Bangla News Dunia, দীনেশ : চিকিৎসায় গাফিলতিতে মৃত্যু প্রসূতি মায়ের। এই অভিযোগে বেসরকারি নার্সিংহোমে আগুন লাগিয়ে দিল রোগির পরিজন। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে কিশনগঞ্জের হালিমচকে। এই ঘটনায় সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়েছে নার্সিংহোমটি। বেগতিক দেখে পালিয়ে গেছে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ ও হাতে গোনা জনা কয়েক রোগী। ঘটনাস্থলে রয়েছে বিরাট পুলিশ বাহিনী। উত্তেজনা রয়েছে।
আরো পড়ুন : ভারতে প্রথম, এবার রাস্তায় চলবে ট্রেন ! উদ্বোধন করলেন নীতিন গড়করি
জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে কিশনগঞ্জের ফুটানি বস্তির বাসিন্দা অঞ্জিরা খাতুন প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে ভর্তি হন কিশনগঞ্জের হালিমচকের একটি নার্সিংহোমে। অভিযোগ, রোগী ভর্তি হলেও নার্সিংহোমে কোনও চিকিৎসক ছিলেন না। রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলেও দেখা মেলেনি চিকিৎসকের। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ অঞ্জিরার পরিবারকে জানায়, গাইনি চিকিৎসককে কল করা হয়েছে, তিনি চলে আসবেন। এদিকে অত্যাধিক প্রসব যন্ত্রণায় কাতর হয়ে পড়েন রোগী। চিকিৎসা না পেয়ে ধীরে ধীরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন প্রসূতি। এরপরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন রোগীর পরিজনেরা। বেগতিক দেখে পালিয়ে যায় নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। শুরু হয় দেদারে ভাঙচুর। উত্তেজিত জনতা আগুন লাগিয়ে দেয় নার্সিংহোমে। হাতে গোনা যেই কয়জন রোগী সেখানে ভর্তি ছিলেন, তারাও চম্পট দেন।
আরও পড়ুন:- সূর্য রহস্যের অজানা জট খুললেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা
এদিকে দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে নার্সিংহোমটি। ঘটনাস্থলে আসে দমকলের দুটি ইঞ্জিন ও কিশনগঞ্জ থানার বিরাট পুলিশ বাহিনী। পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনে। সেখা থেকে বেরিয়ে উত্তেজিত জনা অবরোধ করে কিশনগঞ্জ-বাহাদুরগঞ্জ রাজ্য সড়ক। প্রায় ঘণ্টাখানেক চলে অবরোধ। অভিযুক্ত নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেন বিক্ষুব্ধরা। অবরোধের ফলে রাজ্য সড়কে ব্যপক যানজটের সৃষ্টি হয়। কিশনগঞ্জ সদর থানার আইসি অভিষেক কুমার জানান, এখনও অভিযোগ দায়ের করেনি মৃতের পরিবার। অভিযোগ পেলেই কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন:- মানুষ থেকে কুকুর হয়েছিলেন, এখন সেটাই ব্যবসা তাঁর, ব্যাপারটা কি জানতে বিস্তারিত পড়ুন