Bangla News Dunia, Pallab : পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনার পর থেকেই ভারত পাকিস্তানের মধ্যে তৈরি হয়েছে যুদ্ধ পরিস্থিতি। সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি (LoC Ceasefire) লঙ্ঘন করে ভারতের মাটি লক্ষ্য করে অনবরত গুলি চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। রবিবার রাতেও নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে কুপওয়ারা (Kupwara) এবং পুঞ্চ (Poonch) সেক্টরে বিনা উসকানিতে গুলি চালিয়েছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। যার যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা। ভারতের পালটা জবাবে একপ্রকার ভয়ে কাঁপছে পাকিস্তানের সেনা বাহিনী। ভারতীয় সেনার ভয়ে গণ ইস্তফা দিতে শুরু করে পাক সেনা। এই পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছে পাকিস্তান। প্রয়োজনে ইস্তফা দিতে চাওয়া সেনাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পাক সেনাপ্রধান। গণ-ইস্তফার পর সীমান্ত রক্ষা করবে কে, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।
আরো পড়ুন : কখন “টিউমার’ ক্যান্সারে পরিনত হয় ? জানুন সঠিক তথ্য
যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে পালাতে চাইছেন পাক সেনাবাহিনীতে কর্মরত বহু সেনা। তাঁরা জানেন ভারতের সামরিক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করার সামর্থ নেই পাকিস্তানের। তাই ভারতের বিরুদ্ধে আগ্নেয়াস্ত্র ধরার অর্থ যে মৃত্যু, তা অনেকেই অনুমান করতে পারছেন। পাকিস্তানের সেনা প্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের নেতৃত্বে আগেই সেনার মনোবল তলানিতে পৌঁছেছে। পহেলগাঁওয়ের ঘটনার অনেক আগে থেকেই পাক সেনার অন্দরে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। কেউ সেনাবাহিনীতে কাজ করতে চাইছেন না। সেনা প্রধানকে চিঠি লিখে গণইস্তফার কথা জানিয়েছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ বুখারি।
জানা গিয়েছে, গত ৪৮ ঘণ্টায় ইস্তফা দিয়েছেন কমপক্ষে ২৫০ জন সেনা অফিসার। ইস্তফা দিয়েছে প্রায় ১২০০ পাক সেনা জওয়ান। ক্রমশ বাড়ছে এই সংখ্যাটা। এর ফলে চরম বিপাকে পড়েছে পাকিস্তান। এই ইস্তফা দেওয়ার সংখ্যাটা সর্বাধিক সিন্ধু ও নর্থ-ইস্ট ফ্রন্টিয়ারে। ইস্তফা দেওয়ার তালিকায় রয়েছে লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদমর্যাদার আধিকারিকরাও। ইস্তফার কারণ হিসেবে তাঁরা দেখাচ্ছেন শারীরিক অসুস্থতা ও মানসিক চাপ।
এই পরিস্থিতি সামাল দিতে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছেন ডিজি আইএসপিআর মেজর জেনারেল। তিনি স্পষ্ট করে পাক সেনাকে লিখিত আকারে জানিয়ে দিয়েছেন, এই যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীতে কোনওরকম ইস্তফা দেওয়া যাবে না। যদি কেউ ইস্তফা দেন, তবে আইনি পদক্ষেপ করা হবে তাঁর বিরুদ্ধে। পাক সেনার গণইস্তফা একদিকে চিন্তা, অন্যদিকে বিড়ম্বনায় ফেলে দিয়েছে পাকিস্তানকে। এই পরিস্থিতিতে ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ বেঁধে গেলে সীমান্ত রক্ষা করবে কে, এটাই এখন ভাবাচ্ছে পাকিস্তানকে।
আরও পড়ুন : জানুন প্রবল গরমে সান স্ট্রোক প্রতিরোধে করণীয় ?
আরও পড়ুন : অস্ত্রোপচার নাকি হোমিওপ্যাথি ? জানুন কোন পথে টিউমার থেকে স্থায়ী সমাধান