অর্থনীতিবিদদের সকল পূর্বাভাসকে ছাপিয়ে, ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে (এপ্রিল-জুন) ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার ৭.৮% ছুঁয়েছে, যা এক কথায় অবিশ্বাস্য। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া যেখানে ৬.৫% বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল, সেখানে এই পরিসংখ্যানটি দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার এক নতুন চিত্র তুলে ধরেছে। এই বৃদ্ধি গত পাঁচ ত্রৈমাসিকের মধ্যে সর্বোচ্চ, যা ভারতকে বিশ্বের দ্রুততম ক্রমবর্ধমান প্রধান অর্থনীতির আসনে বসিয়েছে।
বৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি
এই অভূতপূর্ব বৃদ্ধির পিছনে একাধিক কারণ রয়েছে, যার মধ্যে প্রধান কয়েকটি হলো:
- সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি: সরকার পরিকাঠামো, রাস্তা নির্মাণ, রেলপথ সম্প্রসারণ এবং প্রতিরক্ষা খাতে প্রচুর পরিমাণে মূলধন ব্যয় করেছে, যা সরাসরি জিডিপি বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে।
- নির্মাণ ক্ষেত্রের প্রসার: সরকারি বিনিয়োগের পাশাপাশি বাড়ির চাহিদা বাড়ায় সিমেন্ট এবং স্টিলের মতো সংশ্লিষ্ট শিল্পগুলিতে উৎপাদন বেড়েছে।
- কৃষি ও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে উন্নতি: বর্ষার সময়মতো আগমন গ্রামীামীণ চাহিদা বাড়িয়েছে এবং কৃষি ও উদ্যানপালন উৎপাদনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
- পরিষেবা খাতের ভূমিকা: বিমান চলাচল, কার্গো ট্র্যাফিক, আতিথেয়তা এবং আইটি রপ্তানির মতো পরিষেবা ক্ষেত্রগুলিও এই বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
- কর সংগ্রহে উল্লম্ফন: জিএসটি সংগ্রহে একটি লক্ষণীয় বৃদ্ধি দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা এবং অর্থনৈতিক কার্যকলাপের আনুষ্ঠানিকীকরণের ইঙ্গিত দেয়।
বিশ্ব অর্থনীতির প্রেক্ষাপটে ভারত
যখন বিশ্বের অনেক বড় অর্থনীতি মন্দার আশঙ্কায় ভুগছে, তখন ভারতের এই ৭.৮% বৃদ্ধি নিঃসন্দেহে প্রশংসার যোগ্য। এটি চীন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশগুলিকেও পিছনে ফেলেছে। এই পরিসংখ্যান আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ভারতের বাজারকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে বলে আশা করা হচ্ছে।