Bangla News Dunia, Pallab : ২৬ শের ভোটে জিততে বাঙালি আবেগই তাঁর ব্রহ্মাস্ত্র। বোলপুরের মাটি থেকে সেই অস্ত্রেই ফের একবার শান দিয়ে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এদিন বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাংলাভাষীদের উপর আক্রমণের প্রতিবাদে মিছিল করেন মমতা। পরে মিছিল শেষে জনসভায় যোগ দেন। গত কয়েকদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় যে অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রী করে আসছেন এদিন সেই অভিযোগেই ফের সরব হন তিনি। বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাঙালিদের বিরুদ্ধে ‘অত্যাচার’ হচ্ছে বলে অভিযোগ করে মমতা স্মরণ করান, ভিন্রাজ্যে যেমন বাংলার ২২ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক আছেন, তেমনই এই রাজ্যেও বিভিন্ন রাজ্যের দেড় কোটি মানুষ রয়েছেন। তবে তিনি সব ভাষাভাষী মানুষকে নিয়ে চলতে চান।
আরও পড়ুন : ‘ভোটার তালিকা থেকে যেন কারও নাম বাদ না যায়’, বিএলও’দের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
এদিন প্রশাসনিক সভা থেকে যেমন বিএলওদের সতর্ক করে বলেছিলেন তাঁরা রাজ্য সরকারের কর্মী, কারও নাম যেন বাদ না যায়, ঠিক তেমনি বোলপুরের জনসভা থেকে নির্বাচন কমিশনকেও প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘বাংলায় নাম বাদ দিয়ে দেখুন। ছৌ নাচ দেখবেন, ধামসা-মাদল দেখবেন। ঢোল আছে ঢোল, আছে কাঁসরঘণ্টা-শঙ্খও। শুনেছেন কখনও? বাজিয়ে দেব দামামা।’
এদিন মিছিল ও জনসভা দুটোই ছিল পুরোপুরি বাঙালিয়ানায় মোড়া। রবীন্দ্রনাথের মূর্তিতে মাল্যদান, বিশ্বকবির ছবি হাতে নিয়ে হাঁটা, বাঙালিত্ব তুলে ধরতে কসুর করেননি মুখ্যমন্ত্রী। বাংলার মনীষীদের নাম করে তিনি বলেন, “স্বাধীনতার আন্দোলনে কারা পথ দেখিয়েছিল? বাংলার মানুষ। জাতীয় সঙ্গীত কে লিখল? বুড়়িবালামের তীরের লড়াই কী করে ভুলে গেলেন?” এরপরই মুখ্যমন্ত্রী হুঁশিয়ার করেন বিজেপিকে। বলেন, ‘দরকার হলে জীবন দেব। আমার ভাষা, কারও ভাষা কেড়ে নিতে দেব না।” রোহিঙ্গা দাবি নিয়েও আগের মতই সরব ছিলেন মমতা। পরিসংখ্যান তুলে ধরে জানিয়ে দেন, ‘সারা বিশ্বে যত রোহিঙ্গা নেই তত রোহিঙ্গা বাংলায় আছে বলে দাবি করছে। ’
বিজেপিকে কটাক্ষ করে মমতা আরও বলেন, ‘ভাবছো ক্ষমতায় আছো বলে যা খুশি করবে? মনে রেখো, তোমাদের সরকার ২০২৯ অবধি চলবে না। জমিদারি! যেন দেশটা শুধু ওদের! আমি বলে রাখছি, জমিদারি মানুষের, তোমাদের নয়। ট্রাম্পবাবু তো হাত-পা বেঁধে দুটো প্লেনে তুলে তোমাদের লোককে গুজরাটে পাঠিয়ে দিল, কেউ প্রশ্ন করল না। বাংলার কেউ ছিল না, কারণ আমরা মাথা নিচু করি না।’