বাজেয়াপ্ত জাল আধার কার্ড, লালবাগ থেকে ধৃত তিন অনুপ্রবেশকারী 

By Bangla News Dunia Dinesh

Published on:

Bangla News Dunia, Pallab : অনুপ্রবেশ ইস্যুতে এখন সরগরম রাজ্য রাজনীতি। ভুয়ো ভোটার এবং অনুপ্রবেশ নিয়ে একে অপরকে বিঁধছে শাসক এবং বিরোধী পক্ষ। এরমধ্যেই মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) লালগোলার চাটাইডুবি গ্রাম থেকে জাল আধার কার্ড সমেত তিন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেপ্তার (Arrest) করল মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশ। ধৃতদের নাম মহম্মদ জিয়াউল শেখ, পিন্টু শেখ ও ফরিদ শেখ। সকলেই বাংলাদেশের চাপাইনবাবগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা। জিয়াউল এবং পিন্টু চাপাইনবাবগঞ্জের চরকোদালকাটি এলাকার বাসিন্দা। ফরিদের বাড়ি লুটারিপাড়া এলাকায়।

আরও পড়ুন : কেটেছে ওবিসি জট, আগামী সপ্তাহে রাজ্য জয়েন্টের ফল ঘোষণা

জাল আধার কার্ড বানিয়ে কয়েকজন বাংলাদেশি বেশ কিছুদিন ধরে লালগোলার চাটাইডুবি গ্রামে বাস করছে এই খবর পেয়ে বুধবার পুলিশ অভিযান চালায়। ওই গ্রামের একটি বাড়ি থেকে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে। তাঁদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করতেই বেরিয়ে আসে জাল আধার কার্ড ও অনুপ্রবেশের বিষয়টি। এই ব্যাপারে ভগবানগোলা এসডিপিও বিমান হালদার বলেন, ‘ধৃতরা গত কয়েক মাস ধরে লালগোলার এক বাসিন্দার বাড়িতে থাকছে। এই খবর পেয়ে ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তিন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়। কীভাবে এই জাল আধার কার্ড তারা তৈরি করেছে, কীভাবে অনুপ্রবেশ করেছে, সেসব খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

বারবার লালবাগ থেকে এরকম চক্র এবং অনুপ্রবেশকারী ধরা পড়ায় স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন প্রশাসনিক মহল। এই চক্রের মূল পান্ডাদের ধরার জন্য তদন্ত চলছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, অনুপ্রবেশকারীরা এখন কেবল আর আন্তর্জাতিক সীমানা টপকে ক্ষান্ত থাকছেন না, জাল আধার কার্ডকে হাতিয়ার করে এইভাবে এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে মিলে গিয়ে মূল স্রোতের মধ্যে তারা মিশে যেতে চাইছে।

সম্প্রতি লালগোলার চামাপাড়া এলাকায় এক প্রাথমিক স্কুল শিক্ষকের বাড়ি থেকে ভুয়ো প্যান, আধার কার্ড সহ বিভিন্ন শংসাপত্র তৈরির চক্র পুলিশ ফাঁস করেছিল। সেই চক্রের সঙ্গে এদিনের ধৃতদের কোনও যোগাযোগ আছে কি না, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

চামাপড়ার জাল শংসাপত্র চক্রের ধৃতদের নাম আবু সুফিয়ান ও সাহিন আক্তার। আবু এবং সাহিন একটি গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রের আড়ালে এই চক্র চালাতেন। আবু এবং সাহিনকে জেরা করেই পুলিশ চাটাইডুবিতে আশ্রয় নেওয়া এই তিন অনুপ্রবেশকারীর ব্যাপারে জানতে পারে। মাত্র ২ থেকে ৫ হাজার টাকার বিনিময়েই আবু এবং সাহিন জাল আধার কার্ড বানিয়ে দিতেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Bangla News Dunia Dinesh

মন্তব্য করুন