বিষাক্ত সাপ কামড়ালে হাসপাতাল নয়, মুসলিমের থুতুতেই সুস্থ, বক্তা ত্বহা সিদ্দিকি

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- সাপে কামড়ালে দ্রুত চিকিৎসা করানো জরুরি। কিন্তু ফুরফুরা শরিফের পিরজাদা ত্বহা সিদ্দিকির এক পুরনো ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, যেখানে তিনি দাবি করেছেন যে, সাপে কামড়ানো রোগীকে হাসপাতালে নেওয়ার দরকার নেই, বরং তাঁকে ফুরফুরাতে নিয়ে যেতে হবে। তিনি আরও বলেন, তিনি নিজে থুতু লাগিয়ে দিলেই রোগী সুস্থ হয়ে যাবেন।

ত্বহা সিদ্দিকির দাবি: ‘আমি থুতু লাগিয়ে দেব, রোগী ভালো হয়ে যাবে’
২০২১ সালের ভিডিওতে দেখা যায়, ত্বহা সিদ্দিকি বলছেন, “আপনার এলাকায় কেউ যদি বিষাক্ত সাপে কামড়ায়, তাহলে দেরি করবেন না। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাবেন না, দ্রুত ফুরফুরাতে নিয়ে আসুন। আমি থুতু লাগিয়ে দেব, তাহলেই বিষ কেটে যাবে।” তিনি আরও দাবি করেন, দেরি হলে অন্য কেউ সাপে কামড়ানোর জায়গায় থুতু লাগিয়ে দিতে পারেন, তবে শর্ত একটাই—থুতু লাগানোর ব্যক্তির অবশ্যই মুসলিম হতে হবে।

এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পরই বিতর্কের ঝড় ওঠে। চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা এর তীব্র বিরোধিতা করেছেন এবং বলেছেন, এটি বিজ্ঞানবিরোধী এবং অত্যন্ত বিপজ্জনক পরামর্শ।

আরও পড়ুন:- আধার কার্ড হারিয়ে গেলে কি করতে হবে? নতুন আধার কার্ড কিভাবে পাবেন? জেনে নিন

সাপে কামড়ালে কী করা উচিত?
বিশেষজ্ঞদের মতে, বিষধর সাপে কামড়ালে দ্রুত চিকিৎসা করা হলে রোগী বাঁচতে পারেন। সঠিক চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসরণ করা জরুরি, যা হলো—

দংশিত স্থান স্থির রাখা: রোগীকে নড়াচড়া না করতে বলা হয়, যাতে বিষ দ্রুত ছড়িয়ে না পড়ে।
ব্যান্ডেজ ব্যবহার: আক্রান্ত অঙ্গটি কাপড় দিয়ে বাঁধতে হয়, তবে অতিরিক্ত চাপ দেওয়া যাবে না।
হাসপাতালে নেওয়া: রোগীকে যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে, যাতে অ্যান্টি-ভেনম প্রয়োগ করা যায়।

কোনো ভুল পদ্ধতি না অনুসরণ করা: চুষে বিষ বের করা, দংশিত স্থান কাটা, বা স্থানীয় অবৈজ্ঞানিক চিকিৎসা নেওয়া বিপজ্জনক হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, বিষধর সাপে কামড়ানোর ১০০ মিনিটের মধ্যে অ্যান্টি-ভেনম প্রয়োগ করা গেলে রোগী সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।

বিজ্ঞান নয়, কুসংস্কার?
ত্বহা সিদ্দিকির এই বক্তব্য শুধু বিজ্ঞানসম্মত নয়, এটি মানুষের জীবন নিয়ে খেলাও বটে। চিকিৎসকরা সতর্ক করে বলেছেন, সাপে কামড়ানোর পর হাসপাতালের বদলে ধর্মীয় স্থানে নিয়ে গেলে রোগীর প্রাণহানি হতে পারে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শই মেনে চলা উচিত।

এই বিতর্কিত মন্তব্যের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। অনেকেই বলছেন, ধর্মগুরুরা যদি ভুল তথ্য দেন, তাহলে সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হবেন এবং এর ফলে অনেকের জীবন ঝুঁকির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন:- ই শ্রম কার্ডে প্রতিমাসে পাবেন ৩০০০ টাকা, কিভাবে অনলাইন আবেদন করবেন জানুন

আরও পড়ুন:- সুখবর! ডায়েবেটিস রোগীরা ৯০% কম দামে ওষুধ পাবেন এবার, বিস্তারিত জেনে নিন

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন