Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : শাস্ত্র মতে বাস্তু’কে আলাদা গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তাই আপনার গৃহ নির্মাণের সময় বাস্তুশাস্ত্র মেনে চলা উচিত। এমনকী ‘লিভিং রুম’-র সজ্জাতেও বাস্তু মেনে চলা উচিত। বাস্তুমতে লিভিং রুম গোছানো হলে সমগ্র গৃহে আনন্দ এবং উন্নতিতে ভরে যায়। তবে বাস্তু নিয়ে উদাসীন থাকলে জীবনে অস্থিরতা বয়ে আনে। ঝুটঝামেলা লেগেই থাকে। সুতরাং একটার পর একটা সমস্যা লেগে থাকলে বুঝতে হবে লিভিং রুম-র বাস্তুতে কিছু পরিবর্তন আনার প্রয়োজন। নিয়ম মেনে ইতিবাচক পদক্ষেপ নিলে সারা বাড়িতে ‘পজিটিভ এনার্জি’ ছড়িয়ে পড়বে। লিভিং রুম থেকে ‘নেতিবাচক শক্তি’ দূর করতে চাইলেও নিম্নলিখিত নিয়ম গুলি অনুসরণ করুন ——
১. বাস্তু মতে লিভিংরুমের উত্তর বা পূর্বদিকে অ্যাকোরিয়াম রাখলে তা পবিত্র ক্রিয়া হিসেবে বিবেচিত হয়। অবশ্য বিদ্যুৎচালিত ওয়াটার পিউরিফায়ারও রাখতে পারেন।
২. লিভিং রুমের মেঝেয় অবশ্যই কার্পেট বিছিয়ে রাখুন। বাড়িতে ইতিবাচক শক্তির প্রবাহও বজায় থাকবে।
৩. লিভিং রুম অবশ্যই আয়তক্ষেত্রাকার বা বর্গাকার হওয়া চাই।
৪. ফার্নিচার রাখার ক্ষেত্রেও কিছু নিয়ম মেনে চলুন। অর্থাৎ টেবিল ও চেয়ার এমনভাবে রাখুন যাতে চলাফেরা করতে সমস্যা না হয়।
৫. লিভিং রুমের অবস্থান গৃহের উত্তর বা উত্তর-পূর্ব দিকে হলে ভালো হয়।
৬. লিভিং রুম থেকে নেতিবাচক শক্তির প্রবাহ দূর করতে চাইলে প্রতিদিন সন্ধ্যায় সেখানে একটি প্রদীপ বা মোমবাতি জ্বালুন। যেখানে আপনি পূজা করেন সেখানেও প্রদীপ বা মোমবাতি জ্বালাতে পারেন।
৭. ফুল রাখুন লিভিং রুমে। কোনও কৃত্রিম ফুল নয়। আসল ফুল রাখার ব্যবস্থা করুন। • দেওয়ালের রং এবং সিলিং-এর রং আলাদা হওয়া দরকার।
৮. স্থাপত্যবিদদের মতে, লিভিং রুমে বেশি জানালা থাকা দরকার। ফলে জানলার মাধ্যমেই সেখানে পজিটিভ এনার্জির প্রবাহ অবিচ্ছিন্ন থাকবে।
৯. গৃহের অন্যান্য ঘরের তুলনায় লিভিং রুম সম্পূর্ণ ভিন্ন হওয়া প্রয়োজন। ঘরের চাইতে লিভিং রুমের আকার বড় হওয়া দরকার।
১০. লিভিং রুমের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বিদ্যুৎচালিত যন্ত্রপাতি রাখুন। প্রান্তে একটি দেওয়াল আলমারিও তৈরি করাতে পারেন। দক্ষিণের দেওয়ালে ঝোলান টেলিভিশন।
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল