Bangla News Dunia, Pallab : এক ঝলক দেখে কে বলবে মাত্র ২১-এই ইতিহাস গড়ে ফেলেছেন বাংলার মেয়ে। হ্যাঁ, কথাটা খাঁটি। চোখেমুখে কৈশোরের সারল্য মাখা পশ্চিমবঙ্গের নদিয়ার মায়াপুরের কৃষ্ণাঙ্গী মেশরাম ব্রিটেনের সলিসিটর হয়েছেন। যুক্তরাজ্যে তিনি সর্বকনিষ্ঠ সলিসিটর। কৃষ্ণাঙ্গী আইনে সাম্মানিক স্নাতক হয়েছেন প্রথম শ্রেণিতে।
আরও পড়ুন : পশ্চিমবঙ্গে কবে থেকে শুরু SIR ? দেখুন বিস্তারিত
বাংলায় শুধু জন্মই হয়নি কৃষ্ণাঙ্গীর। বড় হয়েছেন বাংলার জল-হাওয়ায়। ছোটবেলা কেটেছে মায়াপুরে, ইসকন সম্প্রদায়ের মধ্যে। পড়াশোনায় মেধাবী। অনেকে বলেন, কৃষ্ণাঙ্গীর চোখেমুখে ভক্তিভাবও রয়েছে। কপাল থেকে নাক পর্যন্ত লম্বা তিলক। মুখে হাসি লেগে রয়েছে। কৃষ্ণাঙ্গী তাঁর সাফল্যের কৃতিত্ব দিয়েছেন শিক্ষাঙ্গনকে। বিদ্যালয়ের পড়াশোনা মায়াপুরের ইন্টারন্যাশনাল স্কুল থেকে। মাত্র ১৫ বছর বয়সে স্কুলের গণ্ডি উত্তীর্ণ। তারপর নাম লেখান দ্য ওপেন ইউনিভার্সিটিতে।
কৃষ্ণাঙ্গীর কথা, ‘আইনের প্রতি আমার ভালোবাসা, আবেগ আছে। পড়াশোনার শুরু থেকেই ঠিক করেছিলাম আইন নিয়ে পড়ব। পেশা করব আইনকেই।’ কৃষ্ণাঙ্গী যে কৃতিত্ব অর্জন করে ইতিহাস রচনা করেছেন, তা জানিয়েছে ব্রিটেনের মিল্টন কেইন্সের দ্য ওপেন ইউনিভার্সিটি।
১৮ বছর বয়সেই সাম্মানিক স্নাতক হন। ২০২২ সালে একটি আন্তর্জাতিক আইন সংস্থায় যুক্ত হন বাংলার মেয়ে। তখন থেকেই হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রোগ্রামে অনলাইনে যোগ দিতে থাকেন। কৃষ্ণাঙ্গী আইন নিয়ে পেশাদারিত্বের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন সিঙ্গাপুর থেকে। আইনের যে সমস্ত ক্ষেত্র নিয়ে তাঁর আগ্রহ, সেগুলি হল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ব্লকচেন, ফিনটেক। উইল ও প্রোবেটের মতো ব্যক্তিগত পরিষেবা দিতে তিনি যেমন আগ্রহী, ততটাই আগ্রহ রয়েছে ডিজিটাল প্রযুক্তি, ক্লায়েন্ট কেন্দ্রিক আইনি পরিষেবায়।
আরও পড়ুন : জিএসটি ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত, সাধারণ মানুষের জন্য কী অপেক্ষা করছে ?