বিজেপি-সিপিএমের ষড়যন্ত্র ! চাকরি বাতিল নিয়ে কলকাতায় প্রতিবাদ মিছিল তৃণমূলের

By Bangla News Dunia Dinesh

Published on:

Bangla News Dunia, দীনেশ :- সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি গিয়েছে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর। এই ঘটনার পর থেকেই তোলপাড় গোটা রাজ্য। শাসকদল তৃণমূল ও বর্তমান সরকারকে এই চাকরি বাতিলের জন্য দায়ী করেছে বিরোধীর। নেতাজি ইন্ডোরে সভা করে পালটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাকরি বাতিলের জন্য সরাসরি দায়ী করেছেন সিপিএম, বিজেপি ও আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে। এবার মুখ্যমন্ত্রীর দাবিকে সামনে রেখেই বুধবার কলকাতায় প্রতিবাদ মিছিল করল তৃণমূলের ছাত্র-যুবরা।

আরও পড়ুন:- একবার রিচার্জে চলবে পাঁচটি সিম। ধামাকাদার প্ল্যান আনলো এই কোম্পানি

বুধবার ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের ঘটনায় সরাসরি সিপিএম ও বিজেপিকে দায়ী করে কলকাতার রাজপথে প্রতিবাদ মিছিল করল তৃণমূলের ছাত্র-যুব সংগঠন। এদিন কলেজ স্ট্রিট থেকে মিছিল শুরু হয়ে ধর্মতলায় গিয়ে শেষ হয় মিছিল। মিছিলে ছিলেন তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য, সায়নী ঘোষ, হাওড়া সদরের যুব তৃণমূল সভাপতি কৈলাস মিশ্র সহ ছাত্র-যুব সংগঠনের একধিক নেতা। মিছিল শেষে সভামঞ্চে ভাষণ দিতে গিয়ে চাকরি বাতিলের জন্য বিজেপি-সিপিএমকে তুলোধোনা করেন তৃণাঙ্কুর-সায়নীরা।

আরও পড়ুন:- চলে এলো নয়া Aadhar App, আর আধারের কপি রাখতে হবে না সঙ্গে। বিস্তারিত জেনে নিন

এদিন যাদবপুরের সাংসদ সায়নী ঘোষ বলেন, ‘‘আরজি করের সময়ে সারা রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলার ষড়যন্ত্র হয়েছিল। সন্দেশখালির সময়ে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা তৈরির চেষ্টা হয়েছিল। এখন শিক্ষাব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলার চক্রান্ত হচ্ছে। আসলে বিজেপি-সিপিএমের নিশানা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’’ একইভাবে তৃণাঙ্কুরও চাকরি বাতিলের পেছনে বিজেপি সিপিএমের ষড়যন্ত্র বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘প্রাক্তন বিচারপতি তথা বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং রাজ্যসভার সিপিএম সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য মিলে হাজার হাজার চাকরিরত শিক্ষককে পথে বসিয়েছেন।’’

আরও পড়ুন:- প্রতিমাসে ফ্রিতে রেশন পেতে চান? তার জন্য কি করতে হবে? এক ক্লিকে জেনে নিন

এদিকে এদিনের মিছিল নিয়েও দলের অন্দরে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে তৃণাঙ্কুরদের। জানা গিয়েছে, লন্ডনের অক্সফোর্ডে কেলগ কলেজে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীকে। অথচ এই ঘটনার প্রতিবাদে কলকাতার বুকে প্রতিবাদ করতে দেখা যায়নি দলের ছাত্র-যুব নেতৃত্বকে। একইভাবে শিক্ষকদের চাকরি যাওয়ার পরেও প্রতিবাদ করতে দেখা যায়নি যুব নেতৃত্বকে। শোনা গেছে এদিন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর নির্দেশের পরেই প্রতিবাদ মিছিল করার কর্মসূচি নেয় তৃণাঙ্কুর সায়নীরা।

দলের একাংশের দাবি, এদিনের মিছিলে ছিল পরিকল্পনার অভাব। বিকেল তিনটেতে মিছিল শুরুর কথা থাকলেও এদিন মিছিল শুরু হয় বিকেল চারটা নাগাদ। মিছিল শুরুর সময় সামনে কোনও ব্যানার ছিল না। কিছুক্ষণ পর ব্যানার এসে পৌঁছায়। তবে এদিনের মিছিলে তরুণ কর্মী সমর্থকদের ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে।

 

Bangla News Dunia Dinesh

মন্তব্য করুন