Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : ঠাকুর ঘরে আমরা মনে শান্তি লাভের জন্য গিয়ে থাকি। বাড়ির ঠাকুর ঘর এমন স্থানে থাকা উচিত, যেখানে নিজের সমস্ত দুশ্চিন্তা ভুলে যেতে পারে। বাস্তু মতে, ভুল স্থানে ঠাকুর ঘর নির্মাণ করলে পরিবারের সদস্যদের জীবনে নানান সমস্যা দেখা দেয়। তাই বাস্তু মেনে সঠিক স্থানে ঠাকুর ঘর নির্মাণ করুন। তার আগে মন্দিরের সঙ্গে জড়িত বাস্তুর নিয়ম জেনে নিন।
বাস্তু শাস্ত্রের মতামত ——
১. প্রবেশ দ্বারের সামনে মন্দির থাকলে, অশুভ ফল পাওয়া যায়।
২. মন্দিরের চূড়ার ছায়া যদি কারও বাড়ির ওপর পড়ে, সেই ঘরে বসবাসকারী ব্যক্তিরা ঋণী হয়ে থাকেন।
৩. যদি কুল, বাবলার মতো গাছ মন্দিরের পাশে থাকে, তা হলে গৃহ কলহের সম্ভাবনা বজায় থাকে।
৪. মন্দিরে আশপাশে মেহেন্দি গাছের উপস্থিতি নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করে থাকে।
বাস্তু শাস্ত্র অনুযায়ী বাড়িতে ঠাকুর ঘর তৈরির সময় যে বিষয় নজরে রাখবেন
বাড়িতে পৃথক ঠাকুর ঘর রাখুন। এমন করা সম্ভব না-হলে স্থায়ী স্থানে ঠাকুরঘর রাখুন। যেখানে বসে পুজো করবেন, জমি থেকে একটু উঁচুতে থাকে। বাড়ির ইশান কোণে ঠাকুর ঘর তৈরি করা সবচেয়ে ভালো।
ভুল দিকে ঠাকুর ঘর থাকলে ভুল সংশোধন করুন
ভুল দিকে ঠাকুর ঘর থাকলে, ঠাকুর ঘরের প্রবেশ দ্বারে স্বস্তিক বা ওমের মতো মাঙ্গলিক চিহ্ন আঁকুন। গণেশ ও দুর্গার মূর্তি দক্ষিণমুখী হওয়া শুভ। ঠাকুর ঘরে শ্রী যন্ত্র ও কুবের যন্ত্র স্থাপন করাও শুভ।
শৌচালয়ের পাশে ঠাকুর ঘর বানাবেন না
অনেকেই শৌচালয়ের পাসে ঠাকুর ঘর তৈরি করে থাকেন। তবে বাস্তু মতে শৌচালয়ের পাশে ঠাকুর ঘর থাকলে বাস্তু দোষ উৎপন্ন হয়। টয়লেটের কাছে ঠাকুর ঘর থাকলে এবং তা সরানো সম্ভব না-হলে শৌচালয়ের দরজা সব সময় বন্ধ রাখা উচিত।
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল