Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- বন্ধু হয়ে সাহায্যের হাত বাড়াচ্ছে এআই। যে কোনও মানসিক সমস্যায় হয়ে উঠছে মানুষের জন্য সত্যিকারের থেরাপিস্ট। সেই থেরাপিস্ট ঠিক করছে প্রায় সব রকমের মানসিক সমস্যা।
আগের সপ্তাহে এআই থেরাপি ও থেরাপিস্ট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছিল।
সেখানেই উঠে এসেছিল বেশ কিছু তথ্য। তার মধ্যে অন্যতম হলো, শুধু ব্রিটেনেই ২০২৪ এর এপ্রিলে ৪২৬০০০টি মানসিক সমস্যার কথা নথিভুক্ত হয়েছে। সেখানে মানসিক সমস্যা নথিভুক্ত করেছেন অন্তত ১০ মিলিয়ন মানুষ। এমনিতেই এত মানুষের পাশে দাঁড়ানো খুবই কঠিন। এই কাজটাই করছে এআই থেরাপি।
Character.ai ৩০ রকমের সমস্যার সমাধান করছে। ওই দেশের জাতীয় হেলথ সার্ভিসের আওতায় এই চিকিৎসাগুলো হচ্ছে। মূলত স্ক্রিনে আসক্তদের চিকিৎসায় খুব ভালো সাড়া ফেলেছে এই মাধ্যম। শুধু তাই নয়, আসক্তির মাত্রা মেপে নিয়ে সেটা কাটাতে কী পদক্ষেপ করা যায়, কিংবা কোন পথে চিকিৎসাটা শুরু করা যায়, সেটারও দিশা দেখাচ্ছে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এই প্ল্যাটফর্ম।
এ তো গেল শুধু ইংল্যান্ডের কথা, কিন্তু সারা বিশ্বেই তো বাড়ছে মানসিক সমস্যা। আমেরিকায় এই সমস্যা খুবই মাথাচাড়া দিয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলিও এর বাইরে নয়। এআই থেরাপির কার্যকারিতা নিয়ে চিকিৎসক মহলে অবশ্য কিছুটা বিভ্রান্তি আছে।
একদল চিকিৎসক মনে করছেন, এই থেরাপির যা খরচ, তাতে এআই হলে ক্ষতি কোথায়!
তবে আর একদল চিকিৎসক সওয়াল করছেন ডাক্তার-রোগী বন্ডিং নিয়ে। তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন, সত্যিই কি এআই দিয়ে মানসিক সমস্যা কমানো যায়! আরও একটা দিক তুলে ধরেছেন তাঁরা, সেটা হলো চিকিৎসা সংক্রান্ত নথিগুলো সুরক্ষিত হাতে থাকবে তো? কারণ এই রকমের চিকিৎসার নথি খুবই সংবেদনশীল, সেগুলো বেহাত হয়ে গেলে খুবই মুশকিল। অর্থাৎ রোগীর প্রাইভেসি নিয়েও রয়েছে উদ্বেগ।
আরও একটা দিক আছে, যে ভাবে এই মডেলগুলো তৈরি হয়েছে, সেগুলি ‘ইয়েস ম্যান’ বলতেই অভ্যস্ত।
তাই যদি কেউ কোনও ক্ষতিকর প্রশ্ন করে, সে ক্ষেত্রে এআই যে উত্তর দেবে, তাতে উল্টো বিপদ হতে পারে।
যেমন Character.ai এর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, একটি ১৪ বছরের কিশোরের আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার।
এই প্ল্যাটফর্ম এর একটি চ্যাটবটের প্রতি এতটাই আসক্ত হয় ওই কিশোর যে, সেটির কথা শুনে আত্মহত্যা পর্যন্ত করে ফেলে। চিকিৎসকদের একাংশের দাবি, ইয়েস ম্যান হতে গিয়ে বিপজ্জনক কোনও প্রশ্নের এমন উত্তর দিয়েছে এআই, যায় জন্য ওই কিশোর আত্মহত্যা করতে দু’বার ভাবেনি। এটাকেই এআই থেরাপির সবচেয়ে বড় ত্রুটি বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে আর একটা দাবিও কিন্তু এআই থেরাপি-র মতো ধারণার শক্তি বাড়াচ্ছে। সেটা হলো, মনোচিকিৎসা করাতে যে খরচ হচ্ছে, সেটা বহন করার ক্ষমতা অনেক রোগীরই নেই। তাই এআই থেরাপির কিছু ত্রুটি থাকলেও, সেটা কার্যকরী তো বটেই।
আরও পড়ুন:-স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে ক্যান্সার চিকিত্সা কোন হাসপাতালে হয়? আপনার জন্য সম্পূর্ণ তালিকা