Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে সম্প্রতি বেশ কয়েকটি অভিযোগ আসে বেআইনি নির্মাণ ভাঙা নিয়ে পুর কর্তৃপক্ষের গড়িমসি করার। তখনই অভিযোগ শুনে মেয়র ফিরহাদ হাকিম পুর কমিশনার ধবল জৈনকে নির্দেশ দেন আইওয়াশ করতে শুধু ফুঁটো নয়, বেআইনি হলে সম্পূর্ণরূরে তা ভেঙে ফেলতে হবে ৷ নতুনভাবে নির্দেশিকা জারি করুন। সেই মত পুর কর্তৃপক্ষ জারি করে নয়া নির্দেশিকা।
নির্দেশিকাতে বলা হয়েছে, বেশকিছু ক্ষেত্রে বিল্ডিং আইন 400(8) ধারা বেআইনি নির্মাণ ভাঙার ক্ষেত্রে সিলিং গর্ত করেই দায় এড়িয়ে যায়। ফলে পরবর্তী সময় ফের অসাধু নির্মাণকারীরা আবার তৈরি করে ফেলে। ফলে বেআইনি নির্মাণ ভাঙার উদ্দেশ্য সফল হয় না। দখলকারী দখল করে থাকে সংশ্লিষ্ট জায়গায়। ফলে নয়া নির্দেশিকায় সাফ বলা হচ্ছে, বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলতে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
আরও পড়ুন:- ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ১ লাখ টাকার স্কলারশিপ পাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ। যোগ্যতা ও আবেদন পদ্ধতি জেনে নিন
নির্দেশিকা অনুসারে, কাঠামো ভাঙার কাজ সর্বাত্মক করতে হবে । যাতে শুধু ফুঁটো করে নয়, বেআইনি অংশ সম্পূর্ণভাবে অর্থাৎ 100 শতাংশ ভেঙে ফেলতে হবে । লোড বিয়ারিং কলাম, পিলার , বিম সম্পূর্ণভাবেই ভেঙে নির্মূল করতে হবে। সমস্ত মেঝে ও সিলিং 100 শতাংশ ভেঙে ফেলতে হবে। যাতে কোনওভাবেই বসবাসযোগ্য না হয়। এই কাজ চলাকালীন নির্দিষ্ট এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ারকে উপস্থিত থেকে পুরো কাজ তত্ত্বাবধান করতে হবে । তাঁকেই সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলার বিষয় নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে কাজটি সন্তোষজনক না-হলে কাঠামো সম্পূর্ণ বসবাসের অযোগ্য করতে ভাঙার কাজ একাধিক দিন চালাতে হলে, তাই করতে হবে। এই কাজ চলাকালীন শ্রমিকদের ও আশপাশের বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য যেখানে ব্যারিকেড দিতে হবে সেখানে ব্যারিকেড দিতে হবে। ভাঙার কাজ করার জন্য প্রশিক্ষিত কর্মী মোতায়ন করতে হবে। কর্মীদের সমস্ত দিক থেকে সুরক্ষা নিশ্চিত করবে উচ্চতর কর্তৃপক্ষ । ভাঙা চলাকালীন তার জেরে আশপাশের নির্মাণ বা সম্পত্তির ক্ষতি যাতে না-হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে সতর্কভাবে।
শুধু এখানেই শেষ নয়, 400(8) ধারা অনুসারে যে নির্মাণ ভাঙা হল, সে ক্ষেত্রে কোনও ত্রুটি থেকে গেলে তার জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক জবাবদিহি করতে বাধ্য থাকবেন। এই নির্দেশ কার্যকর না-হলে বা গুরুত্ব না-দেওয়া হলে শাস্তির কোপে পারবেন আধিকারিকরা।