বিমা থেকে জিএসটি বাদ দেওয়ার কথা বলেছিলাম। তা করতে বাধ্য হয়েছে।’ বুধবার জিএসটি কাঠামোয় পরিবর্তনের কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর জিএসটি কাঠামোয় এই পরিবর্তনকে ‘সাধারণ মানুষের জয়’ বলে অভিহিত করেছে রাজ্যের শাসক দল। এমনকি তাদের চাপে পড়েই কেন্দ্র নতিস্বীকার করেছে বলে দাবি তৃণমূলের (TMC)। আর এবার বিমা থেকে জিএসটি বাদ দেওয়ার প্রসঙ্গ বিধানসভায় তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)।
এদিন বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে তুলকালাম কাণ্ড বাধে। ভিনরাজ্যে বাঙালি হেনস্তা ইস্যুতে এদিন বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছিল। তা নিয়ে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য রাখতে উঠতেই হট্টগোল শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। এসবের মাঝেই জিএসটি প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘বিমা থেকে জিএসটি বাদ দেওয়ার কথা বলেছিলাম। তা করতে বাধ্য হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিজেপির যাওয়ার সময় তো হয়ে এল। দেশটাকে বিক্রি করে দিয়েছে। বিজেপি চোর না ডাকু, ডাকাত।’
প্রসঙ্গত, আগামী ২২ সেপ্টেম্বর থেকে বহু পণ্যে নতুন হারে জিএসটির কার্যকর হতে চলেছে। এই নয়া জিএসটি কাঠামোয় বহু নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমতে চলেছে। জীবন ও স্বাস্থ্যবিমা থেকে সম্পূর্ণভাবে জিএসটি তুলে নিয়ে নেওয়া হয়েছে। আর জিএসটি কাঠামোয় এই পরিবর্তনকে ‘সাধারণ মানুষের জয়’ বলে অভিহিত করেছে রাজ্যের শাসক দল। এমনকি তাদের চাপে পড়েই কেন্দ্র নতিস্বীকার করেছে বলে দাবি তৃণমূলের।
জিএসটিতে পরিবর্তনের ঘোষণার পরই ২০২৪ সালে ২ অগাস্ট কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনকে (Nirmala Sitharaman) লেখা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি চিঠি এক্স হ্যান্ডেলের পোস্ট করে তৃণমূল। সেখানে লেখা, ‘সাধারণ মানুষের জয়। এক বধির শাসকের বিরুদ্ধে জয়। প্রথমদিন থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অর্থমন্ত্রীকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে বিমার উপর কর বসানো নিষ্ঠুর, জনবিরোধী। যা পরিবারগুলিকে ভবিষ্যত সুরক্ষিত করতে বাধা দেবে। ফলে সংকটের সময়ে আর্থিক সমস্যার মুখে পড়তে হতে পারে। নরেন্দ্র মোদির সরকার অবশেষে চাপের কাছে নতিস্বীকার করেছে। এই পদক্ষেপই প্রমাণ করে যে বিজেপি কেবল কোণঠাসা হওয়ার পরই কাজ করে। আমরা সংসদে, রাস্তায়, জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে এই ধরনের প্রতিটি জনবিরোধী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাব।’