Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : Corona সংক্রমণ বাড়ছে ভারত সহ বিশ্বের একাধিক দেশে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাকে ভয় না বরং, করোনা থেকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। মাস্ক ও শারীরিক দূরত্ব বিধি বজায় রাখার উপর জোর দিচ্ছেন। এরই মধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণা। বলা হচ্ছে, করোনা খোলা বাতাসে ২০ মিনিট থাকার পরেই শক্তি হারিয়ে ফেলে। ২০ মিনিট বাতাসে থাকলে করোনা মানবদেহে সংক্রমণের ক্ষমতা প্রায় ৯০ শতাংশ হারিয়ে ফেলে।
গবেষণা থেকে ইঙ্গিত মিলছে, তুলনামূলক ভাবে স্বল্প পরিসরের মধ্যে করোনার সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা বেশি। গবেষণা আবারও বলছে , করোনার বিরুদ্ধে লড়াই অস্ত্র – মাস্ক এবং শারীরিক দূরত্ব বিধি। ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই গবেষণা থেকে বোঝা যাচ্ছে, কেন শারীরিক দূরত্ব এবং মাস্ক পরা সংক্রমণ প্রতিরোধের দিক থেকে সবথেকে কার্যকর উপায় হতে পারে। বায়ু চলাচলের জায়গা রাখাটা এখনও কার্যকর, তবে সংক্রমণ মোকাবিলায় অনেকটা কম প্রভাব ফেলতে পারে। গবেষণার প্রাথমিক তথ্য থেকে তেমনটা ইঙ্গিত মিলছে।
জোনাথন রিড আরও বলেন, “আপনি যখন আরও দূরে সরে যাচ্ছেন, তখন শুধু অ্যারোসল কম হয় না, সঙ্গে ভাইরাসটিও কম সংক্রামক হয়ে পড়ে। ভাইরাস তার সংক্রমণ ক্ষমতা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে ফেলেছে।” ব্রিস্টল ইউনিভার্সিটির গবেষকরা এমন যন্ত্র তৈরি করেছেন যা তাদের যে কোনও ক্ষুদ্র, ভাইরাসযুক্ত কণাকে নিয়ন্ত্রিত তাপমাত্রা, আর্দ্রতা এবং অতিবেগুনি রশ্মি সহ অন্যান্য প্রাকৃতিক পরিবেশে পাঁচ সেকেন্ড থেকে ২০ মিনিটের পর্যন্ত দুটি বৈদ্যুতিক রিংয়ের মধ্যে ভাসিয়ে রাখতে পারে।
তবে গবেষণায় দেখা গিয়েছে ভাইরাল কণা গুলি ফুসফুসের তুলনামূলকভাবে আর্দ্র এবং কার্বন ডাই অক্সাইড-সমৃদ্ধ জায়গা ছেড়ে বেরোতেই, তারা দ্রুত জলীয় ভাব হারিয়ে এবং শুকিয়ে যায়। সেই সঙ্গে পিএইচ দ্রুত বাড়তে থাকে এবং কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রাও অনেকটা কমে যায়। মূলত দুটি কারণে ভাইরাস মানবদেহের কোষকে সংক্রমিত করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। তবে ভাইরাল কণাগুলি কত দ্রুত শুকাবে, তা আশেপাশের বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা অনুসারে পরিবর্তিত হয়।
তবে এই ক্ষেত্রে বাতাসের তাপমাত্রা ভাইরাসের সংক্রমণ ক্ষমতার উপর কোনও প্রভাব ফেলেনি।
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল