Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- আহমেদাবাদের বিমান দুর্ঘটনায় কোনও যাত্রীর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছিলেন পুলিশ কমিশনার। তবে এর মধ্যেও ঝাঁপ দিয়ে নিজের প্রাণ বাঁচিয়েছেন রমেশ বিশ্বকুমার। ইকোনমি ক্লাসের শেষ রোতে থাকা ১১ এ সিটে বসেছিলেন রমেশ। সেখান থেকে ঝাঁপ দিয়ে তিনি নিজের প্রান বাঁচিয়েছেন বলে সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে জানিয়েছেন আহমেদাবাদের পুলিশ কমিশনার জিএস মালিক।
তিনি ফোনে এএনআই-কে বলেন, ‘পুলিশ ১১এ সিটে একজনকে জীবিত অবস্থায় পেয়েছে। একজনকে জীবিত অবস্থায় পাওয়া গেছে এবং তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। মৃতের সংখ্যা সম্পর্কে এখনও কিছু বলা যাচ্ছে না। বিমানটি আবাসিক এলাকায় বিধ্বস্ত হওয়ায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।’
দিউ থেকে আসা এই রমেশ জানিয়েছেন, ‘যখন বিমান ক্র্যাশ করছিল, তখন আমি লাফ দিই। পড়ে, ওঠার পর দেখতে পাই, চারিদিকে শুধু দেহ। তারপরই আমায়, কেউ একজন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’ তবে তাঁর সঙ্গে তাঁর ভাই অজয় থাকলেও, তাঁকে খুঁজে পাচ্ছেন না রমেশ। তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘আমার ভাই অন্য সিটে বসেছিল। ওকে খুঁজে পাচ্ছি না।’

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, হেঁটে হেঁটে অ্যাম্বুলেন্সে উঠছেন রমেশ। সেই সময়ই তাঁকে কথা বলতে শোনা যাচ্ছে। ব্রিটেনের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়া এই বিমান আহমেদাবাদ থেকে ওড়ার পরেই কাছের একটি মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেলে গিয়ে আছড়ে পড়ে বিরাট এই বিমান। শুধু বিমানে থাকা যাত্রীরা নয়, হোস্টেলে থাকা অনেক ডাক্তারি পড়ুয়াও মারাত্মক ভাবে জখম হয়েছেন। অনেকে মারাও গিয়েছেন বলে খবর। এর মধ্যেই রমেশের বেঁচে যাওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কীভাবে তিনি বেঁচে ফিরলেন তা নিয়ে আলোচনা চলছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

রমেশ প্রাণে বেঁচে গেলেও বেশ কিছু জায়গায় চোট লেগেছে বলে জানা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন অমিত শাহ। আজ দুপুর ১.৩৯ মিনিটে, ওড়ার কয়েক মিনিট পরে, বিমানটি ক্র্যাশ করে প্রথমে মেঘানী নগরের বিজে মেডিকেল কলেজের মেস ভবনে আঘাত করে। এর ফলে বিমানটি আগুনের গোলায় পরিণত হয়। ধোঁয়া এবং ধ্বংসাবশেষ চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। চিৎকার শুরু হয়।
আরও পড়ুন:- আপনি এসির তাপমাত্রা কতোতে সেট করবেন সেটা ঠিক করবে মোদি সরকার, আসছে নির্দেশিকা