ভারতের ইতিহাসে প্রথম! রাজ্যপাল-রাষ্ট্রপতির সম্মতি ছাড়াই আইনে পরিণত বিল, বিস্তারিত জেনে নিন

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ভারতে এই প্রথম রাজ্যপাল বা রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর ছাড়াই দশটি বিল আইনে পরিণত হল ৷ বিল সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট তামিলনাড়ুর রাজ্যপালের কাছে পাঠানো বিলগুলিকে আইনে কার্যকর করে ৷ এই আইন অনুযায়ী এবার সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ ও তাঁকে সরানোর জন্য তামিলনাড়ু সরকারকে রাজ্যপালের অনুমতি নিতে হবে না ৷ এই প্রক্রিয়া রাজ্য সরকার নিজেই করতে পারবে ৷ 11 এপ্রিল ডিএমকে সরকারের প্রকাশিত ‘এক্সট্রাঅর্ডিনারি তামিলনাড়ু গভর্নমেন্ট গেজেট’-এ বিষয়টি জানানো হয়েছে ৷

গত 8 এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যপাল আরএন রবিকে পাঠানো দশটি বিল আটকে রাখার মামলায় রায়দান পর্ব ছিল ৷ তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন আদালতে অভিযোগ করেন, দশটি বিল বিধানসভায় দু’দুবার পাশ করানোর পর রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হয় ৷ কিন্তু তিনি 2023 সালের নভেম্বর থেকে বিলগুলি আটকে রেখেছেন ৷ এদিকে রাজ্যপালের যুক্তি ছিল, তিনি বিলগুলি রাষ্ট্রপতির বিবেচনার জন্য রেখে দিয়েছিলেন ৷

এই মামলায় বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি আর মহাদেবনের বেঞ্চ রাজ্যপাল আরএন রবিকে তীব্র ভর্ৎসনা করে ৷ দুই বিচারপতির বেঞ্চ সাফ জানায়, অনন্তকাল ধরে বিল আটকে রাখার কোনও অধিকার রাজ্যপালের নেই ৷ তাঁর এই আচরণ স্বেচ্ছাচারিতার সামিল এবং আইন-বিরুদ্ধ বলেও কড়া সমালোচনা করে আদালত ৷

ওই দিনই দেশের শীর্ষ আদালত সংবিধানের 142 ধারার প্রয়োগ করে ওই দশটি বিলকে আইনে কার্যকর হয়েছে বলে ঘোষণা করে ৷ এই আইনে রাজ্যপালের ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে ৷ রাজ্য সরকার পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্যপালের অনুমতির আর কোনও প্রয়োজন নেই ৷ তামিলনাড়ু সরকার নিজে উপাচার্য পদপ্রার্থীদের যোগ্যতা নির্ধারণ করে পছন্দ মতো উপাচার্য নিয়োগ করতে পারবে ৷ একইভাবে দরকারে উপাচার্যকে সরাতেও পারবে রাজ্য ৷

8 এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের পর মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিন বলেছিলেন, “এই জয় শুধু তামিলনাড়ুর নয় ৷ সব রাজ্যের ৷” এই এক পরিস্থিতি পশ্চিমবঙ্গেও ৷ বর্তমান উপ-রাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড় বাংলার রাজ্যপাল থাকাকালীন প্রায়শ নানা বিষয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত লেগে থাকত ৷ বর্তমান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গেও রাজ্যের মতানৈক্য মাঝে মাঝেই চরমে পৌঁছয় ৷ বিশেষত উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য বনাম রাজ্যপাল সংঘাতে রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি ৷ এর জন্য রাজ্যকে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে হয়েছে ৷ এরপরও রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করা যায়নি ৷ এই অবস্থায় শীর্ষ আদালতের এই পদক্ষেপ একটি দৃষ্টান্ত ৷

আরও পড়ুন:- ওয়াকফ অশান্তিতে থাকতে পারে বিজেপির এজেন্সির হাত, আশঙ্কা কুণাল ঘোষের

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন