Bangla News Dunia, Pallab : ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে মুর্শিদাবাদে (Murshidabad Unrest)। শুক্রবার থেকেই সুতি, সামশেরগঞ্জ, ধুলিয়ান সহ বেশ কয়েকটি বিক্ষোভের জেরে অশান্ত হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শনিবারই কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central force) মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। গতকাল সন্ধ্যায় মুর্শিদাবাদে পৌঁছেছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। এরই মাঝে এবার বাংলায় বিশেষত সীমান্তবর্তী জেলা মুর্শিদাবাদ, মালদা, নদিয়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনাতে আফস্পা (AFSPA) জারি বা সেনাবাহিনীকে বিশেষ ক্ষমতা দেওয়ার দাবি জানালেন পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো (Jyotirmay Singh Mahato)। এই দাবিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শা’কে (Amit Shah) চিঠি দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন : এই ৫ সস্তার খাবার ভিটামিন সি-এর ভাণ্ডার, শরীরকে রোগমুক্ত রাখে
এক্স হ্যান্ডেলে চিঠিটি পোস্ট করেছেন পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ। তাতে লেখা রয়েছে, ‘গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে শুধুমাত্র মুর্শিদাবাদেই হিন্দুদের ৮৬টি বাড়ি ও দোকানে লুটপাট ও ভাঙচুর চালানো হয়েছে। এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। মালদা, নদিয়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও একই ধরনের ঘটনা ঘটছে। এটা তৃণমূলের তোষণ রাজনীতির ফল। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা যে ভেঙে পড়েছে তা ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদী আন্দোলনের ফলে আরও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।’ বর্তমানে এই জেলাগুলিতে থাকা হিন্দুদের পরিস্থিতির সঙ্গে ১৯৯০ সালে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের গণপলায়নের তুলনা টেনেছেন জ্যোতির্ময়।
প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশমতো মুর্শিদাবাদের স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে সারারাত টহলদারি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সেই সঙ্গে ছিল পুলিশও। শনিবার রাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ এবং ডিজিপি রাজীবের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক করেন। মুর্শিদাবাদের ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাপানউতোর অব্যাহত রয়েছে। এরই মাঝে এবার আফস্পা জারির আর্জি জানালেন জ্যোতির্ময়। যদিও এনিয়ে এখনও তৃণমূলের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।