বাংলাদেশে আত্মপ্রকাশ হল ভারতপন্থী রাজনৈতিক দলের, জানুন বিস্তারিত

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভের নেতৃত্বদানকারী ছাত্র সংগঠনটি শুক্রবার একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে নিজেদের যাত্রা শুরু করেছে, সেইসঙ্গে ঘোষণা করেছে যে দেশে এখন ভারতপন্থী এবং পাকিস্তানপন্থী রাজনীতির কোনও স্থান থাকবে না। নাহিদ ইসলাম, সারিস আলম, হাসনাতদের হাত ধরে নয়া রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে বাংলাদেশে। রাজধানী ঢাকার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টি আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।  সেখানেই নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘বাংলাদেশে ভারত ও পাকিস্তানপন্থী রাজনীতির ঠাঁই হবে না। আমরা বাংলাদেশকে সামনে রেখে, বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থকে সামনে রেখে রাষ্ট্রকে বিনির্মাণ করব।’

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা সামনের কথা বলতে চাই। সম্ভাবনার কথা, স্বপ্নের কথা বলতে চাই। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে আজ আমরা এখানে এসেছি।’ নাহিদ আরও  বলেন, ‘গত ১৫ বছর দেশে যে বিভাজনের রাজনীতির ষড়যন্ত্র কায়েম করা হয়েছিল জুলাই-অগাস্টের গণঅভ্যুত্থানে ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা তা ভেঙে দিয়েছি।’

আরও পড়ুন:- এই ক্ষেত্রে দেশকে পিছনে ফেলে রেকর্ড আয়ের পথে বাংলা, জানতে বিস্তারিত পড়ুন

নাহিদ বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে স্লোগান উঠেছিল, তুমি কে আমি কে, বিকল্প বিকল্প। আজ সেই বিকল্পের জায়গা থেকে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ। বাংলাদেশে বিভাজনের রাজনীতি তৈরি করে রাষ্ট্রকে দুর্বল করে রাখার ষড়যন্ত্র তৈরি হয়েছিল, সেই ষড়যন্ত্র আমরা জুলাই অভ্যুত্থানে সবার ঐক্যের মাধ্যমে ভেঙে দিয়েছি।’ এর আগে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে নতুন রাজনৈতিক দল ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’র আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। বাংলাদেশের সময় সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে দলের নাম ঘোষণা করেন জুলাই অভ্যুত্থানে শহিদ মো. ইসমাইল হাসান রাব্বির বোন মিম আক্তার। মিম বলেন, ‘আপনাদের মনে আছে গত ৫ অগাস্ট দুই বোনের কাঁধে ভাইয়ের লাশ, সে দুই বোনের মধ্যে আমি একজন। ইতিহাসে এমন ঘটনা ঘটে নাই। ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানের পর ছাত্র-জনতার নেতৃত্বে রাজনৈতিক দলের নাম জাতীয় নাগরিক পার্টি ঘোষণা করছি।’ অনুষ্ঠানে নেতাকর্মীদের পাশাপাশি জুলাই অভ্যুত্থানের শহিদ পরিবারের সদস্য ও আহত যোদ্ধারা অংশ নেন। এ ছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছিলেন। এর আগে সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে অনুষ্ঠাস্থলে যোগ দিতে থাকেন ছাত্র-জনতা।

আরও পড়ুন:- রাজ্যের এই জায়গায় রয়েছে ‘আদিম’ জঙ্গল-শহুরে সভ্যতা যেখানে শেষ! যাবেন নাকি ?

আরও পড়ুন:- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনার সেরা 5 ঘরোয়া টোটকা, বিস্তারিত জেনে নিন

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন