Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : বর্তমানে আমরা ভোকাট্টা শব্দকে খুব মিস করি। একটা সময় যখন বিশ্বকর্মা পুজোর দিনে আকাশে খেলে বেড়াতো রঙিন সব নানা প্রকারের বিচিত্র ঘুড়ি। যেমন পেটকাটি, মুখপোড়া, চাপরাশ, মুখপোড়া, চাঁদিয়ালরা বাতাসের মধ্যে লুটোপুটি দিত। কয়েকদিন আগে থেকেই দোকানে রম রমিয়ে বিক্রি হত রঙিন ঘুড়ির। রাত জেগে চলত বিশেষ মাঞ্জা তৈরি। এখন সেই ঘুড়ি ওড়ানোর প্রতিযোগিতা আর নেই। একেবারে যে বিলুপ্ত হয়ে গেছে তাও নয়। কিন্তু কোথাও গিয়ে যেন বিশ্বকর্মা পুজোর দিনে ঘুড়ি ওড়ানোর মহা আনন্দের উল্লাস কোথায় যেন হারিয়ে গেছে।
ইতিহাস বলছে ১৮৫০ সাল নাগাদ ঘুড়ি ওড়ানোর প্রচলন হয়েছিল। তবে দলে দলে মানুষ সেই সময় ঘুড়ি ওড়ানোর সাথে যুক্ত ছিলেন না। একটা সময় এটি এক প্রকার বিলাসিতা ছিল, যা ধনী বা বিত্ত শালী সব মানুষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। ঘুড়ি ওড়ানোর সাথেই জড়িয়ে রয়েছে বর্ধমান রাজ বাড়ির কথা। রাজা মাহাতাব চাঁদ নিজেই ঘুড়ি বাড়িতে ওড়াতেন। শোনা যায় বর্ধমান রাজবাড়ির হাত ধরেই ঘুড়ি উৎসব ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল। সেই সময় অনেক ধনী ব্যক্তিরা ঘুড়িতে টাকা বেঁধে আকাশে ওড়াতেন।
কিন্তু ভগবান বিশ্বকর্মার সাথেই কেন ঘুড়ি ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেল ? আসলেই তিনি ছিলেন স্থাপত্যের বিশারদ, অসাধারণ কারুকার্যের শিল্পী। তাঁর হাতেই তৈরি স্বর্গলোক, দ্বারোকাপুরী, অলকাপুরী, ইন্দ্রপ্রস্থ প্রভৃতি। তিনি ছিলেন দেবলোকের মুশকিল আসান। শোনা যায় ভগবান বিশ্বকর্মা দেবতাদের জন্য বানিয়ে দিয়েছিলেন উড়ন্ত রথ। এই ঘটনাকে স্মরণ করে প্রতিবছর বিশ্বকর্মা পুজোর সময় আকাশে খেলে বেড়ায় রঙিন ঘুড়ি।
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল