Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : গণেশের উপাসনা করলে যাবতীয় দুর্ভোগ কেটে যায়। শুভ কাজ শুরু করার আগে গণেশের পুজো করা দরকরা। গণেশ দেবকে সন্তুষ্ট করে তবে শুভকাজ শুরু করেন এমন অনেকেই আছেন। শিব ও দুর্গার ছোট পুত্র গণেশ দেব যিনি মঙ্গলমূর্তি, গজানন, গণপতি , সিদ্ধিদাতা নানা নামে পরিচিত। এছাড়াও আমাদের দেশে বিদেশে অনেক গণেশ মন্দির রয়েছে। বলা হয় গণেশকে দর্শন করলেই সকলের মনের ইচ্ছে পূরণ হয়।
হিন্দু ধর্মের বিশ্বাস অনুসারে বুধবার গণেশের প্রতি উৎসর্গ করা। এই দিনে গণেশের বিশেষ পুজো বা আরতি হয়। যাঁরা নতুন ব্যবসা শুরু করছেন, গৃহপ্রবেশ করছেন বা বিবাহ করতে চলেছেন তাঁরাও এই দিনে গণেশের পুজো করেন। আর্শীবাদ পেতে বুধবারে উপবাস থেকে পুজো করেন। নিষ্ঠা ভরে পুজো করলে মনে করা হয় ভাঁড়ার থাকে পূর্ণ। জীবনে শান্তি বজায় থাকে। সাথে যদি লক্ষ্মীরও পুজো করা হয় তাহলে গণেশের কৃপাদৃষ্টি থাকে সারা বছর।
বুধবার গৃহশান্তি রাখতে গণেশের চরণে দুর্বা নিবেদন করুন। একটি লাল ফুলে পুজো সারুন। প্রসাদে মোদক ও ফল দিতে পারলে ভালো। নইলে লাড্ডু দিলেও চলবে। ঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখবেন। সুগন্ধী ধূপ জ্বালুন। সেই সঙ্গে ঘি-র প্রদীপ দিন। ১০৮ বার ওম গণ গণপাতায় নমঃ এই মন্ত্র জপ করুন। গণেশকে বেলপাতা দিতে পারেন। একদম তুলসীপাতা দেবেন না। পুজোতে বসার আগে সিঁদুর, আতপ চাল, দুর্বা আর ফুল সাজিয়ে বসুন।
যাঁরা ব্যবসা শুরু করছেন বা ব্যবসায় উন্নতি করতে চান প্রতি বুধবার গণেশের কাছে গোটা হলুদ নিবেদন করুন। আর যাঁদের বিয়েতে বাধা আসছে, মনের মতো পাত্র বা পাত্রী পাচ্ছেন না তাঁরা গণেশ আরতির সময় ২১টি পাটালি গুড়ের টুকরো বা একটি থালায় ২১টি গুড়ের নৈবেদ্য সাজিয়ে নিবেদন করুন ও ২১ টি দুর্বা।
কার্তিক মাসে যদি প্রতিদিন গণেশের পুজো করেন পরিবারের পক্ষে খুবই শুভ। কার্তিকের সন্ধ্যায় তুলসীতলায় অবশ্যই প্রদীপ বা মোমবাতি দেবেন। গণেশের বন্দনার পর শাঁখ অবশ্যই বাজাবেন। প্রতি বুধবার যদি পারেন গণেশকে পায়েস নিবেদন করতে পারেন। সন্তুষ্টি হবে সিদ্ধিদাতা। ফলে সংসারে কোনও দুঃখ, কষ্ট থাকে না। ভাঁড়ার থাকে পূর্ণ। বাড়িতে অর্থাগমও হয়। গণেশকে ভোগ নিবেদন করার পর তা পাঁচ জনের মধ্যে ভাগ করে দিয়ে তবেই নিজে খাবেন।
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল