Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ফার্স্ট ওয়ার্ল্ড কান্ট্রিতে বন্দুক কেনার মতো সহজ কাজ আর কিছুই হয় না। কিন্তু আমাদের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশ ভারতবর্ষে ব্যক্তিগত বন্দুক কেনা বেশ কষ্টসাধ্য। আগেকার দিনে সহজেই পাওয়া যেত পাখি মারার বন্দুক। কিন্তু বর্তমানে পাখি মারা নিষিদ্ধ। তাই এই বন্দুকও পাওয়া বেশ ঝক্কি।
কিন্তু তা বলে কী আমাদের দেশে কারও কাছে নিজের বন্দুক নেই? অবশ্যই আছে। কিন্তু সেই বন্দুক পেতে লাইসেন্সের প্রয়োজন। আর সকলেই যে লাইসেন্স পান, এমন কিন্তু নয়। এর জন্য নানা শর্ত রয়েছে। লাইসেন্সের জন্য আবেদন করলে অবশ্যই এই শর্তগুলো মানতে হবে। কারণ সব দিক বিচার করে তবেই বন্দুক রাখার লাইসেন্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার।
আর কেউ যদি অনুমতি ছাড়া যদি নিজের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র রাখেন, তাহলে কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের অধীনে আইনি পদক্ষেপ নিতে পারে পুলিশ। এমনকী কোনো কোনো ক্ষেত্রে লাইসেন্স ছাড়া বন্দুক নিজের কাছে রাখার জন্য ওই ব্যক্তির কারাবাসও হতে পারে। কিন্তু এমন কোনও নিশ্চয়তা নেই যে আপনি আবেদন করলেই আগ্নেয়াস্ত্র রাখার ছাড়পত্র পাবেন। তাহলে কী করতে হবে? দেখে নিন এক নজরে।
আরও পড়ুন:- রাজ্য সরকারের NBCFDM সংস্থায় প্রচুর কর্মী নিয়োগ চলছে! আবেদন পদ্ধতি সহ বিস্তারিত দেখেনিন
১. এক এক রাজ্যের বন্দুক লাইসেন্সের জন্য এক এক রকমের নিয়ম আছে। তবে, সাধারণত লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে ডিএম, ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর, কমিশনার কিংবা সেই ব়্যাঙ্কের কোনও পদাধিকারীকেরা।
২. প্রথমে কলকাতা পুলিশের নির্ধারিত ওয়েবসাইট pcc.kolkatapolice.org -তে গিয়ে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট নিতে হবে।
৩. armslicence.kolkatapolice.org ওয়েবসাইট থেকে বন্দুকের লাইসেন্স আবেদনের ফর্ম ডাউনলোড করে নিতে হবে।
৪. এরপর আধার, ভোটার, ছবি, শিক্ষাগত যোগ্যতা পেশা সব রকমের তথ্য দিয়ে ফর্ম ফিলআপ করতে হবে।
৫. এরপর আবেদনকারীর মানসিক স্বাস্থ্য এবং শারীরিক সুস্থতার সার্টিফিকেট এবং আবেদনকারী যে নেশা করেন না বা মাদক নেন না তার যথাযথ প্রমাণ সহ জমা করে দিন।
৬. আবেদন করার পর সেটি এসপি অফিসে ভেরিভিকেশন হলে। এরপর সংশ্লিষ্ট থানার কাছে রিপোর্ট আসবে। এর উপর নির্ভর করবে, লাইসেন্স ইস্যু করা হবে কি না।
অস্ত্রের লাইসেন্স আবেদন করতে খরচ কত ?
ব্যক্তিগত বন্দুকের লাইসেন্স পেতে আবেদন করতে খরচ হয় ১০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা। আসলে আপনি কী ধরণের বন্দুক রাখতে চান তার উপর নির্ভর করছে আবেদন ফি। সাধারণ হ্যান্ড গান বা রাইফেলের জন্য আবেদন ফি লাগে ১০০ টাকা।
এবার জেনে নেওয়া যাক কারা আবেদন করতে পারবেন লাইসেন্সের জন্য
১৯৫৯ সালের ভারতীয় অস্ত্র আইন অনুসারে, সেনাবাহিনী, পুলিশ, নিরাপত্তারক্ষী ইত্যাদি কাজের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা নিজের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র রাখতে পারবেন।
সাধারণ মানুষের কাছে বন্দুক রাখার জন্য তাঁকে এমন কোনও পেশার সঙ্গে যুক্ত হতে হবে যেখানে তাঁর বন্দুক প্রয়োজন।
কারও যদি জীবন বিপন্ন হয়, কিংবা কেউ যদি কোনও থ্রেট পান সেক্ষেত্রে তিনি নিজেকে সুরক্ষিত রাখার জন্য বন্দুকের লাইসেন্সের আবেদন করতে পারবেন।
কারা পাবেন না বন্দুকের লাইসেন্স?
কোনও ব্যক্তির নামে অপরাধমূলক মামলা দায়ের হয়ে থাকে, কিংবা কোনও বে-আইনি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকলে বন্দুক রাখার অনুমতি পাওয়া যাবে না।
যে সমস্ত ব্যক্তিরা শারীরিক ও মানসিকভাবে স্থিতিশীল নন তাঁরা লাইসেন্স পাবেন না। এমনকি বয়স ২১ বছরের উপরে না হলেও কিন্তু লাইসেন্স পাওয়া যাবে না।
আরও পড়ুন:- হঠাৎ আবহাওয়া পরিবর্তনে ঘরে ঘরে সবাই অসুস্থ, কীভাবে সুস্থ থাকবেন জেনে নিন
আরও পড়ুন:- ভূতুড়ে ভোটার ধরতে তৃণমূলের দারুন পদক্ষেপ, বিস্তারিত জানুন