ভারতকে শাস্তি, চীনকে ছাড় : মার্কিন দ্বৈত নীতির পিছনে থাকা খেলাটা কী ?

By Bangla News Dunia Desk - Pallab

Published on:

Bangla News Dunia, Pallab : সাম্প্রতিক একটি পদক্ষেপে, ট্রাম্প প্রশাসন রাশিয়ার তেল আমদানির বিষয়ে একটি বিতর্কিত নীতি গ্রহণ করেছে, যা ভারত এবং চীনের প্রতি দ্বৈত আচরণের জন্য সমালোচিত হচ্ছে। এই নতুন নীতিতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের উপর কঠোর শুল্ক আরোপ করেছে, অথচ একই কারণে চীনকে ছাড় দিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের পিছনে থাকা জটিল ভূ-রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক কারণগুলো তুলে ধরাই এই প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য।

আরও পড়ুন : পশ্চিমবঙ্গে কবে থেকে শুরু SIR ? দেখুন বিস্তারিত

রাশিয়ান তেলের উপর নিষেধাজ্ঞার প্রেক্ষাপট

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা রাশিয়ার তেলের রাজস্ব কমানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে। ২০২২ সালে, বাইডেন প্রশাসন একটি প্রাইস ক্যাপ (মূল্যসীমা) ব্যবস্থা চালু করে, যেখানে রাশিয়ান তেলের দাম প্রতি ব্যারেল $৬০-এ সীমাবদ্ধ করা হয়েছিল। ভারত ও চীনের মতো দেশগুলো যদি এই মূল্যের চেয়ে বেশি দামে তেল কিনত, তবে তাদের উপর শিপিং এবং বীমা সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল।

ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন নীতি: শুল্কের প্রয়োগ

তবে, ট্রাম্প প্রশাসন এই নীতিতে একটি বড় পরিবর্তন এনেছে। সরাসরি তেল আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ না করে, তারা রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারী দেশগুলোর রপ্তানির উপর শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই নীতির মূল লক্ষ্য হলো অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি করে দেশগুলোকে রাশিয়ার তেল কেনা থেকে বিরত রাখা।

ভারত বনাম চীন: দ্বৈত নীতির শিকার

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই নতুন শুল্ক নীতিতে ভারত এবং চীনের প্রতি সম্পূর্ণ ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি দেখা গেছে, যা আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনার ঝড় তুলেছে।

  • ভারতের উপর কঠোর পদক্ষেপ: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতীয় রপ্তানির উপর ২৫% শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে, যা ২৭ আগস্টের মধ্যে ৫০%-এ উন্নীত করার কথা বলা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের কারণ হিসেবে ভারতের বিপুল পরিমাণে রাশিয়ান তেল কেনার বিষয়টিকে উল্লেখ করা হয়েছে। মার্কিন কর্মকর্তাদের মতে, ভারত একটি “সহজ লক্ষ্য” এবং কৌশলগত অংশীদার হিসেবে রাশিয়ার অর্থনীতিকে সমর্থন করা উচিত নয়।
  • চীনকে ছাড়: অন্যদিকে, চীনকে শুল্ক আরোপের ক্ষেত্রে ৯০ দিনের জন্য ছাড় দেওয়া হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন প্রকাশ্যে বলেছে যে, “চীনকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার মতো অবস্থায় আমরা নেই” (“China is too big to sanction”)। চীন রাশিয়ার সবচেয়ে বড় তেল গ্রাহক, প্রতিদিন প্রায় ২ মিলিয়ন ব্যারেল তেল আমদানি করে, যা রাশিয়ার মোট অপরিশোধিত তেল রপ্তানির ৪০%।

আরও পড়ুন : জিএসটি ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত, সাধারণ মানুষের জন্য কী অপেক্ষা করছে ?

Bangla News Dunia Desk - Pallab

মন্তব্য করুন