Bangla News Dunia, দীনেশ : ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার প্রতি কেন্দ্রীয় বঞ্চনাই হতে চলেছে তৃণমূলের (TMC) ইস্যু, নয়াদিল্লিতে এক ঘরোয়া আলোচনায় সাংবাদিকদের এটাই বলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)।
অভিষেকের কথায়, ‘বাংলার বঞ্চনা অবশ্যই একটি বড় ইস্যু হতে চলেছে আগামী নির্বাচনে। যে টাকা কেন্দ্রীয় সরকার আটকে রেখেছে, সেই টাকা যদি মিটিয়ে দিত তাহলে প্রতিটি ব্লকে কোটি টাকার সেতু, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরি করা যেত।’ তবে আগে অপরাজিতা বিলটিতে রাষ্ট্রপতির সম্মতি আদায় করাই মূল লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও অভিযোগ করেন, লোকসভা ভোটের আগে ১০০ দিনের কাজ এবং আবাস যোজনার টাকা আটকে রেখে বিজেপি বাংলার মানুষের সঙ্গে অন্যায় করেছে। ফলস্বরূপ লোকসভা ভোটে বাংলায় বিজেপির ফল খারাপ হয়েছে। তবুও বিজেপি শিক্ষা নেয়নি। এখনও ১০০ দিনের কাজের বরাত দেওয়া হয়নি বাংলায়। এই ইস্যুকে হাতিয়ার করে তৃণমূল ভবিষ্যতে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে বলে হুঁশিয়ারি দেন অভিষেক।
আরও পড়ুন : প্রচন্ড গরমে রোদ লেগে মাথা যন্ত্রণা ? দ্রুত মুক্তি দেবে হোমিওপ্যাথি ওষুধ
তবে বারবার দলের ফাটল নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও অভিষেক এদিন দলের অভ্যন্তরে কোনও বিদ্রোহ নেই বলেই দাবি করেছেন। বিরোধীদের প্রচারকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘দিদি আমার নেত্রী। কিছু ব্যক্তি দলের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করলেও তাতে কোনও প্রভাব পড়বে না।’ তিনি স্পষ্ট জানান, তৃণমূল দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি মেনে চলে। উত্তরবঙ্গ বা রাজ্যের যে কোনও জায়গা থেকে নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন:- শুধুমাত্র ইন্টারভিউর মাধ্যমে ভারতীয় রেলে কর্মী নিয়োগ চলছে! আবেদন পদ্ধতি সহ বিস্তারিত দেখেনিন
২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে আসন ভাগাভাগির সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে অভিষেক স্পষ্ট জানান, ‘২০২৬-এ আমাদের কংগ্রেসের দরকার নেই।’ তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেস বরাবরই সিপিআইএম-এর সঙ্গে হাত মিলিয়ে লড়াই করেছে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে জোটের সুযোগ দিলেও কংগ্রেস সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হয়। ভবিষ্যতে জোটের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)।
আরও পড়ুন : মাসে ৭০০০ টাকা দিচ্ছে সরকার, নতুন প্রকল্পে এক্ষুনি আবেদন করুন
ঘরোয়া আলোচনায় এপিক সংক্রান্ত অনিয়ম রুখতে ভবিষ্যতে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অভিষেক। তিনি জানান, ইতিমধ্যেই দলের পক্ষ থেকে দুইটি নতুন পদ সৃষ্টি করা হয়েছে, যার মাধ্যমে বুথস্তর থেকে রাজ্যস্তর পর্যন্ত ভোটার তালিকায় নজরদারি চালানো হবে। পশ্চিমবঙ্গের ৯০ হাজার বুথে ৭.৫ কোটি ভোটারের উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখবে তৃণমূল।