মাছ খাবেন কোনদিন মাছ খাবেন না, সেটা ঠিক করে দিতে পারেন না। এটা ঠিক করার অধিকার কারও নেই। কয়েক হাজার বছর ধরে আমরা মাছ ভাত খাচ্ছি সেটা প্রমাণিত।
আরও পড়ুন:- ডিলিট হওয়া WhatsApp মেসেজ কিভাবে দেখবেন ? জেনে নিন
বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠক হল শনিবার। এদিন বিজেপি সাধারণ সম্পাদক দিপক বর্মন ও অমিতাভ চক্রবর্তীর উপস্থিতিতে ডিবিসি রোডের বিজেপি পার্টি অফিসে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এদিনের বৈঠকের জেলার বিজেপি বিধায়ক,বিধায়িকা-সহ জেলা সভাপতি, মণ্ডল সভাপতি-সহ অন্যান্য জেলা কমিটির সদস্যদের নিয়ে সাংগঠনিক আলাপ আলোচনার হয়। জানা গিয়েছে এদিনের বৈঠকে কাশ্মীরে যেভাবে পর্যটকদের বেছে বেছে নৃশংসভাবে হতো্যা করা হয়েছে সেই বিষয়ে মানুষের আরও ঐক্যবদ্ধ হবার প্রচারের নামার নির্দেশ দিয়েছেন বিজেপি নেতারা। পাশাপাশি, আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের কার্যপ্রণালী কী হবে, তা নিয়েও আলোচনা হয়।
এই প্রথম বিজেপির বৈঠকের পর কর্মী ও নেতানেত্রীদের মাছ ভাত খাওয়ানো হল। তৃণমূল কংগ্রেস যখন মাছভাত খাবার বিরোধী প্রচার করছে বিজেপি । সে জায়গায় এবার বিজেপি পার্টি অফিসে বৈঠকের পরে মাছে ভাতে বাঙালি যাকে বলে, সেই ভাবেই কর্মীদের খাওয়া হল।
বিজেপির প্রাক্তন জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামীর কথায় আগে আমাদের পার্টি অফিসে নিরামিষ খাওয়ানো হয়েছে কর্মী ও সদস্যদের। এই প্রথম মাছ ভাত খাওয়ানো হল। শনিবার ভাত,ডাল,আলুর চিপস,কাতলা মাছ রসগোল্লা মেনুতে রাখা হয়েছিল। এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি মহুয়া গোপ বলেন, “বিজেপির নিজেরই নীতির ঠিক নেই। নিজেরাই এখন ঠেলায় পড়ে মাছ ভাত খাচ্ছে।”