Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : রোজ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। চিন্তায় ফেলছে বিশেষজ্ঞদের একাংশকে। এভাবে সংক্রমণ বৃদ্ধি হতে থাকলে অচিরেই পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যেতে পারে বলেই মত দিচ্ছেন তাঁরা। রাজ্যের করোনা চিত্র খারাপ হয়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষও সন্ধিহান। প্রায় অধিকাংশ মানুষই চিন্তায় রয়েছেন এই সংক্রমণ নিয়ে। জটিল পরিস্থিতিতে জ্বর, সর্দি, কাশি, গায়ে ব্যথা শুরু হলে কী করবেন? কোন ওষুধ বাড়িতে রাখতে হবে মজুত ? আসুন জেনে নেওয়া যাক।
কলকাতার আর এন টেগোর হাসপাতালের বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা: অরিন্দম বিশ্বাস বলেন, ‘বাড়িতে ওষুধ রাখার কোনও প্রয়োজন সাধারণত নেই। আপৎকালীন অবস্থার কথা মাথায় রেখে কয়েকটি ওষুধ রাখতে পারেন।
১. জ্বর, গায়ে, হাত, পায়ে ব্যথার মতো সমস্যার ক্ষেত্রে মোক্ষম হাতিয়ার প্যারাসিটামল।
২. সাধারণ flu হোক বা করোনা, দুই ক্ষেত্রেই গলা ব্যথা থাকতে পারে। আর গলা ব্যথা হলে গার্গল করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে সাধারণ নুন জলেই গার্গল করুন।
৩. বিশিষ্ট সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা: অনির্বাণ দোলই বলেন, ‘নাক দিয়ে জল গড়ালে নিতে পারেন ভেপার। ভেপার নেওয়ার ক্ষেত্রে আদি পন্থা ব্যবহার করা যেতে পারে। চাইলে ভেপার নেওয়ার যন্ত্রও ব্যবহার করা যায়।’
৪. ডা: অনির্বাণ দোলইয়ের কথায়, ‘নাক দিয়ে বেশি জল গড়ালে খেতে পারেন অ্যান্টি অ্যালার্জিক ওষুধ। কাশি থাকলেও ওষুধ চলতে পারে।’
৫. কিছু কিছু ক্ষেত্রে নাকের ড্রপও ব্যবহার করা যেতে পারে বলে জানান ডা: দোলই।
৬. ‘রোগের কারণে শরীর ভীষণ দুর্বল লাগলে খেতে পারেন মাল্টি ভিটামিন ট্যাবলেট। তবে করোনা প্রতিরোধ বা রোগ থেকে সেরে ওঠার ক্ষেত্রে এই ট্যাবলেটের কোনও ভূমিকা নেই বলেই জানালেন তিনি।
৭. ডা: অরিন্দম বিশ্বাস বলেন, ‘সুগার, প্রেশার থাকলে ঘরে রাখুন সুগার ও প্রেশার মাপার যন্ত্র। এই দুটি যন্ত্র আপনার স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে পারে।’
৮. জ্বর মাপার জন্য রাখুন থার্মোমিটার। জ্বর আসলে রিডিং নিয়ে লিখে রেখে দিন। চাইলে রাখতে পারেন পালস অক্সিমিটার।
৯. ডা: পাল বলেন, ‘সুগার, প্রেশার, হাঁপানির মতো সমস্যা থাকলে অবশ্যই আগেভাগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ কিনে রাখুন।
১০. হাতের কাছে রাখুন, হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসকের ফোন নম্বর।
করোনাকালে মানুষ সচেতনতার নামে বহু ভুলও করছেন। এমনই একটি ভুল হল অকারণে বা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া। ওষুধ খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। নইলে হয়তো এই ওষুধগুলি আর কাজ করবে না। তখন হবে আর এক বিপদ।
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল