Bangla News Dunia, Pallab : এক ধাক্কায় প্রায় তলানিতে ঠেকেছে মুরগির মাংসের দাম (Chicken Price Fall)! বাজারজুড়ে হুড়োহুড়ি লেগে গিয়েছে ক্রেতাদের। এদিকে মাংসের দাম কমলেও ডিমের যোগান কমে যাওয়ায় আগামী দিনে মুরগির ডিম পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়। এহেন আবহে ভয় ধরাচ্ছে বার্ড ফ্লু-র আতঙ্ক।
আরও পড়ুন : হার্ট ‘ব্লকেজ’ কী ? কারণ কি ? জানুন সমাধান
কেন দাম কমল মুরগির মাংসের ?
বেশ কিছু সূত্র মারফত খবর, অন্ধ্রপ্রদেশের পোল্ট্রি ফার্ম গুলিতে মুরগি মৃত্যু বেড়েই চলেছে। অন্ধ্রের এই ঘটনার আঁচ গিয়ে পড়েছে বাংলাসহ অন্যান্য রাজ্যেও। রিপোর্ট বলছে, বার্ড ফ্লু আতঙ্ককে সামনে রেখে পোল্ট্রি মুরগির মৃত্যুর কারণে ইতিমধ্যেই মুরগির মাংস আমদানি করা বন্ধ করে দিয়েছে তেলেঙ্গানা। মাংসের পাশাপাশি বন্ধ হয়েছে ডিম আমদানিও। আর এই ঘটনার পরই মাংসের দাম হু হু করে কমতে শুরু করেছে বাংলার বাজারগুলিতে।
চরম ক্ষতির মুখে পোল্ট্রি মালিকরা
জানা যাচ্ছে, অন্ধ্রপ্রদেশের গোদাবরী জেলায় বার্ড ফ্লুর আতঙ্ক ক্রমশ বাড়ছে। মূলত এই রোগের কারণেই রাজ্যজুড়ে একাধিক পোল্ট্রি ফার্মে মুরগির মৃত্যু ঠেকিয়ে রাখা যায়নি। মূলত অন্ধ্র প্রদেশের গোদাবরী জেলায় এই ঘটনা সবচেয়ে বেশি। আর সেই কারণেই জেলার বেশ কিছু এলাকা, রেড জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, বার্ড ফ্লু যে হারে বাড়ছে তাতে মুরগির মাংস কেনা থেকে বিরত থাকুন। এমন পরিস্থিতিতে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন পোল্ট্রি মালিকরা।
আরও পড়ুন : অকালে বুড়িয়ে যেতে না চাইলে মানতে হবে এই ৫ নিয়ম
মুরগির মাংস না খাওয়ার পরামর্শ
অন্ধ্রপ্রদেশের বিভিন্ন পোল্ট্রি ফার্মে পালিত মুরগির মৃত্যু ও বার্ড ফ্লুর আতঙ্ককে সামনে রেখে এবার বাজারমুখী ক্রেতাদের মুরগির মাংস কেনা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসকদের একটা বড় অংশের দাবি, বর্তমানে বাজারে কম দামে বিক্রি হওয়া মুরগির মাংস খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে পারে। সেই সাথে সাধের দেহ যন্ত্রে বাসা বাঁধতে পারে নানান ব্যাধি। তাই এই মুহূর্তে মুরগির মাংস না খাওয়ার পথেই হাঁটছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
মাংসের পর এবার আতঙ্ক মাছেও !
বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বার্ড ফ্লু-তে আক্রান্ত হওয়ার পর পোল্ট্রি মুরগি গুলির মৃত্যু হলে সেগুলিকে নিয়ে এসে স্থানীয় পুকুরে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। সেই রোগযুক্ত মুরগির মাংস খেয়ে নিচ্ছে পুকুরের মাছেরা। খবর আসছে, এই মাছ বাজারে বিক্রি হওয়ার পরই তা খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন মানুষজন। যা মাংস নিয়ে ক্রেতাদের মনে আতঙ্ককে আরও খানিকটা চওড়া করেছে।